ভয়াল ঘনঘোর তাড়কাবন পার হয়ে শুরু হল আবার পথ চলা। দুই রাজকুমারকে নিয়ে বিশ্বামিত্রের এবার গন্তব্য সিদ্ধাশ্রম। দীর্ঘ চলার পথে কত অজানাকে জানল দুই কুমার। জয় করল কতই না ভয়কে।

ভয়াল ঘনঘোর তাড়কাবন পার হয়ে শুরু হল আবার পথ চলা। দুই রাজকুমারকে নিয়ে বিশ্বামিত্রের এবার গন্তব্য সিদ্ধাশ্রম। দীর্ঘ চলার পথে কত অজানাকে জানল দুই কুমার। জয় করল কতই না ভয়কে।
আঁধার ছায়া বনপথ। সেই পথে তাড়কাবনে প্রবেশ করলেন বিশ্বামিত্র ঋষি। পিছনে তাঁর রাম-লক্ষ্মণ দুই ভাই। সে বনের আড়ালে তাড়কার বাস। গায়ে তার হাজার হাতীর বল। অগস্ত্যের শাপে তার স্বামী সুন্দকে হারিয়েছে সে।
পায়ে চলার পথ। অযোধ্যাপতির সোনার রথে নয়, পায়ে হেঁটে পথ চলা শুরু হল দুই রাজকুমারের। পায়ে পায়ে পার হয়ে চলা কত গ্রাম, কত জনপদ, শ্যামল প্রান্তর, হরিৎ শস্যক্ষেত্র।
ঐশ্বর্যময়ী অযোধ্যা। তার বৈভব বহিরঙ্গে, অন্তরঙ্গেও। সে অযোধ্যাপুরীর ইন্দ্রতুল্য রাজাধিরাজ ইক্ষ্বাকুবংশীয় দশরথ। জগতে তাঁর পরিচয়, মহর্ষিতুল্য রাজর্ষি।
ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির গল্প বলতে বলতে অযোধ্যাপতি দশরথের মন্ত্রী সুমন্ত্র একই সুতোয় গাঁথলেন শান্তার গল্পকেও। সব সংস্করণে নয়, তবে রামায়ণের বঙ্গদেশীয় সংস্করণে সে গল্পের দীর্ঘায়িত, পূর্ণাঙ্গ রূপ চোখে পড়ে। প্রক্ষিপ্ত কাহিনী?
রামায়ণ আদিকাব্য, ঋষি বলছেন সে কাব্য, তাই তা আর্ষ, সাধারণ কবির কাব্য সে নয়। শব্দে, অর্থে, আখ্যানে-উপাখ্যানে সে কাব্য রত্নাকর সমুদ্র যেন।
রামায়ণী কথার কথকতা শুরু করা যাক, যাঁর কাব্য, তাঁকে সামনে রেখেই। ভারতীয় কবিগণনায় প্রথমেই তাঁর স্থান, তিনি বেদার্থবিদ, মুনিশ্রেষ্ঠ বাল্মীকি।