ভগবানের কাছে ভক্তের ভক্তি খুব প্রিয়, যেমন গরুর প্রিয় জাব মেশানো খাওয়ার। “আমি মুক্তি দিতে কাতর নই ভক্তি দিতে কাতর হই”, রামপ্রসাদী গানে রয়েছে।

ভগবানের কাছে ভক্তের ভক্তি খুব প্রিয়, যেমন গরুর প্রিয় জাব মেশানো খাওয়ার। “আমি মুক্তি দিতে কাতর নই ভক্তি দিতে কাতর হই”, রামপ্রসাদী গানে রয়েছে।
বালক যেমন খুঁটি ধরে বন বন করে ঘুরলেও পড়ে যায় না। সেই রকম ভগবানকে ধরে যা ইচ্ছা করো, তোমার কাছে কোনও বিপদ আসবে না। “সংসারে ঈশ্বরকে ধরে সকল কাজ করো, নিরাপদে থাকবে।”
একজন শ্রীমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আচ্ছা মা, মন্ত্র নেবার কী দরকার? মন্ত্র জপ না করে কেউ যদি মা কালী বলে ডাকে তাতে হয় না?’ শ্রীমা বললেন, “মন্ত্রের দ্বারা দেহশুদ্ধি হয়, ভগবানের মন্ত্র জপ করে মানুষ পবিত্র হয়।”
শ্রী রামকৃষ্ণ বলছেন— “ছিপ ফেলে ধৈর্য ধরে বসে থাকতে হয়। রাঙা মাথা রুই মাছ ধরার জন্য সময় লাগে। সেই রকম ধৈর্য ধরে সাধনা করা চাই।”
ঠাকুর বলতেন—”ছিপ ফেলে বসলেই কি রোজই রুই মাছ পড়ে? অনেক মাল-মশলা নিয়ে একাগ্র হয়ে বসলে, কোনওদিন বা একটা রুই এসে পড়ল, কোনওদিন বা নাই পড়ল। তাই বলে বসা ছেড়ো না। জপ বাড়িয়ে দাও।”
যিনি মনকে ঈশ্বরে আরোপ করেছেন তাঁর জাগতিক ব্যাপার সকলই আলুনি বোধ হয়। যদি মনটি ঈশ্বরের উপর রাখেন, তখন আর কাজ জ্ঞান করে না। তখন আর বিচার হয় না…
অনন্তের সন্ধানের এই পরিক্রমা ঠাকুর রামকৃষ্ণ, মা সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দকে ধরেই এগিয়ে চলেছে। যাঁরা কেবল শরীর ধারণ করেছিলেন মানুষকে অনন্ত অমৃতের সন্ধান দেওয়ার জন্য।