কিশোরকুমারও যেন নিজের কণ্ঠকে সঁপে দিয়েছেন পঞ্চমের সুরের কাছে। এ যেন কোনও এক অলিখিত চুক্তি। কিশোরের কণ্ঠ আর পঞ্চমের সুর যেন একে ওপরের কাছে বিশেষ ভাবে দায়বদ্ধ।

কিশোরকুমারও যেন নিজের কণ্ঠকে সঁপে দিয়েছেন পঞ্চমের সুরের কাছে। এ যেন কোনও এক অলিখিত চুক্তি। কিশোরের কণ্ঠ আর পঞ্চমের সুর যেন একে ওপরের কাছে বিশেষ ভাবে দায়বদ্ধ।
স্টুডিয়োতে সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। এমন সময় পঞ্চমের প্রবেশ। দু’হাতে দুটি বিয়ারের বোতল। দুটোই অর্ধেক জলে দিয়ে ভর্তি। সবাই তো হতবাক! কী চাইছেন পঞ্চম?
টনি ভাজ ছিলেন পঞ্চমের প্রধান বাস গিটারিস্ট। টনির সঙ্গে পঞ্চমের প্রথম দেখা হয় কোনও একটি হোটেলে। সেই হোটেলে টনি বাস গিটার বাজাতেন।
লুই ব্যাংকস-এর মতো একজন প্রখ্যাত পিয়ানিস্ট ছিলেন পঞ্চমের রত্নসম্ভারের একটি মহামূল্যবান রত্ন। তাঁর জন্ম নেপালে। বাবা ছিলেন একজন জনপ্রিয় ট্রামপেট বাদক।
এমন বহু গান রয়েছে যেগুলিতে ভানু গুপ্তর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন পঞ্চম। ‘তিসরি মঞ্জিল’ থেকে দু’জনের একসঙ্গে পথ চলা শুরু।
‘মুসাফির হু ইয়ারোঁ’ গানটি দিয়েই পঞ্চম-গুলজার জুটির যাত্রা শুরু। গুলজার সাহেবের লেখা এই গানটির সঙ্গে কোথাও হয়তো পঞ্চম নিজের জীবনের কোনও মিল খুজে পেয়েছিলেন।
আরডি তখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, কখনও কখনও তিনি বাড়ি ছেড়ে হোটেলেও রাত কাটাচ্ছিলেন। নিত্যদিনের সাংসারিক কলহ থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখতে চেয়েছিলেন।
নাসির সাহেব শাম্মিকে অনুরোধ করলেন এই ছবির জন্য পঞ্চমের তৈরি গানগুলি অন্তত একটিবার শুনতে। শাম্মিজি রাজি হলেন।
১৯৬৮ সালে মেহমুদ প্রযোজিত আরও একটি কমেডি ছবি ‘পড়োসন’ এ ‘ভোলার’ ভূমিকায় তিনি পেতে চেয়েছিলেন পঞ্চমকে। কিন্তু এ বার আর পঞ্চম রাজি হননি।
স্কুলের দিনগুলি কেটেছে তীর্থপতি ইনস্টিটিউশন এবং বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে। শৈশব থেকেই সংগীতাবহের মধ্যে টুবলুর বেড়ে উঠেছিলেন। বাবা-মায়ের গুণগুলিও তিনি আস্তে আস্তে করে রপ্ত করে ফেলছিলেন।