দেবানন্দ পরিচালিত ‘স্বামী দাদা’ ছবির আনজান-এর লেখা ‘এক রূপ কই নাম’ গানটিতে ভক্তিগীতির ধাঁচে সুরারোপ করেন পঞ্চম। দেবানন্দের লিপে গানটি পরিবেশিত করেন কিশোর।

দেবানন্দ পরিচালিত ‘স্বামী দাদা’ ছবির আনজান-এর লেখা ‘এক রূপ কই নাম’ গানটিতে ভক্তিগীতির ধাঁচে সুরারোপ করেন পঞ্চম। দেবানন্দের লিপে গানটি পরিবেশিত করেন কিশোর।
‘দুক্কি পে দুককি হো’ গানটি আরও একটি পঞ্চমের অনবদ্য সৃষ্টির নিদর্শন। বাঁধনহারা খুশির আমেজ পুরো গানটিতে জিইয়ে রেখে দ্রুত একটি ছন্দের আশ্রয়ে গানটি নির্মিত হয়েছে।
‘জেল যাত্রা’ ছবির ‘বাচনা রাজাজি’ গানটি পঞ্চম সাজিয়েছেন সেই ছন্দে, যে ছন্দের উপর যেনো তাঁর জন্মগত অধিকার। গানটি গাওয়াবার জন্য বেছে নিয়েছেন তাঁর অগ্রজসম কিশোরকে।
শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘বরসাত কি এক রাত’ ছবিটিতে কিশোর এবং লতার গাওয়া ‘আপনে পেয়ার কে স্বপ্নে সচ হুয়ে’ গানটি বোধহয় গায়ক গায়িকা দু’জনের জীবনেরই বহু অবিস্মরণীয় গানের মধ্যে একটি।
দুষ্টুমিতে ভরা ‘ইয়ে লরকি জারাসি’ গানটি গাওয়ার গুরুদায়িত্ব পঞ্চম দিয়েছেন আশাকে, অমিতের জুটি হিসেবে। নির্ভুল ভাবনা। কারণ এই গানে মহিলা-কণ্ঠ হিসেবে আশার যে জুড়ি মেলা ভার!
‘যাহা পে সভেরা হো বসেরা ওহি হ্যায়’ গানটির ক্ষেত্রে পঞ্চম বেছে নেন তাঁর লতাকে। কারণ এই গানটিতে লতাকেই মানায়। এটি পঞ্চমের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা যথাযতভাবে রেখেছেন লতা মঙ্গেশকর।
আজও সমহিমায় থেকে গিয়েছেন পঞ্চম এবং তাঁর সেই সব যুগান্তকারী সৃষ্টিগুলি। যেগুলি আজও বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়ে চলেছে, সমাদর পেয়ে চলেছে।
সুরকার, গীতিকার এবং গায়ক গায়িকারা এই পুজোর সময়টিকেই বেছে নিতেন শ্রোতাদের নতুন গান উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে। শ্রোতাকূলও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন পুজোর গানের ‘লং প্লেইং রেকর্ড’ সংগ্রহ করার আশায়।
ছবির ধরন, পরিচালক কে, নায়ক-নায়িকা কারা, গানগুলিকে কে লিখবেন, চিত্রনাট্যের প্রবাহ কেমন, এমনকি পার্শ্বচরিত্রে কারা কারা অভিনয় করছেন সবকিছু মাথায় রেখে পঞ্চম সুর রচনা করতেন।
পঞ্চম কিশোরের একটি ভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হতে চান? তবে শুনে নিন এই ছবির কিশোরের গাওয়া ‘তেরে ঘুংরু কি আওয়াজ’ গানটি। যেমন সুরের প্রবাহ তেমন কিশোরের সেই মাদকতা মাখানো কণ্ঠ।
‘দোস্ত কো সালাম দুশমন কো সালাম’ গানটির ক্ষেত্রে তরুণ নায়ক সঞ্জয়ের লিপে কিশোরকেই গাওয়ান পঞ্চম। এই সোলো গানটির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও মনে মনে হয়তো নিজের কাছে নিজেই বাজি ধরেছিলেন তিনি।
১৯৮১ সাল পঞ্চমের আরও একটি উল্লেখযোগ্য বছর। এ বছরে একের পর এক কালজয়ী সুর সৃষ্টি করেন পঞ্চম। ‘কুদরত’ ছবির ‘হামে তুমসে পেয়ার কিতনা’ গানটিতে কিশোর হয়তো নিজের রোম্যান্টিকতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন।
‘সাথ সাথ তুম চলো’ গানটি গাওয়ার গুরুভার দেওয়া হয় ভূপিন্দর সিং এবং আশা ভোঁসলেকে। নায়ক মিঠুনের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতেই হয়তো এক্ষেত্রে গায়ক ভূপি সাহেবকে বেছে নেওয়া হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে যাই হয়ে যাক, কাজ কি আর থেমে থাকে? পঞ্চমও ব্যতিক্রম নন। তাঁরও কাজ চলতে থাকে একের পর এক। আসে রবি চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘দা বার্নিং ট্রেন’।
হাজার হলেও মায়ের মন। পুত্রের এহেন আকুতি তো কোনও এক সময় সেটিকে বিগলিত করবেই। হলও তাই। মীরাদেবী সম্মতি দিলেন পঞ্চমকে। তার ফলস্বরূপ বিবাহসুত্রে আবদ্ধ হলেন পঞ্চম-আশা।