কবি বলেছেন, “সহে না যাতনা, দিবস গণিয়া গণিয়া বিরলে”… সোনার খাঁচায় ভরা একেকটা দিন একেকরকম। কোনওটা রঙিন, কোনওটা মলিন, কোনওটা বিষণ্ণ কিংবা বিপন্ন, কোনওটা ভাবগম্ভীর, তীক্ষ্ণ, অন্তর্ভেদী, কোনওটা খাঁচার বাইরে এসে ডানা ঝাপটায়।
রকম-রকম
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫৪: বিশ্বকর্মা
সেপ্টেম্বরের মাঝে আসেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুজো মানে আশ্বিনের শারদপ্রাতে অকাল বোধনের আগে সেমিফাইনাল। ইদানীং গণেশ পুজো একটা কোয়ার্টার ফাইনালের অবকাশ রাখে বটে, তবে বিশ্বকর্মার মেজাজ আলাদা। লোকে বলে, বিশ্বকর্মাই পরে একবার কাত্তিক হয়ে আসেন।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫৩: সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে
সেপ্টেম্বরের আট তারিখ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। জাতিপুঞ্জের মূল লক্ষ্যগুলির অন্যতম বিশ্বজুড়ে লিটারেসি বৃদ্ধি করা, আত্মমর্যাদার উপলব্ধি ও মানবাধিকার রক্ষায় সার্বিকভাবে সচেতন হয়ে ওঠা মানুষের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে মানুষ বলে চিনতে যাতে ভুল না হয় তার জন্য এ সবের আয়োজন।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় দিনে বিশ্ব নারিকেল দিবস। সেই কবেই রবিগুরু বলেছেন, “নারিকেলের শাখে শাখে ঝোড়ো হাওয়া কেবল ডাকে, ঘন বনের ফাঁকে ফাঁকে বইছে নগনদী/ সাত রাজার ধন মানিক পাব সেথায় নামি যদি”…. এবং সেই কারণেই এই দিবস।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫১: ভেলোটা দাঁড়িয়ে হোথা
আগস্টের চার তারিখে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসিসট্যান্স ডগস’ ডে। যে সব কুকুররা, মানে সারমেয়গণ আর্ত রোগীর চলাফেরায় সহায়ক হয়, তাদের কথা মনে রেখেই এদিনের উদযাপন। শুধু এটাই নয়, ছাব্বিশ তারিখে আন্তর্জাতিক সারমেয় দিবস।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫০: তুমি কি কেবলই ছবি?
আগস্টের তেরো তারিখে চলে গিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ইন্টারন্যাশনাল লেফট হ্যান্ডারস’ ডে। বাঁহাতিদের দিন। এরপর উনিশ আর কুড়িতে যথাক্রমে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র দিবস আর, বিশ্ব মশা দিবস। সবগুলি বরণীয় না হলেও স্মরণীয় বটে।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৯: হাতি মেরে সাথী
আগস্টের দশে আন্তর্জাতিক সিংহ দিবসের পরেই বারোই আগস্ট বিশ্ব হস্তী দিবস। ব্যাপারটা হল এই যে, হাতি আর সিংহের যুদ্ধে কে বিজয়ী হবে তা আগে থেকে বলে রাখা খুব মুশকিল। সিংহ যেমন মানুষের জীবন-যৌবন আর আকাঙ্ক্ষার কোণে কোণে রাজকীয় ছায়া রেখেছে, হাতি-ও সেদিক থেকে কিছুমাত্র পিছিয়ে নেই।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৮: তোমার হিংসা, আমার জয়!
আগস্ট মাস এদেশে ও আন্তর্জাতিক স্তরেও বিপুল ঘটনাবহুল। এ মাসেই কোথাও ধ্বংসের ভয়াল স্মৃতি, কোথাও বা যুগসঞ্চিত জাড্য থেকে ফিনিক্স হয়ে উড়েছিল কেউ কেউ। আগামী দশ তারিখ আন্তর্জাতিক সিংহ দিবস।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৭: ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও?
ঋষি অত্রি বললেন, হে প্রভো! কলিযুগে মানবগণের পারস্পরিক সৌহার্দ্যবন্ধন কীদৃশ হবে তা যদি বিশেষরূপে ব্যাখ্যা করেন তাহলে কৃতার্থ হই। আমরা শুনেছি কলিজীবী মহাত্মাগণ সকলেই পরব্রহ্মের সাকার রূপ।
পশ্চিমবঙ্গে ভাগীরথীর প্রথম উপনদী বাঁশলই
গঙ্গা বা ভাগীরথী ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান নদী। অসংখ্য ছোট-বড় নদী এই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে এই নদীর কলেবর বৃদ্ধি করেছে। নদীকে তিলে তিলে করেছে তিলোত্তমা। এমনই এক ছোট্ট নদী বাঁশলই।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৬: ম্যাঙ্গো বাইট
বাইশে জুলাই জাতীয় ম্যাঙ্গো দিবস আর আর ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস। আমে-বাঘে কিংবা আমে-রামে মিশলে কী হয়? আদৌ মেশে কি? হাওড়ার পুলে কী গড়ের মাঠে সকলেই আম, কিন্তু সেখান থেকে যে যার কোজি কর্ণারে পৌঁছলেই বাঘ! যাকে আম ভাবছেন, সে-ই টেবিলের ওপারে বাঘ। যাবে।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৫: ইমোজির সাত-সতেরো
হালের ধরণী প্রযুক্তির বলে দ্বিধান্বিতা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দ্বৈত নাগরিত্বের তত্ত্ব জানা যায়। প্রযুক্তির পৃথিবীতেও দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। মাটির পৃথিবীর নাগরিকরা হাসে, কাঁদে, রাগে, বিদ্রূপ করে বা ঝগড়া করে পুরনো নিয়মে। যাঁরা মাটির পৃথিবীর পাশাপাশি নেট-নগরেও থাকেন, তাঁরা এখানে হাসেন কাঁদেন অন্য নিয়মে।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৪, তারা বলে গেল ক্ষমা করো
আধুনিক যুগে ক্ষমাশীলতা পরম ধর্ম। ক্ষমা শক্তিমান বীরের ভূষণ, প্রাচীন কাল থেকেই তার মাহাত্ম্য সুবিদিত। রাজারা যুদ্ধ করতেন, কাছের শত্রুকে করায়ত্ত করতেন, আর দূরের শত্রুদের থেকে কর নিতেন, ট্যাক্স। তারা প্রদেয় করটি দিয়ে দিলেই হল, নিজের অধীনেই নিজে থাকো।
রাঢ়বঙ্গের অনাদৃত খড়ি নদী
প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নানা জনজাতি, উপজাতি ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বাস করে আসছে এবং নদীটিকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে নানান উপকথা, লোককথা ও জনশ্রুতি।
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৩: ইউ এফ ও
দোসরা জুলাই ছিল বিশ্ব ইউএফও দিবস। আন-আইডেন্টিটিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট, বাংলায় বিশ্ব উড়ন্ত চাকি দিবস। পৃথিবীতে জানার শেষ কিছুই নেই। কলিকালে অবশ্য এর ব্যত্যয় ঘটেছে, বলাই বাহুল্য।