মানেটা কেদারবাবু বুঝিয়ে দিলেন। বিনয়কান্তির বয়স অল্প। এখনও বিয়ে-থা হয়নি। সুতরাং ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার করার মর্ম সে এখনও বোঝেনি। বাবা মা হওয়ার দায় এবং দায়িত্ব দুটোই কঠিন।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং…
পর্ব-৩৫: বসুন্ধরা এবং…
কেদারের চুলে পাক ধরল। কৃষ্ণনগরের জমির ভাগ নেয়নি কেদার । তার সেজদা কেশবের দুই ছেলেকে লিখে দিয়েছে। ভালো ভাড়াটে না পেলে বিনয়রা নেবার আগেও নিচতলা খালি রেখেছে কিন্তু ভাড়া দেয়নি।
পর্ব-৩৪: বসুন্ধরা এবং…
জিপ ছুটছে আরও জোরে। জঙ্গলের মধ্যে গাছের আড়ালে লুকিয়ে বসে থাকা রঙবেরঙের পাখি! বিনয়ের কোনওদিকে নজর নেই। তার নজর নিজের মগজের মধ্যে। মায়ের কথাগুলো কী করে সত্যি করবে সে?
পর্ব-৩৩: বসুন্ধরা এবং…
বিনয় মাকে সামনে নিয়ে গলা নামিয়ে বলতে লাগল – সময়টা ভালো নয় মা। তাই সাবধানতা নিতেই হচ্ছে। ফেরার সময় গাড়িতে তুমি জানতে চাইছিলে আমরা এখন কী করবো?
পর্ব-৩২: বসুন্ধরা এবং…
লোভের বশে যখন বন-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে এল, তখনই তারা বুঝতে পারল তারা ভয়ঙ্কর ঠকে গিয়েছে। বন-জঙ্গলের হিংস্র জানোয়ার এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের সাথে প্রতিদিন লড়াই করে বেঁচে থাকতে হতো তাদের।
পর্ব-৩১: বসুন্ধরা এবং…
গাড়িটাকে রেখে নদীর পাড় বরাবর অনেকটা হেঁটে এসেছে — বিনয় আর বসুন্ধরা। সামনেই বুড়িডিহিং-এর টলটলে জল — নদীপারে দূরে মানুষের ঘরবাড়ি গাছপালা বনজঙ্গলের আঁকিবুকি। তারপর…
পর্ব-৩০: বসুন্ধরা এবং…
নাম্ফাকে বৌদ্ধ বিহার বসুন্ধরাকে চুপ করে থাকতে দেখে স্বর্ণময়ী বলে উঠলো, অপছন্দ হলে বল। খুব কাছেই দোকান। মা-বাবা বসুক। তুমি চলো গিয়ে পাল্টে নিয়ে আসি।
পর্ব-২৯: বসুন্ধরা এবং…
আছাবাম চা-বাগিচা, নাহারকাটিয়া পাহাড়ের কোলে বেশ বড়সড় ছবির মতো বাংলো। বেশ বড়সড়। নিচে গেট থেকে কাঠের সিঁড়ি উঠে গিয়েছে — ওপরে আবার একটা গেট টপকে — মস্ত একটা টানা-বারান্দা।
পর্ব-২৮: বসুন্ধরা এবং…
পরের একটা বছর বিনয়কান্তির জীবনে একটার পর একটা অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল। স্বর্ণময়ীকে আশীর্বাদের এক মাসের মধ্যে — পিটারসন সাহেব আসামের এক চা বাগানের তদারকিতে বিনয়কান্তিকে পাঠালেন।
পর্ব-২৭: বসুন্ধরা এবং…
মাকে নিয়ে বিনয়কে হেঁটে বাড়ি ঢুকতে দেখে আনন্দমোহন বেশ অবাক হয়েছিলেন।
পর্ব-২৬: বসুন্ধরা এবং…
বসুদম্পতি কণিকাদেবী আনন্দমোহনের মুখের দিকে তাকালেন, তারপর একটু ইতস্তত করে জবাব দিলেন, ‘না মানে ওই আর কি, আসতে চাইল না।’ বসুন্ধরা আবার বলল, ‘এতসব শাড়ি ধুতি মিষ্টি কেন আনতে গেলেন।’
পর্ব-২৫: বসুন্ধরা এবং…
‘পর্দা মা পর্দা। বাড়ি ছেড়ে দিলে সেটা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবো। এই জায়গাটার তো এটাই সুবিধে। এই হাতিবাগানের মোড়েই দর্জির দোকান। বাইরের ঘর একেবারে রাস্তার ওপরে।
পর্ব-২৪: বসুন্ধরা এবং…
বাসাবদল অফিসে গিয়ে বিনয়ের যেমন-অনেক খবর দেওয়ার ছিল, তেমনি অনেক খবর পাবারও ছিল। বৃদ্ধ বয়সে গোডাউনের কাজ সামলাতে তারাপদ বাবুর অসুবিধা হবে এটা ভেবে বিনয়কান্তি খুবই কুন্ঠিত ছিল। কিন্তু গিয়ে শুনল তারাপদ বাবু গোডাউনেই কাজ করতে চাইছেন। এই বয়সে এসে অ্যাকাউন্টস-এর খুঁটিনাটি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এসব সামলাতে তার অসুবিধে হচ্ছিল। পিটারসন সাহেব তারাপদবাবুর জায়গায় ক্লাইভ রো অফিসের একাউন্টস ডিপার্টমেন্ট-এ বিনয়কান্তিকে বহাল করলেন। অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট-এ তারাপদবাবু যে মাইনে পেতেন বিনয়কান্তি সেটাই পাবে। মাসে ৭৫ টাকা।...
পর্ব-২৩: বসুন্ধরা এবং…
মুখোমুখি সেই প্রথম থেকে এই আজকে ফেরার দিন পর্যন্ত কাশীর ঘটনাগুলো পরপর ছবির মতো মনের আয়নায় ভেসে উঠতে লাগল। বাচ্চা মহারাজ — স্বামী নিখিলানন্দ। ডাক্তার মানুষ। সুদর্শন সুপুরুষ।
পর্ব-২২: বসুন্ধরা এবং…
তাড়াহুড়োতে একটা বড় অন্যায় হয়ে গেল। বাচ্চা মহারাজের চিঠিটা গুহবাবুর বাড়ি থেকে আনবার পর মাকে নিয়ে কাশী আসার ব্যাপারে আলাদা করে বলে আসা হয়নি। হ্যাঁ, জাহাজঘাটায় গুহবাবুদের তরফে তাঁর বড় ছেলে আসতেন।