সুরঙ্গমা অমলকান্তির দুটি সন্তান। মেয়ে বড় নাম সানন্দা। সে ডাক্তার। আর ছোট আমি সুবর্ণকান্তি। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছি। বাবা আদর করে বলতেন ‘সা’ আর ‘সু’।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং…
পর্ব-৫০: বসুন্ধরা এবং…
বসুন্ধরার কাছে স্বর্ণময়ী সবকিছু খুলে বলে হালকা হল। বিয়ে না হলে ছেলেকে নিয়ে তার ভয়। আর বিয়ে হলে বিনয়কান্তির সামাজিক সম্মান নিয়ে দুশ্চিন্তা।
পর্ব-৪৯: বসুন্ধরা এবং…
‘কথাটা তুমি না বুঝে থাকলে আমার কিছু বলার নেই। সে ক্ষেত্রে আমায় নিজের মুখে বলতে হবে। এই হল আমার এমএ পাশের মেডেল। আমি সুরঙ্গমাকে বিয়ে করব মা।’
পর্ব-৪৮: বসুন্ধরা এবং…
এদিনের মায়ের সঙ্গে এই টুকরো কথোপকথন অমলকান্তি সারাজীবন ভোলেনি। মায়ের কথাগুলো শোনার পর ক্রমে পারিবারিক ঐতিহ্যে আত্মস্থ হবার চেষ্টা করে গেছে বাকীজীবন।
পর্ব-৪৭: বসুন্ধরা এবং…
স্বর্ণ ঠিকুজি-কুষ্ঠিতে বিশ্বাসী। আবার এই ভাগ্যগণনা এ পরিবারে ভয়ানক বিপদ ডেকে এনেছিল। তাই বিনয়কান্তি ওসব বিশ্বাস করে না। বসুন্ধরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝে দোদুল্যমান। কৃষ্ণসুন্দরের মৃত্যু হুবহু মিলেছিল।
পর্ব-৪৬: বসুন্ধরা এবং…
সৌরভের জন্মের পর থেকেই বিনয়কান্তি বুঝতে পারত মানুষ চিনতে তার হয়ত একটু ভুল হয়ে গিয়েছে। প্রবোধ ছেলে হিসেবে ভালো।
পর্ব-৪৫: বসুন্ধরা এবং…
বিনুর ছয় মাস বয়স থেকে তার বিয়ে পর্যন্ত প্রায় ২৬টা বছর, বসুন্ধরা তার ছেলেকে নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন। পরিবার ছিল মাত্র দু’জনের। স্বর্ণময়ী আসার পর বসুন্ধরা স্বর্ণময়ীকে বলেছিল তোকে পরিবার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
পর্ব-৪৪: বসুন্ধরা এবং…
বিকাশকান্তি ছোট থেকেই শান্ত স্বভাবের তাই জিপগাড়ির দখল তার দাদা গগনকান্তির কাছেই ছিল। গ্রেস স্ট্রিটের বাড়ির তৃতীয় গ্যারেজে জায়গা হল সেই উইলিস জিপের।
পর্ব-৪৩: বসুন্ধরা এবং…
বিনয় নিজেও জানত যে বিনয়ের মতো ছেলে হয়তো অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু অনেক খুঁজেও বসুন্ধরার মতো মা পাওয়া যাবে না।
পর্ব-৪২: বসুন্ধরা এবং…
গলফ খেলাটা বিনয় আগে ক্লাবেই দেখেছে। কোনওদিন মাথায় ক্যাপ পরে হাতে গলফ স্টিক বা গলফের ভাষায় যেটাকে ক্লাব বলে, সেটা নিয়ে গলফ খেলতে গলফ কোর্সে পা দেয়নি। কিন্তু সে নিয়মকানুনগুলো জানে।
পর্ব-৪১: বসুন্ধরা এবং…
বিনয় গগনের দিকে তাকায়। আব্দুল সেটা খেয়াল করেই নিজের গলার কালো সুতোর তাবিজটা একটানে ছিঁড়ে বিনয়কে দিয়ে বলে—এই তাবিজ খোকার গলায় পরায়ে দেন।
পর্ব-৪০: বসুন্ধরা এবং…
১৯৪০-এ গাড়ি কিনলেন বিনয়কান্তি। বাদামি রঙের স্টুডিবেকার চ্যাম্পিয়ন। রাজসিক চেহারা। বহাল হল ড্রাইভার। প্রথম দিন স্বর্ণময়ী বসুন্ধরাকে নিয়ে ছুটল দক্ষিণেশ্বরে। মা ভবতারিণীর আশীর্বাদ নিতে।
পর্ব-৩৯: বসুন্ধরা এবং…
পিটারসন সাহেব তখন কয়েক মাসের ছুটিতে লন্ডনে আছেন, বিনয়কান্তি একাই তখন সমস্ত ব্যবসা দেখাশোনা করছে। সেই সময় ক্লাইভ রো অফিসে বিনয়কান্তির সঙ্গে দেখা করতে এলেন এক যুবক।
পর্ব-৩৮: বসুন্ধরা এবং…
লাল পাড় গরদের শাড়ি পরেছে স্বর্ণময়ী। হয়তো তার মায়ের শাড়ি। মাথার খোলাচুল তখনও ভিজে। ডান কাঁধে এলানো চুলে একটা গিঁট দেওয়া। বাম কাঁধ থেকে আঁচল ঘুরে এসে ডান কাঁধে ফেলা চুলকে খানিক ঢেকে…
পর্ব-৩৭: বসুন্ধরা এবং…
একদিন অফিস থেকে ফিরে বিনয় ব্যাগ রেখে বলল—
— কড়া করে আদা দিয়ে দু-কাপ চা বানাও তো মা!! মোড়ের দোকানে সিঙাড়া ভাজছে দেখে এসেছি।