স্বর্ণময়ী তখনও ধাতস্থ হতে পারেনি। কী হচ্ছে সেটা সে কিছু আন্দাজ করতে পারছে না। কিন্তু কী কেন ওই সব বারবার জিজ্ঞেস করে স্বামীকে বিরক্ত করার মতো মহিলা স্বর্ণময়ী নয়।

স্বর্ণময়ী তখনও ধাতস্থ হতে পারেনি। কী হচ্ছে সেটা সে কিছু আন্দাজ করতে পারছে না। কিন্তু কী কেন ওই সব বারবার জিজ্ঞেস করে স্বামীকে বিরক্ত করার মতো মহিলা স্বর্ণময়ী নয়।
দু’ জন পুলিশ অফিসার খুব বড় ঝুঁকি নিয়েছিল। ঘরভর্তি ছাত্র অমিতাভ-মনীষা পালাবার চেষ্টা করলে গুলিগোলা হয়তো চলত। কমবয়সী ছাত্রদের জীবনের ঝুঁকি থাকত।
দেশ স্বাধীন করার আগে সশস্ত্র আন্দোলনের বিপ্লবীদের মধ্যে পরাধীনতার জ্বালা ছিল। ইংরেজদের দেশ ছাড়া করার জেদ ছিল। তাই তারা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
আচমকা একটা ঘটনায় বসুন্ধরা ভিলার সকলে চমকে উঠল। বাবুদাদা কদিন টিউশনে যাচ্ছে না। সরাসরি স্কুল করে বাড়ি চলে আসছে। অমিতাভদা মনীষাদি দুজনেই নাকি জলপাইগুড়ি গিয়েছেন।
বাবুদাদা সৌরভের দাদা গৌরব যখন যোধপুর পার্ক বয়েজে ক্লাস সেভেনে উঠলো তখন থেকে একজনের কাছে অংক করতে যেত। স্কুলের পর। বেশি বয়স নয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শিক্ষক শিক্ষিকা।
সৌরভ বা আভেরি দুজনেই যখন একটা লো-কি ম্যারেজ প্রোগ্রাম চাইছে, সেটা গার্জেন হিসেবে আমাদের মেনে নেওয়া উচিত এবং ওদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আভেরির বাবা ছোট্ট থেকে পড়াশোনার জগতের মানুষ। তিনি মেজভাই। দাদা বা ভাইদের ব্যবসাতে মাথাও দেননি আর ব্যবসার রোজগারের কোন ভাগও তিনি নিতেন না। আভেরির দাদু বিষয়ী মানুষ ছিলেন।
শান্তিলতার পরিশ্রম ও উদ্যমে বসুন্ধরা ফ্যাশন উচ্চবিত্ত মহলে পরিচিত হয়ে উঠল। পারিবারিক পরিচিতির সূত্র ধরে শহরের অনেক নামিদামি মানুষ বসুন্ধরা ফ্যাশনে যাতায়াত শুরু করলেন। বিনয়কান্তি এতটা ভাবেনি।
চিনুদাদার বিয়েটা খুব এঞ্জয় করেছিলাম। বিয়ের পরে ওরা শিমলাতে হনিমুন সেরে এল। বিয়ে হয়ে যাবার পরও চিনুদাদাকে নিয়ে বাবার ঠাট্টা, ইয়ার্কি বন্ধ হয়নি।
চিনুদাদা যে শুধু গুরুকে কথা বলায় নকল করেছিল তা নয়, বড় বড় পণ্ডিত ওস্তাদদের নাম বললেই কানে হাত দেওয়ার পোশাকি ধরণও নকল করেছিল। শুধু বাজনাটাই আর হয়ে উঠল না। মানে ধৈর্যে কুলোলো না।
বড়ঠাম্মির মতো দূর্ভাগ্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর ক্ষমতা, দাদুর মতো জেদ নিজের ভাগ্যকে গড়ে নেবার দূর্দম সাহস বা আমার ঠাম্মির মতো সরাসরি কথা বলার ক্ষমতা ন’কাকা তরুণকান্তির ছিল না।
সুবর্ণকান্তির এটা একটা বড় সমস্যা। তার লেখা আপন গতিতে চলে। লেখাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না লেখা তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বড় সাহিত্যিকরা নিশ্চয়ই লেখাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাই তাঁরা এত নামি-দামি।
শ্রাদ্ধে ফুলকাকা আসেনি। আর বাড়ির এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে পরিবারের আরও দু’ জন অনুপস্থিত ছিল। আবার ন’কাকিমা মানে তরুণকান্তির স্ত্রী সুজাতা দত্ত আর তাঁর ছেলে প্রণয়কান্তি।
কুমারটুলি দলে আমার ছোটকা ‘কে কে’ ছিলেন অন্যতম বিশিষ্ট কর্মকর্তা। বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে নানান আর্থিক সাহায্য জোগাড় করা, বিজ্ঞাপন জোগাড় করা এসবে সিদ্ধ ছিলেন ছোটকা।
ফুটবল খেলার টানটান ৯০ মিনিটের উত্তেজনার মতো নাটকেও একটা উত্তেজনা থাকত। মঞ্চে থাকার সময়টুকুর উত্তেজনা। কোন এক বিশেষ দৃশ্যের অভিনয় আলো ও শব্দ মিলেমিশে গড়ে ওঠা কয়েকমূহুর্তের কোনও ম্যাজিক।