পারিবারিক পরম্পরা বা সহবৎশিক্ষা সবসময় যে সকলকে লোভ ঔদ্ধত্য অহংকার থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে এমনটা নয়। একই পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম বা সহোদর ভাই বা বোনেরাও ভিন্ন রুচির হতে পারে। ভিন্ন রুচির হয়। এমন প্রমাণ বসুন্ধরা ভিলাতেও আছে।

পারিবারিক পরম্পরা বা সহবৎশিক্ষা সবসময় যে সকলকে লোভ ঔদ্ধত্য অহংকার থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে এমনটা নয়। একই পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম বা সহোদর ভাই বা বোনেরাও ভিন্ন রুচির হতে পারে। ভিন্ন রুচির হয়। এমন প্রমাণ বসুন্ধরা ভিলাতেও আছে।
ঠাকুরঘরেই শ্রাদ্ধে বসেছে মুমু মানে মৃন্ময়কান্তি। ঠাকুরঘরের দেয়ালে পিঠ রেখে স্থানুর মতো বসে আছেন আমার ঠাম্মি। স্বর্ণময়ী। তাঁর দুগাল বেয়ে নেমে আসছে চোখের জল।
জীবন-মৃত্যুর এমন নাটকীয় সন্ধিক্ষণ পৃথিবীর একপ্রান্তে স্রষ্টার শেষ অন্য প্রান্তে সৃষ্টির শুরু। কেউ কাউকে দেখলো না। কেউ কাউকে জানলো না।
ঠিক একদিন পর ২২ তারিখ বিকেলের দিকে ঋতুর অস্থিরতা শুরু হল। সন্ধের পর প্রসববেদনা শুরু হল। রাতে এসে ঋতুকে দেখে সানন্দা নিজে গিয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা দিল।
যদি এমন ঘটে। রাস্তায় ঘাটে শুটিং স্পটে তাকে কেউ ফিরে দেখছে না। জোর করে বাজারে দোকানে রাস্তার ফুটপাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার দিকে চোখ তুলে দেখার কারও সময় নেই। কী হবে সেই মানুষটার মানসিক অবস্থা।
তাদের হাতে শাঁখ থাকে বটে কিন্তু শঙ্খধ্বনি বা উলুধ্বনি দেবার জন্য এজেন্সি আলাদা করে ভাড়াটে লোক নিয়ে আসে। তারাও লাল পাড় সাদা শাড়িতে ইমিটেশন গয়নার সুসজ্জিতা।
আমার ছোটকাকে বাইরে থেকে যতটা হালকা স্বভাবের মনে হয় সে কিন্তু তা নয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বসুন্ধরা ভিলার অনেক চরিত্রের মতোই সে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু তার একটা সোনায় মোড়া হৃদয় ছিল।
শিবানীদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা সরু। একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে অন্য গাড়িটা পাস কাটিয়ে যেতে অসুবিধা হবে। তাই হয়তো গাড়িটা এগিয়ে একটু ফাঁকা জায়গায় রাখতে বললেন ড্রাইভারকে।
‘আরে এত শিবানী। কাশী বিশ্বনাথের অভিনয় করে।’ সেদিন শিবানী যখন তড়িঘড়ি হল থেকে বেরিয়ে যায় ঘটনাটা কেকের সামনে ঘটেছিল।
আজকের এই মুহূর্তের যোগাযোগের দিনে এসে সে সময়ের অনুভূতিটা ঠিক ভাবা যায় না। শিবানী ঠিক করে নেয় ইন্দ্র বাড়ি ফিরলেই আজ পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নেবে।
নিজে ডাক্তার হলেও আমার ফুল কাকা ডাক্তার বিমল কান্তি খুব প্ল্যানচেট করতেন এবং প্ল্যানচেটে বিশ্বাস করতেন। এমনকি বিলেতেও নিয়মিত প্লানচেট করতেন।
জানলার দিকে দেয়াল ঘেঁষে ঘরে ঘুমোচ্ছে ইন্দ্র। মুখ চোখ ঘামে ভেজা। মিয়োনো আলোয় চকচক করছে ইন্দ্র’র ঘামে ভেজা ক্লান্ত শরীর। তবু সে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।
শিবানী বাড়ির ভিতরে ছিল। ইন্দ্র ছিল রাস্তায়, রিক্সা স্ট্যান্ড এর পেছনে একটা চায়ের দোকানে বসে লক্ষ্য করছিল। সিংহানিয়ার শালা বাড়িতে ঢোকার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে শিবানী তার বড় ভ্যানিটি ব্যাগটা নিয়ে নেমে এল।
ভোরবেলায় দরজা ধাক্কানোর শব্দে ধড়মড় করে উঠে বসে শিবানী। ভয়ে ভয়ে দরজা খুললো। অবাক হয়ে দেখল দরজা আসলাম দাঁড়িয়ে। খবর না পাঠালে কখনও আসলাম আসে না।
কলকাতায় দিনের পর দিন স্টুডিয়োতে গিয়েছে ক্যামেরার থেকে দূরে গ্রুপ ড্যান্সের দঙ্গলে কাজ করতে চায়নি। কাজ না পেয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু বম্বেতে এসে সেই জেদ বজায় রাখতে পারেনি।