আপনাদের সকলের কাছে আমার একটা সবিনয় প্রশ্ন আছে। আমার এই ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা কি আমি আর বলব? আপনারা না বললে আমি কোনও দুঃখ পাবো না। তাহলে আমার পরবর্তী বক্তারা বলবার সুযোগ পাবেন, আপনাদের মতো আমিও তাদের কথাও শুনতে পারব।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং…
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৫১: প্রায়শ্চিত্ত
ঈশ্বর পৃথিবীর সবকিছুতে সময়ের নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। বাড়ির দলিলের এই আইন মোতাবেক পরিবর্তনটা জরুরি ছিল। তাই বিনয়কান্তি দত্ত শারীরিকভাবে সজ্ঞানে ছিলেন। বসুন্ধরা ভিলায় এখন আর ছন্দ নেই সুর নেই। সর্বত্র যেন সুরতাল ছন্দহীন সময়ের ক্রমাগত ক্ষয়। বাড়িতে দু-দুজন অত্যন্ত সংকটজনক রোগী। ব্যবসায়ের আগের সময়কার রমরমা কমে আসছে। বসুন্ধরার স্বপ্নে দেখা সেই সকলকে নিয়ে ভরা সংসারের শিকড়ের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৫০: পুনরুত্থান
এরমধ্যে সুরঙ্গমার কাছে বাবলির একটা চিঠি এল। সেই চিঠির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা করে প্রণয়কান্তি ও বাবলি’র ই-মেল মারফৎ আবেদনের ছাপা কপি রয়েছে। প্রণয়কান্তি জানিয়েছে, তার যদি কিছু কিছু অর্থকরী পাওনা হয়ে থাকে সেই টাকা স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে সে দান করে দিতে চায়।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৯: আত্মশুদ্ধি
সুজাতা চিৎকার করে উঠলেন। তাড়াহুড়ো করে প্রণয়কে বাধা দিতে গিয়ে হুইলচেয়ারের চাকায় পা জড়িয়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে পুরো শরীরের ভার নিয়ে মেঝের ওপর পড়ে গেলেন। নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে লাগলো। সুরঙ্গমা আর বাবলি ছুটে গিয়ে সুজাতাকে সোজা করে শোয়াতে গিয়ে দেখলেন সুজাতার জ্ঞান নেই।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৮: স্বীকারোক্তি
দিল্লিতে সামরিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েও ন’ কাকিমা তন্ত্রমন্ত্র বশীকরণ বাণ মারা, এসব কালা জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশ্বাস করতেন। দিল্লি কালীবাড়িতে নাকি একজন তান্ত্রিক আসতেন। তাঁর কাছেই অবিবাহিতার সুজাতা এবং তাঁর মা ঘন ঘন যেতেন। সেই তান্ত্রিক বাবাকে নিয়ে কি একটা সমস্যা হবার পর কালীবাড়ি কমিটি কালীবাড়ির মধ্যে তার বসার ওপর নিষেধ জারি করেন…
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৭: গোপনীয়তা
অরুণাভ-বাবলিকে একসঙ্গে দেখে প্রণয়ের হিংসা তাকে অপহরণ করার ছক তারপর সেই ঘটনা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার মুহূর্তে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাড়ির কথায় নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঔদ্ধত্য ভুলে আত্মসমর্পণ। এই সব কিছু প্রণয়কে একেবারে বদলে দিল। সেই বদলটা বাইরের নয় ভেতর থেকে বদলে গেল প্রণয়কান্তি দত্ত। কিন্তু এতদিনের যে ভুল যে অন্যায় প্রণয় করেছে তার মাশুল তো তাকে দিতেই হবে। এক ভয়ংকর মাশুল দিতে হল তাকে।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৬: পরামর্শ চায় অরুণাভ
বাবা এরকম কিছু একটা আন্দাজ করেছিলেন। বাবা একবার মায়ের দিকে তাকালেন। হয়তো নিঃশব্দে বলতে চাইলেন, প্রণয়ের জন্য আর কত পাপ করতে হবে। মা-ও তাঁর দৃষ্টিতে হয়ত বুঝিয়ে দিলেন, প্রণয় নয় বাবলির জন্য করতে হবে। বাবা চুপ করে চোখ বুজিয়ে ভাবলেন। আসলে এটা যেন সেই বিশেষ মুহূর্ত, যখন সাহিত্যিক অমলকান্তি দত্ত তাঁর নিজস্ব ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৫: প্রভাবশালী প্রণয়
স্টুডিয়ো থেকে কলকাতার একটু বাইরে কোলাঘাটের কাছে একটা কালীপুজোর উদ্বোধনে যাওয়ার কথা ছিল অরুণাভর। আগরওয়াল বুদ্ধি করে এই টোপটা অরুণাভর কাছে তারই লোক দিয়ে পাঠিয়েছিল। মোটা টাকা অ্যাপিয়ারেন্স মানি। স্টুডিয়ো থেকে গাড়ি করে নিয়ে যাবে রাতে কলকাতা পৌঁছে দেবে।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৪: অব্যাহতি
বাবা ফোনটা ধরে কোন ভণিতা না করে সরাসরি বললেন —প্রণয়! সেজ্জেঠু বলছি। তোর খুব বড়ো বিপদ ! বাঁচতে চাস তো যেখানে যে অবস্থায় আছিস, সেখান থেকে এক্ষুনি বাড়িতে আয় ! আমি লাইব্রেরি ঘরে অপেক্ষা করছি। হাতে সময় কম। নিজে লেখেন বলে বাবা জানতেন প্রণয়কে ধাক্কা দিয়ে ঘটনার গভীরতা না বোঝাতে পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৩: কলঙ্ক
আসলে ছোটবেলা থেকে দিল্লিতে পড়াশোনা বেড়ে ওঠা, ওর এখনও এডজাস্টমেন্ট-এর অসুবিধে হয়। বিশ্বাস করে মনের কথা মানে কাজের পছন্দ অপছন্দ, খারাপ লাগা এসব মন খুলে কাউকে বলতে পারে না, বুঝতে পারি সবাই আমার মতো নয়। কারও কারও মনের জমে থাকা ধোঁয়া বের করে দেবার চিমনী লাগে।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪২: অরুণাভ অন্তর্ধান
আসলে আমরা যে সময় বড় হয়েছি, সেই সময় মানুষের সভ্যতা ভদ্রতা আচার-আচরণে চুইংগামের মত স্বার্থ লেগে থাকত না। আমরা যখন বুড়ো হলাম দেখলাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আচার-আচরণ স্বার্থের তেলে চুপচুপ করছে তার গায়ে সভ্যতা ভদ্রতার গঙ্গাজলের ছিটেফোঁটা ছুঁতেই পারছে না।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪১: ছবি
ছবিটা দেখে বাবলি প্রথমে থতিয়ে গিয়েছিল। এতটা সাবধানতা নেবার পরেও এরকম কোনও ছবি উঠবে সেটা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। আর তার এই থতিয়ে যাওয়াতেই প্রণয় বাবলির সঙ্গে অরুণাভর সম্পর্কের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গেল।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪০: ছোবল
মদের আধিক্য আমাদের শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে খুব ধীরে ধীরে অকেজো করে দেয়। ব্রেনসেল শুকিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের সেরাটোনিন লেভেল কমিয়ে দেয়। এর ফলে যে ডিপ্রেশন ভুলতে মানুষ মদ খায় মদ সেই ডিপ্রেশনকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৩৯: বিজয়া দশমী
এ বার বসুন্ধরা আর স্বর্ণময়ীর ছবি রেখে পুজোর আয়োজন হল। খাওয়াদাওয়া হল। নিয়মমেনে পুজো হল। ইভেন ম্যানেজমেন্ট এর লোকজন ছুটোছুটি করে ভিড় সামলালেন। তবে এ বছরের জলসাতে তেমন কোন আকর্ষণ ছিল না। এমনিভাবেই পুজোর চারটে দিন কেটে গিয়ে বিজয়া দশমী এল। বরণ হল, সিঁদুরখেলা হল।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৩৮: ক্ষত
বাবলি একটা অদ্ভুত দোটানায় ভুগছে। ছোটবেলায় মোটর দূর্ঘটনায় বাবার ভয়ঙ্কর মৃত্যু চোখের সামনে দেখেছে। দেখেছে জ্ঞান হারানোর ঠিক আগের মুহুর্ত পর্যন্ত অনেক চিকিৎসার পর সেই মানসিক ঝড় কাটিয়ে আবার পড়াশোনায় ফিরেছিল বটে কিন্তু দুঃস্বপ্নের দগদগে ক্ষত থেকে গিয়ে মনের গভীরে।