মুনি যুধিষ্ঠিরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে মহারাজ, এই হল সেই মহাসমুদ্র, যা থেকে দেবতারাও উত্পরন্ন হয়েছেন।’ জলের অধিপতি বরুণদেবকে স্মরণ করে যুধিষ্ঠির সেই মহাসমুদ্রেও অবগাহন করলেন।
মহাভারতের আখ্যানমালা
পর্ব-৪৪: বনের পথে গল্প রাশি রাশি— যাত্রাপথ যত এগোয় তত অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে ওঠে পাণ্ডবদের
বিভাণ্ডকমুনি কোন একসময় তপস্যা করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে তপস্থলীর পাশের এক সরোবরে স্নান করতে নামেন। সেই পথে স্বর্গের অপ্সরাশ্রেষ্ঠা উর্বশীকে যেতে দেখে তাঁর তপঃক্লান্ত মন উচাটন হয়।
পর্ব-৪৩: সমুদ্রশোষণ তো হল, এবার পূরণ করবে কে?
ইক্ষ্বাকুবংশের রাজা ছিলেন সগর। তিনি অপুত্রক ছিলেন। পুত্রকামনায় পত্নীদের সঙ্গে করে তিনি মহাদেবের তপস্যায় ব্রতী হন। তাঁর কঠোর তপস্যায় সন্তুষ্ট মহাদেব তাঁকে বর দেন।
পর্ব-৪২: মহাসমুদ্রের জলপান করলেন অগস্ত্যমুনি
দেবতারা অগস্ত্যমুনির দ্বারস্থ হলেন। আর্জি জানালেন দুর্দান্ত কালেয়দানবদের কীভাবে বধ করা যায়, তার উপায় যদি অগস্ত্য বলে দেন।
পর্ব-৪১: অবশেষে কালেয়দমন চিন্তায় অগস্ত্যমুনির শরণাপন্ন হলেন দেবতারা
সত্যযুগে কালেয় নামের বহু দানব ছিল। তারা কশ্যপমুনির স্ত্রী কালার সন্তান ছিল। বৃত্রাসুরকে তারা নিজেদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করে দেবতাদের পর্যুদস্ত করবার জন্য তৈরি হয়েছিল।
পর্ব-৪০: লোপামুদ্রার আবদারে ধনের অনুসন্ধানে নির্গত হলেন অগস্ত্যমুনি
ইল্বল অতি যত্নে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করে সকলকে আহ্বান করল। নিজের হাতে সকলকে পরিবেশন করলে সে। ইল্বলের লক্ষ্য ছিলেন অগস্ত্যমুনি। কারণ, তিনিই ছিলেন একমাত্র ব্রাহ্মণ।
পর্ব-৩৯: ইল্বলদৈত্য আর অগস্ত্যমুনির কথা
লোপামুদ্রা যখন বিবাহযোগ্যা হলেন, বিদর্ভরাজ তাঁকে উপযুক্ত পাত্রস্থ করবার জন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন, তখন অগস্ত্যমুনি তাঁর অন্তর্দৃষ্টিতে এই সমস্ত কিছুই জানতে পারলেন।
পর্ব-৩৮: পাণ্ডবেরা চললেন তীর্থে
বৃহদশ্বমুনি নলরাজার গল্প শুনিয়ে যুধিষ্ঠিরকে এই বলে আশ্বস্ত করলেন, ‘হে রাজন্ আমি তোমায় অক্ষবিদ্যা শিখিয়ে দেব। তাহলে তোমায় আর সবসময় পাশাখেলার ভয়ে দিন কাটাতে হবে না।’ মুনি কথা রাখলেন।
পর্ব-৩৭: পুষ্কররাজাকে পরাস্ত করে রাজ্য ফিরে পেলেন নলরাজা
ঋতুপর্ণরাজাও সব ঘটনা শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন। বাহুকের গুণমুগ্ধ ছিলেন তিনি। তিনি জানতেন, বাহুক নিতান্ত সাধারণ কোন মানুষ নন। আজ সে সন্দেহ দূর হল। তিনি ফিরে গেলেন নিজ রাজ্যে।
পর্ব-৩৬: অক্ষবিদ্যাশিক্ষা করলেন নলরাজা
দময়ন্তী বাহুক বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিজের পুত্রকন্যাকে বাহুকরূপী নলের কাছে পাঠালেন। নলরাজা পুত্রকন্যাকে পেয়ে তাদের কোলে নিয়ে কেঁদে ভাসালেন। কিন্তু তবুও নিজের পরিচয় প্রকাশ করলেন না।
পর্ব-৩৫: বাহুকরূপী নলের রথ ঋতুপর্ণরাজাকে নিয়ে তীব্র বেগে বিদর্ভের পথে চলল
মেয়ের ফিরে আসায় রাজ্যে যতই উত্সব চলুক, মেয়ের বিষণ্ণ মুখখানা কিন্তু রানীর চোখ এড়াল না। মেয়ের কষ্ট তাঁকেও দগ্ধ করতে লাগল অন্তরে। ধীরে ধীরে সেই বিষণ্ণতা গ্রাস করে ফেলল অন্তঃপুরের সকলকে।
পর্ব-৩৪: অবশেষে দময়ন্তী ফিরে গেলেন পিতৃগৃহে…
এদিকে নলরাজা নিজের এমন বিকৃত দশা দেখে হতবাক হয়ে গেলেন। কর্কোটক নাগ রাজার এই মনের অবস্থা বুঝতে পারলেন। তিনি বলে উঠলেন, রাজা আপনার মঙ্গলের জন্যই এমন বিকৃত দশা করলাম।
পর্ব-৩৩: কর্কোটকনাগের দংশনে নলরাজার শরীর বিকৃত হল
বনের পথে বহু পথ পেরিয়ে সেই বণিকেরা এক মনোরম সরোবরের তীরে উপস্থিত হল। সেই সরোবরের তীরে ছিল প্রচুর ঘাস আর সবোবরের জল ছিল নির্মল। আর সেখানেই রাত কাটাবে বলে স্থির করল।
পর্ব-৩২: নির্জন বনপথে একাকিনী দময়ন্তী হেঁটে চলেন
দময়ন্তী যতটা না নিজের জন্য কাতর হলেন, নলের জন্য শোক তাঁকে আরও আকুল করে তুলল। তাঁর সে হাহাকার এক ব্যাধের কানে পৌঁছল। ব্যাধ দময়ন্তীর রূপে মুগ্ধ হল। মনে তার তীব্র কামনার উদ্রেক হল।
পর্ব-৩১: পাশায় নিঃস্ব নলরাজা পত্নী দময়ন্তীকে ত্যাগ করলেন
পাখিগুলো রাজার পরনের কাপড় নিয়ে উড়ে গেল আর যাওয়ার সময় নলের কাতর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে গেল, ‘রাজা সত্যই তোমার বুদ্ধিনাশ হয়েছে। আমরা হলাম সেই পাশা।