মুনি যুধিষ্ঠিরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে মহারাজ, এই হল সেই মহাসমুদ্র, যা থেকে দেবতারাও উত্পরন্ন হয়েছেন।’ জলের অধিপতি বরুণদেবকে স্মরণ করে যুধিষ্ঠির সেই মহাসমুদ্রেও অবগাহন করলেন।

মুনি যুধিষ্ঠিরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে মহারাজ, এই হল সেই মহাসমুদ্র, যা থেকে দেবতারাও উত্পরন্ন হয়েছেন।’ জলের অধিপতি বরুণদেবকে স্মরণ করে যুধিষ্ঠির সেই মহাসমুদ্রেও অবগাহন করলেন।
বিভাণ্ডকমুনি কোন একসময় তপস্যা করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে তপস্থলীর পাশের এক সরোবরে স্নান করতে নামেন। সেই পথে স্বর্গের অপ্সরাশ্রেষ্ঠা উর্বশীকে যেতে দেখে তাঁর তপঃক্লান্ত মন উচাটন হয়।
ইক্ষ্বাকুবংশের রাজা ছিলেন সগর। তিনি অপুত্রক ছিলেন। পুত্রকামনায় পত্নীদের সঙ্গে করে তিনি মহাদেবের তপস্যায় ব্রতী হন। তাঁর কঠোর তপস্যায় সন্তুষ্ট মহাদেব তাঁকে বর দেন।
দেবতারা অগস্ত্যমুনির দ্বারস্থ হলেন। আর্জি জানালেন দুর্দান্ত কালেয়দানবদের কীভাবে বধ করা যায়, তার উপায় যদি অগস্ত্য বলে দেন।
সত্যযুগে কালেয় নামের বহু দানব ছিল। তারা কশ্যপমুনির স্ত্রী কালার সন্তান ছিল। বৃত্রাসুরকে তারা নিজেদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করে দেবতাদের পর্যুদস্ত করবার জন্য তৈরি হয়েছিল।
ইল্বল অতি যত্নে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করে সকলকে আহ্বান করল। নিজের হাতে সকলকে পরিবেশন করলে সে। ইল্বলের লক্ষ্য ছিলেন অগস্ত্যমুনি। কারণ, তিনিই ছিলেন একমাত্র ব্রাহ্মণ।
লোপামুদ্রা যখন বিবাহযোগ্যা হলেন, বিদর্ভরাজ তাঁকে উপযুক্ত পাত্রস্থ করবার জন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন, তখন অগস্ত্যমুনি তাঁর অন্তর্দৃষ্টিতে এই সমস্ত কিছুই জানতে পারলেন।
বৃহদশ্বমুনি নলরাজার গল্প শুনিয়ে যুধিষ্ঠিরকে এই বলে আশ্বস্ত করলেন, ‘হে রাজন্ আমি তোমায় অক্ষবিদ্যা শিখিয়ে দেব। তাহলে তোমায় আর সবসময় পাশাখেলার ভয়ে দিন কাটাতে হবে না।’ মুনি কথা রাখলেন।
ঋতুপর্ণরাজাও সব ঘটনা শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন। বাহুকের গুণমুগ্ধ ছিলেন তিনি। তিনি জানতেন, বাহুক নিতান্ত সাধারণ কোন মানুষ নন। আজ সে সন্দেহ দূর হল। তিনি ফিরে গেলেন নিজ রাজ্যে।
দময়ন্তী বাহুক বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিজের পুত্রকন্যাকে বাহুকরূপী নলের কাছে পাঠালেন। নলরাজা পুত্রকন্যাকে পেয়ে তাদের কোলে নিয়ে কেঁদে ভাসালেন। কিন্তু তবুও নিজের পরিচয় প্রকাশ করলেন না।
মেয়ের ফিরে আসায় রাজ্যে যতই উত্সব চলুক, মেয়ের বিষণ্ণ মুখখানা কিন্তু রানীর চোখ এড়াল না। মেয়ের কষ্ট তাঁকেও দগ্ধ করতে লাগল অন্তরে। ধীরে ধীরে সেই বিষণ্ণতা গ্রাস করে ফেলল অন্তঃপুরের সকলকে।
এদিকে নলরাজা নিজের এমন বিকৃত দশা দেখে হতবাক হয়ে গেলেন। কর্কোটক নাগ রাজার এই মনের অবস্থা বুঝতে পারলেন। তিনি বলে উঠলেন, রাজা আপনার মঙ্গলের জন্যই এমন বিকৃত দশা করলাম।
বনের পথে বহু পথ পেরিয়ে সেই বণিকেরা এক মনোরম সরোবরের তীরে উপস্থিত হল। সেই সরোবরের তীরে ছিল প্রচুর ঘাস আর সবোবরের জল ছিল নির্মল। আর সেখানেই রাত কাটাবে বলে স্থির করল।
দময়ন্তী যতটা না নিজের জন্য কাতর হলেন, নলের জন্য শোক তাঁকে আরও আকুল করে তুলল। তাঁর সে হাহাকার এক ব্যাধের কানে পৌঁছল। ব্যাধ দময়ন্তীর রূপে মুগ্ধ হল। মনে তার তীব্র কামনার উদ্রেক হল।
পাখিগুলো রাজার পরনের কাপড় নিয়ে উড়ে গেল আর যাওয়ার সময় নলের কাতর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে গেল, ‘রাজা সত্যই তোমার বুদ্ধিনাশ হয়েছে। আমরা হলাম সেই পাশা।