তিন দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট খুব বেশি থাকবে না। বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।

তিন দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট খুব বেশি থাকবে না। বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
২৪ অশ্বিনী দত্ত রোডে ‘শরৎচন্দ্রের বাসভবন’-এ গত রবিবার ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বসেছিল ‘বিকেল বাসর কলকাতা’র শারদ উৎসব। এদিন ছিল এই সংস্থার জন্মদিনও বটে।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে তার নাম হবে ‘মিগজাউম’। ‘মিগজাউম’ নামটি মায়নমারের দেওয়া। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার পাশাপাশি আরও কয়কটি জায়গার তাপমাত্রা চলতি মরসুমে থেকে কম ছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতার পারদ ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। তাই দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কিছু দিন শীতের শিরশিরানি বজায় থাকবে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বাংলার দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে এসেছে। বুধবার রাতে দিঘা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৪১০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, এখন আর নভেম্বরের শুরুর দিকে শীত আসে না। তবে দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালীপুজোর আগের শেষ সপ্তাহান্তে। তার পর ধীরে ধীরে পারদ পতন হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। তবে সব জেলায় প্রভাব পড়বে না। ওড়িশার পুরী, জগৎসিংহপুর এবং কেন্দ্রাপাড়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গভীর নিম্নচাপের জেরে পুজোর মধ্যেই একাধিক জেলায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে কলকাতা-সহ পাঁচ জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। সেটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে ২২ অক্টোবরের মধ্যে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। ষষ্ঠীর মধ্যেই নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে সাগরে। তার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় নবমী থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে পুজোর মধ্যে কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
সপ্তমী এবং অষ্টমীতে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। নবমী এবং দশমীতে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিম্নচাপের জেরে প্রবল দুর্যোগ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। বাংলার একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। এ দিকে, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার রাত থেকেই। আজ বুধবারও আকাশের মুখ ভার। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে হাওয়া দফতর।
হাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার অবধি বৃষ্টি চলবে। কোনও কোনও অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।