যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ড যে পথ-হেঁশেলের খনি, তা এতদিনে বোধহয় আপনারা বুঝেই গেছেন। চাউমিন, দোসা, ইডলি, রোল, ফ্রাই, কেক, আইস ক্রিম—কোনওকিছুই বাদ পড়ে না!

যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ড যে পথ-হেঁশেলের খনি, তা এতদিনে বোধহয় আপনারা বুঝেই গেছেন। চাউমিন, দোসা, ইডলি, রোল, ফ্রাই, কেক, আইস ক্রিম—কোনওকিছুই বাদ পড়ে না!
যাদবপুর এইট-বি বাস স্ট্যান্ড পেরিয়ে যাদবপুর বাজারের দিকে হাঁটতে শুরু করে বাঁ-হাতের প্রথম গলি ধরে কিছুটা গেলেই, ডান দিকে পড়বে বানজারা রেস্তরাঁ। একেবারে যাকে বলে গুপ্তধন!
টানা ক্লাস করার পর মাথা ধরা অবস্থায় হেলতে দুলতে এসে বসা শ্যামল দা’র দোকানে। ঠিকঠাক বলতে গেলে ‘একটু হোক-ফোক’-এ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের একটু আগে ফুটপাথের ওপর এই দোকান।
যোধপুর পার্কে ক্যাফে বা রেস্তরাঁর অভাব নেই। কিন্তু, একটু কম পরিচিত ক্যাফের খোঁজ করলে কেমন হয়?
লেক মলে সাড়ে-তিন ঘণ্টার সিনেমা দেখার পর বেশ খিদে পেয়েছিল। তবে ফুড কোর্টের কোনও দোকানে যাইনি আমরা। গেলাম লেক মলের ঠিক পাশের গলিতে—রাধুবাবুর দোকানে।
মেনুতে কিন্তু বাঙালির অতি প্রিয় হাক্কা নুডলস আর চিলি চিকেন-ও আছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ভক্ত হলে ‘চিকেন চাউমিন আর চিলি ফিশ’-ও অর্ডার দিতে পারেন।
সদর স্ট্রিটে হাঁটার পথে প্রি-পুজো খাওয়া-দাওয়া সারতে সাত বন্ধু মিলে চলে এলাম ‘রাজ স্প্যানিশ ক্যাফে’। এখানে স্প্যানিশ বাদেও অনেক রকম খাবার পাওয়া যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে কিছু দূরেই বিক্রমগড়ের মেসপাড়ার দিকে এগোলেই রাস্তার ওপর হলদে দেওয়ালে মোড়া একটি বিল্ডিং পড়ে। তার ওপর নিয়ন আলো দিয়ে লেখা ‘কেটেলবেরি কফি ব্রেক’।
শুরুতেই দু’ কাপ দুধ চা আর এক কাপ লেবু চা। তারপর রকমারি মেনু থেকে বেছে নেওয়া হল চিকেন পাস্তা (হোয়াইট সস), ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আর এগ চিকেন রোল। পাস্তার যা পরিমাণ, তাতে দু’জনে মিলে অনায়াসে পেট ভরাতে পারবে।
শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে পেট্রোল পাম্পের ঠিক উল্টোদিকে অটো স্ট্যান্ডের পাশে, মড়ের মাথায়ে অবস্থিত ছোট্ট একটি দোকান।
পুজোর আগে কুমোরটুলি যাওয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুরা মিলে অ্যালেন কিচেনে একটু পেটপুজো করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম। অতএব, বিকেল পাঁচটার সময় তিন মূর্তিমান হাজির অ্যালেন কিচেনের সামনে।
আপনজন-এর কথা নতুন করে বলার নয়। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম চর্চিত ভাজা-ভুজির দোকান এই আপনজন। চল্লিশ বছর পেরনো এই দোকানের খাবারের গুণগান করার বিশেষ দরকার বলে মনে হয় না।
নিলাম সবাই এক প্লেট করে কচুরি। গরম গরম আলুর তরকারি আর মুচমুচে কচুরি। এক বন্ধুর আবার শিঙাড়া খেতে ইচ্ছে হওয়ায় এক রাউন্ড ত্রিকোণ ভাজা আর তেঁতুলের চাটনিও জুটল সবার পাতে।
চিত্তবাবুর দোকানে স্ট্যুটা মাস্ট ট্রাই হলেও, বিকেল বিকেল ছিল বলে এই পদটা পরের বারের জন্য রেখে দিলাম। তা ছাড়া সঙ্গে বন্ধুরাও তো ছিল। চিকেন স্ট্যু খেতে বললে আবার একটু কেমন কেমন কথা শোনাতে পারে।
ফিশ ফিংগার বা ফিশ রোল খেতে হলে শনিবার বা রোব্বার আসতে হবে। ও হ্যাঁ, এই পান্থেরাস বস্তুটি মটন বাদে চিকেনের পুর দিয়েও পাওয়া যায়।