১৯৩৫ সালে সমগ্র ভারত যখন স্বরাজের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তখন অসমের সাংস্কৃতিক জগতেও ঘটে গেল এক বিপ্লব। জন্ম নিল অসমের প্রথম চলচ্চিত্র ‘জয়মতী’। মূলত জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালাই অসমে চলচ্চিত্রের সূচনা করেছিলেন।
এই দেশ এই মাটি
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১৩: ত্রিপুরাতে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার
১৯৭৭ সালের লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয় রাজ্যে রাজ্যে নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা উস্কে দেয়। ত্রিপুরাতেও এর প্রভাব পড়ে। ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসী বিধায়করা সিএফডি-তে যোগ দিলে রাজ্যে সুখময়বাবুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটে। সিএফডি এবং সিপিএম মিলে তখন এক কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গরিয়া, গোলপাতা ও হেতাল
বাকলের ক্বাথ ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে দেখা যায়। পাতা সিদ্ধ করে তার নির্যাস ডায়াবিটিস রোগের কারণে অধিক মূত্রত্যাগ নিয়ন্ত্রণে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-২২: গুয়াহাটির সে কাল-এ কাল
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও গুয়াহাটির সাধারণ মানুষের যোগদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সমগ্র দেশের সঙ্গে গোটা অসম তথা গুয়াহাটির লোকজনও স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরেরও রূপ পাল্টেছে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১২: ‘মিসা’ বন্দি সম্পাদকের চিঠি
জরুরি অবস্থার সময়ে পত্রিকার খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সেন্সরশিপ আরোপিত হয়েছিল। কী খবর বা কী সম্পাদকীয় প্রকাশিত হবে তা আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে নিতে হতো। তারপর চালু হল ‘সেলফ সেন্সরশিপ’। নানা বিধিনিষেধের মধ্যে নিজেদের দায়িত্বেই খবর প্রকাশ করতে হবে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৯: ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ওড়া, কেওড়া, চাক কেওড়া ও কৃপাল
মাঝারি উচ্চতার বৃক্ষ হল ওড়া। ১০-৩০ ফুট উঁচু হয়। গাছের চারপাশে নরম কাদা মাটি ফুঁড়ে ৪০-৫০ সেমি লম্বা নলাকার শ্বাসমূল জন্মায়। বাকলের রং কালচে-বাদামি। বাকলে ছোট ছোট ফাটল দেখা যায়। পাতা গাঢ় সবুজ বা কালচে-সবুজ রঙের, রসালো এবং অবডিম্বাকার (Obovate)। ফুলের পাপড়ির রং সাদা।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-২১: গুয়াহাটি শহরের গল্পগাথা
১৯৪০ সালে বর্তমান জায়গায় স্থানান্তরিত হয় এবং স্যার রাধাকান্ত হ্যান্ডিকের সম্মানার্থে এই কলেজের নাম হ্যান্ডিক গার্লস কলেজ। আর কে হ্যান্ডিকের সহযোগিতা ছাড়া মহিলাদের জন্য এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হত না। রাজবালা দেবী একজন প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ কর্মী ছিলেন।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১১: কলকাতায় ত্রিপুরার রাজনীতি
সুখময়বাবু অবশ্য জরুরি অবস্থার ব্যবস্থা গুলোকে নিজের অনুকূলে ব্যবহারের সুযোগ হাতছাড়া করেননি। প্রথমেই তিনি নিজের প্রতিপক্ষদের মিসা আইনে জেলে পুরে দেন। এ জন্য তাদের চোরাকারবারী, কালোবাজারি ইত্যাদি অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৮: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা: কাঁকড়া, গরান ও গেঁওয়া
গর্জনের ফল, পাতা ও কাণ্ডের রস ডায়েরিয়া, জ্বর, ডায়াবেটিস ও যন্ত্রণা উপশমে ব্যবহার করা হয়। কৃমি, পোড়া ক্ষত ও লিভারের রোগে পাতার রস ব্যবহৃত হয়।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-২০: স্বাধীনতা সংগ্রামে অসমের দুই জননেতা
গোপীনাথ বড়দলই অসমকে দেশভাগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি অসমের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বলা যায়, লোকপ্রীয় গোপীনাথ বড়দলইয়ের নেতৃত্বে সমগ্র অসম তথা গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল কেবিনেট মিশন প্ল্যানের হাত থেকে রক্ষা পায়।
পর্ব ১০: পূর্ণ রাজ্যে প্রথম কংগ্রেস মন্ত্রিসভা
পূর্ণ রাজ্য ঘোষণার পরই রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে উঠে। পূর্ণ রাজ্য ত্রিপুরার বিধানসভার সদস্য সংখ্যা হয় ৬০। অর্থাৎ আগের চেয়ে দ্বিগুণ। রাজনৈতিক তৎপরতাও বেশি। প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল কংগ্রেস এবং সিপিএম পুরোদমে আসরে নেমে পড়ে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বাইন ও গর্জন
আমাদের এলাকায়, মানে সুন্দরবনের পশ্চিমাংশে বাইন গাছ লোকমুখে বানি গাছ নামে বেশি পরিচিত। কোথাও কোথাও বিনা নামেও পরিচিত। বাইন গাছেরা হল, সুন্দরবনের স্থলভাগের উপকূল রক্ষীবাহিনী।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-১৯: শিলচর শহরের বড় হয়ে উঠার গল্প
মূলত ইংরেজরাই শিলচরকে নতুন চেহারা প্রদান করে। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য রেল লাইন পেতেছিল। তার ফলে এ অঞ্চলের বিপুল পরিবর্তন হয়। রেললাইন স্থাপিত হওয়ায় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠে। জানিগঞ্জ-সদরঘাট অঞ্চলে অফিস আদালত গড়ে উঠে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৯: একাত্তরে ত্রিপুরা, মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে থাকে। গেরিলা কায়দায় হামলারত মুক্তি ফৌজকে ঠেকানোর জন্য পাক সেনারা ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সেদিন মাইন পুতে রেখেছিল। মাইন বিস্ফোরণে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। যাইহোক, এরই মাঝে একদিন পাক-ভারত যুদ্ধের দামামা বেজে গেল।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৬: সুন্দরবনের লৌকিক চিকিৎসায় ম্যানগ্রোভ—হরগোজা ও কেয়া
কোনও মানুষ বাঘের আক্রমণে আহত হলে তার ক্ষতস্থানে পাতার রস ও মণ্ড লাগানো হয়। মানুষের বিশ্বাস এতে ক্ষতস্থানের বিষক্রিয়া দূরীভূত হয়। ক্যানসারেও পাতার রস ব্যবহৃত হয়।