‘দেশীয় রাজ্য’ গ্ৰন্থে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একবার তাঁর সোনার চেনের সঙ্গে ঝোলানো সোনার মোহরে বাংলা অক্ষর দেখে পুলকিত হয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর সহর্ষে উপস্থিত সবাইকে বলেছিলেন—”ইহাতে যে বাংলা ভাষা ছাপা। তবে আমার বাংলা রাজভাষা!”
এই দেশ এই মাটি
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ছাগল ক্ষুরি ও ধানি ঘাস
সুন্দরবনে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে বালিয়াড়ির উপর এক ধরণের লতানে গাছ দেখা যায় যার পাতার গঠন অদ্ভুত, নজরে পড়ার মতো। নরম মাটির উপর দিয়ে ছাগল হেঁটে গেলে তার ক্ষুরের ছাপ যেমন পড়ে ঠিক সেই রকম আকারের পাতা। আর তাই সুন্দরবনের মানুষ এই লতানে গাছের নাম দিয়েছে ছাগল ক্ষুরি।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৫: কাঁচাকান্তি মন্দিরের কথকতা
অসমের বরাক উপত্যকার কাঁচাকান্তি মন্দির ভক্তদের এক বিশেষ আকর্ষণের জায়গা। এক প্রাচীন মন্দিরও বটে। এখানকার সাধারণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির এবং মন্দির কেন্দ্রিক কিছু প্রচলিত অলৌকিক ঘটনার গল্প।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৮: রাজকন্যার কবিতার প্রশংসায় রবীন্দ্রনাথ
ত্রিপুরার রাজাদের মতো রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যেও বাংলা সাহিত্য চর্চার ধারা ছিল। বীরচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ কন্যা অনঙ্গমোহিনী দেবী ছিলেন সেই আমলের এক বিশিষ্ট কবি। রাজকুমারীর কাব্য প্রতিভার কথা সেদিন ত্রিপুরার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল বৃহত্তর বঙ্গদেশে। এমনকি রবীন্দ্রনাথও অনঙ্গমোহিনীর কাব্যের প্রশংসা করেছিলেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৫: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— নোনা শাক ও নোনা ঝাঁজি
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীনকালে গ্রিকরা নাকি যুদ্ধে যাওয়ার আগে নোনা শাকের আগা তুলে খেত। সেক্সপিয়ার তাঁর ‘কিং লিয়ার’ নাটকে এই শাকের উল্লেখ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের নাকি অন্যতম প্রিয় খাদ্য ছিল এই নোনা শাকের পদ।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৭: সঙ্গীত রচয়িতা বীরবিক্রম
ত্রিপুরার রাজা এবং রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যেও সাহিত্য চর্চার ধারা ছিল। সে যুগের একজন সুবিখ্যাত বৈষ্ণব কবি রাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর পরবর্তী রাজা এবং রাজপরিবারের সদস্যরাও কাব্য চর্চা করেছেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং
গিরা শাক নামটার সঙ্গে পরিচয় শৈশব থেকে। আমাদের গ্রামের গরিব মানুষজনকে দেখতাম প্রায়শই নদীর ধারে যেত গোরুর জন্য ধানি ঘাস আর নিজেদের খাওয়ার জন্য গিরা শাক আনতে। খাদ্য হিসেবে গিরা শাকের সঙ্গে খুব ছোটবেলায় পরিচয় না হলেও ১৩-১৪ বছর বয়সে সুযোগ আসে গিরা শাকের রান্না করা পদ খাওয়ার।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৪: ব্রহ্মপুত্র নদ ও কিছু গল্প
ব্রহ্মপুত্রের পাড়েই রয়েছে আরও একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা ধুবরি। এর সঙ্গে পৌরাণিক গল্পের এক যোগ সূত্র রয়েছে। ধুবরী শব্দটি এসেছে ধুবি বা ধোপা শব্দ থেকে, অর্থাৎ যাঁদের পেশা কাপড়চোপড় ধোয়া। বলা হয় পদ্মপুরাণ আখ্যানের লখিন্দর -বেহুলার কাহিনির সঙ্গে এই জায়গার নাম জড়িয়ে রয়েছে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৬: শামসের ও কাব্য গাজিনামা
অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ত্রিপুরার ইতিহাসের এক বর্ণাঢ্য চরিত্র শামসের গাজির বীরত্ব, সাধারণ প্রজা থেকে তাঁর ত্রিপুরার সিংহাসন লাভ ইত্যাদি নিয়ে রচিত হয়েছিল ‘গাজিনামা’।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— কেরালি ও নোনা হাতিশুঁড়
সুন্দরবন অঞ্চলে এই উদ্ভিদটি পোড়া ঘা ও ফোঁড়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে। এই উদ্ভিদের কন্দ বেটে প্রস্তুত ক্বাথ পোড়া ঘা ও ফোঁড়ার ওপর দিনে দু’বার করে লাগালে উপকার হয়। তবে এই লৌকিক চিকিৎসার রীতি বর্তমানে অতি বিরল।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৩: শিবসাগরে ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের বহু নিদর্শন
শিবসাগর জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে, ফেলে আসা দিনের অনেক চিহ্ন। এমনই এক ঐতিহাসিক জায়গার নাম গড়গাঁও। জায়গাটি শিবসাগর শহর থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলমিটার দূরে অবস্থিত। দীর্ঘদিন অহোম রাজাদের রাজধানী ছিল এই গড়গাঁও। এখানে রাজা শুক্লেনমুং রাজধানী স্থাপিত করেন এবং কারেংঘর নামের একটি রাজভবন নির্মাণ করেন।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৫: ইতিহাসাশ্রিত কাব্য কৃষ্ণমালা
রাজ আমলে রচিত অপর একটি কাব্যগ্ৰন্হ হলো ‘শ্রেণীমালা’। কাশীচন্দ্র মাণিক্যের রাজত্বকালে (১৮২৬-২৯) এটি রচিত হয়েছিল। রচনা করেছিলেন দুর্গামণি উজির। চারখণ্ডে বিভক্ত এই গ্ৰন্হে ত্রিপুরার রাজবংশের বিবরণ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— সুখদর্শন ও হুড়ো
ছোটবেলা বেশ কয়েক জায়গায় দেখতাম রজনীগন্ধা গাছের পাতার মতো। কিন্তু বেশ বড় আকারের গাছের ঝোপ থেকে রজনীগন্ধার মতই লম্বা স্টিক উঠে আসত আর তার মাথায় সাদা রঙের ফুল ফুটত। ফুলগুলোর অসাধারণ সুগন্ধ। তবে ফুলের কাছাকাছি গেলে গন্ধটা এত তীব্র হয় যে সহ্য করা মুশকিল।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩২: পাখিদের আত্মহত্যার ঠিকানা জাতিঙ্গা
অসমের জাতিঙ্গা এমনই একটি রহস্যময় গ্রামের নাম। ডিমা হাসাও জেলার হাফলং শহরের কাছে একটি ছোট গ্রাম জাতিঙ্গা। মাচরাঙা, বক, ব্লাক, বিটার্ন, টাইগার বিটার্ন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে এখানে এবং মৃত্যু বরণ করে। তবে পরিযায়ী পাখি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হাফলং অসমের শৈল স্টেশন। প্রকৃতি নিজের হাতে যেন সাজিয়ে দুলেছে এই পার্বত্য অঞ্চলকে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৪: কবি রাজা বীরচন্দ্র
ত্রিপুরার রাজপরিবারে হোলি উৎসবের এক বিশেষ ঐতিহ্য ছিল। এক সময় রাজপুরির হোলি উৎসবে ইংরেজ সাহেবরাও অংশ গ্রহণ করেছেন। বীরচন্দ্রের রাজত্বকালে হোলি উৎসব আরও মাধুর্যময় হয়ে উঠেছিল।