মহাকায় বকেরা পরিযায়ী পাখি নয়, তবে খাদ্যাভাব দেখা দিলে অন্যত্র যেতে পারে। যখন প্রজনন ঋতু নয় তখন এরা একা একাই ঘোরাফেরা করে। পক্ষীবিজ্ঞানীদের মতে, মহাকায় বকদের মধ্যে অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বেশি হওয়ার দরুণ এদের সংখ্যা বেশি হয় না। এরা নিশাচর বক। রাতেই এরা খাদ্য সংগ্রহ করতে পছন্দ করে।
এই দেশ এই মাটি
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৫: ত্রিপুরায় রাজনীতিক রবীন্দ্রনাথ
ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রে সেদিন আমরা এক অন্য রবীন্দ্রনাথের পরিচয় পেয়েছিলাম। সেই রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার রাজার জন্য মন্ত্রী ঠিক করে দেন,রাজ্যের বাজেট নির্ধারণ করেন,আবার রাজনীতিকের ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হন। আর ত্রিপুরায় এই অন্য রবীন্দ্রনাথের আলোচনা প্রসঙ্গে যে নামটি বারবার আসবে তা হচ্ছে ব্রজেন্দ্র কিশোর দেববর্মণ, যিনি লালুকর্তা হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭২: সুন্দরবনের পাখি—গোলিয়াথ ‘মহাকায়’ বক
বক পরিবারের এই বৃহত্তম সদস্যটি IUCN তালিকায় least concern হলেও মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় এদের সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছে এবং বিচ্ছিন্নভাবে কোনও কোনও জায়গায় এখন দেখা যায়।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৪: রাজকার্যে বাংলা ব্যবহারে রাজাদেশ
রাধাকিশোরের পর সিংহাসনে বসেন পুত্র বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য। তিনিও রাজকার্যে বাংলার ব্যবহার অব্যাহত রাখেন। রাজকার্যে ইংরেজির প্রবাহ ঠেকাতে বীরেন্দ্র কিশোরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে এ ব্যাপারে আদেশনামা জারি হয়েছিল।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭১: সুন্দরবনের পাখি: সবুজ বক
কিছুদিন আগে পক্ষীপ্রেমী এক বন্ধু সুন্দরবন ভ্রমণে গিয়ে অনেক পাখির ছবি তুলেছিল। সেই সব ছবি দেখতে গিয়ে যেসব ছবিগুলোতে চোখ আটকে গিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সবুজ রঙের একটা বকের ছবি। এইরকম বক আমার নজরে কোনওদিন পড়েনি। কিন্তু ছোটবেলায় ঠাকুমার মুখে সবুজ বকের কথা শুনেছি। সুন্দরবনের পশ্চিম অংশেও একসময় তাহলে সবুজ বক ছিল। জনবসতির চাপে বহু প্রজাতির মতো সবুজ বকও মনে হয় এলাকাচ্যুত হয়েছে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৩: বীরচন্দ্রের রাজকার্যে বাংলা
মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যের রাজত্বকালে (১৮৬২-১৮৯৬ খ্রিঃ) ত্রিপুরায় রাজকার্যে প্রচলিত বাংলা আরও উন্নত হয়েছিল। ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে বীরচন্দ্রের যৌবরাজ্যে অভিষেক বিষয়ে প্রচারিত রোবকারীটির কথা এখানে উল্লেখ করা যায়। ঈশানচন্দ্র মাণিক্যের মৃত্যুর পর এক বিতর্কিত রোবকারি মূলে রাজা হয়েছিলেন বীরচন্দ্র।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭০: সুন্দরবনের পাখি: লাল কাঁক
লাল কাঁক নামক পাখিটার নাম শুনেছি খুব ছোটবেলা থেকে। সন্ধে নাগাদ কখনও কখনও দেখতাম বেশ বড় আকারের পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে যাচ্ছে। আওয়াজ শুনতাম ‘কোয়ারাং’। জিজ্ঞাসা করলে কখনও বাবা, কখনও ঠাকুমার মুখে শুনতাম— এটা লাল কাঁক পাখি ডাকছে। একেবারে শৈশবে এই পাখিকে দিনের আলোয় চোখে দেখেছিলাম কিনা তা আজ আর মনে নেই।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩২: কল্যাণ মাণিক্যের সনদে বাংলা গদ্য
সপ্তদশ শতকের শেষ দিকে রাজা নরেন্দ্র মাণিক্যের সময়ে পলাতক যুবরাজ চম্পক রায়ের উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী রাজপুরুষদের লেখা পত্রটিকেও সেই আমলের ত্রিপুরার প্রশাসনিক গদ্যের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৯: সুন্দরবনের পাখি—পানকৌড়ি
পানকৌড়ি কিন্তু বর্তমানে খুবই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আগে যে পরিমাণ পানকৌড়ি সুন্দরবন অঞ্চলে বিভিন্ন জলাশয়ে দেখা যেত এখন আর তেমনটি দেখা যায় না। এর অন্যতম কারণ জলাভূমি ভরাট করার ফলে জলাভূমির সংখ্যা হ্রাস। তাছাড়া জলাভূমিকে ঘিরে থাকা বড় বড় গাছের সংখ্যাও কমেছে। এরা সাধারণত তেঁতুল, জাম, আম, ইত্যাদি গাছে বাসা বাঁধতে পছন্দ করে।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৭: বিহু-র আনন্দে মেতে ওঠে পুরো অসম
বহাগ বিহু বা রঙ্গালী বিহু আনন্দের উৎসব। তবে একথা সত্য, সব উৎসবই আনন্দের উৎসব, কিন্তু রঙ্গালী বিহু শব্দটি সোনা মাত্রই মন যেন নেচে উঠে। এ যেন গানের তালে তালে যৌবনের জয় গান গাওয়ার পার্বণ। সাত দিন ধরে পালন করা হয় এই বিহু। চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকে শুরু করে বৈশাখের ৬ তারিক পর্যন্ত পালিত হয় এই উৎসব।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩১: ত্রিপুরার রাজকার্যে বাংলা ভাষা
রাজকার্যে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে ত্রিপুরার। অন্যান্য প্রান্তীয় রাজ্যেও অবশ্য রাজসভার কাজে বাংলার ব্যবহার ছিল, কিন্তু ত্রিপুরা নিঃসন্দেহে এ ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য। সুদূর অতীত থেকে, মাণিক্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠার প্রায় শুরু থেকেই ত্রিপুরার রাজকার্যে বাংলার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৮: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— মান্দা ও বড় মান্দা
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার মতো মানুষ বা গ্রন্থাগার ছিল না। উত্তর পেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে। ঘটনাচক্রে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়েই পড়লাম। ফলে জানতে পারলাম আংশিক পরজীবী উদ্ভিদ ভিসকাম-এর কথা। এই গাছকে বাংলায় কী বলে জানতাম না। সুন্দরবন অঞ্চলের স্থানীয় মানুষ আদৌ কোনও স্থানীয় নামে এই গাছকে নির্দেশ করত কিনা আমার জানা ছিল না।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৬: অসমের শিল্পকলা
অসমের এই কুটির শিল্প অতি প্রাচীন। কালিকা পুরাণে অসমের পাট বস্ত্রের এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে এক ধরনের স্বর্নবর্ণের সূর্যের মতো উজ্জ্বল বস্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। অসমের কুটির শিল্পে এন্ডি মুগার বস্ত্র নির্মাণ, মাটির জিনিস, ধাতুর বাসনপত্র নির্মাণ এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৩০: বাংলাতে রাজাদের চিঠিপত্র
ত্রিপুরার রাজকার্যে যেমন বাংলা ব্যবহৃত হতো, তেমনই রাজাগণ নিজেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাতে চিঠিপত্র লিখতেন। এখানে অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের কয়েকজন রাজার চিঠি উল্লেখ করা হচ্ছে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘ভগ্ন হৃদয়’ কাব্যগ্ৰন্থের জন্য কিশোর কবি রবীন্দ্রনাথকে অভিনন্দন জানাতে বীরচন্দ্র মাণিক্য তাঁর সচিবকে কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— রামবাণ ও পানি তাঙ্কি
ছোট থেকেই আমাদের গ্রামের বাড়ির বাস্তুজমির এদিকে ওদিকে তিন-চার ফুট লম্বা এক প্রকার গুল্ম জাতীয় গাছ প্রায়শই জন্মাতে দেখতাম। বাড়ির বড়দের কাছ থেকে জেনেছি এর নাম রামবাণ। কিন্তু কেন এর নাম রামবাণ তা জানতাম না। ছোটবেলায় তা জানার চেষ্টা করেছি বলেও মনে পড়ে না। তবে গাছটি ছিল আমার খুব পছন্দের গাছ। এর ফল ছিল আমার খুব প্রিয়। অদ্ভুত আকার রামবাণ ফলের। দেখলে মনে হবে শিঙাড়া।