ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় অনেক খানি জুড়ে আছেন রাধাকিশোর পুত্র মহারাজকুমার ব্রজেন্দ্র কিশোর। বন্ধু রাজা রাধাকিশোর ও রাজপুত্র ব্রজেন্দ্র কিশোরের সঙ্গে পত্র যোগাযোগের সূত্রেই আমাদের কাছে ধরা দেন এক অন্য রবীন্দ্রনাথ।
এই দেশ এই মাটি
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৮: সুন্দরবনের পাখি—শামুকখোল
কালীপুজোর তিন দিন আগে থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। টিভিতে শুনলাম, বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপ। ধেয়ে আসতে পারে ঘুর্ণিঝড় ‘কায়ান্ত’। কালীপুজোর আগের দিন সকাল থেকে শুরু হল বৃষ্টি। সকাল থেকে প্রায় গৃহবন্দি। বেলা বাড়তে কমে এল বৃষ্টির দাপট। বেলা বারোটা নাগাদ হঠাৎ উঠল ঝকঝকে রোদ। আমি ঠিক সেই সময় স্নান করে স্নানঘর থেকে বেরিয়েছি। দেখি, আমার বাড়ির পরিচারিকা ও আমার কন্যা করিডোরের খোলা জানালা দিয়ে পশ্চিমদিকে দূরে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছে। আমি ব্যাপারটা জানতে চাইলাম। আমার পরিচারিকা আঙুল দিয়ে আমাকে পশ্চিমদিকে আমার বাড়ি থেকে চারটে...
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪১: দেশ বিদেশের পর্যটকরা বছরভর ভিড় জমান কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানে
কাজিরাঙার উত্তর দিকে রয়েছে অসমের সর্ব বৃহৎ নদ ব্রহ্মপুত্র। দক্ষিণে রয়েছে কার্বি পাহাড়ের অংশ বিশেষ। কাজিরাঙায় প্রতিবছরই পরিযায়ী পাখিরা আসে। পাখিদের অন্যতম জায়গা হয়ে উঠে উদ্যানের ভিতরে থাকা ছোট ছোট জলাশয়। সেখানে তারা মাছ খায়। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিযায়ী পাখিরা এখানে আতিথেয়তা গ্রহণ করে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪০: কবি ও বীরেন্দ্র কিশোর
বীরেন্দ্র কিশোর রাজা হবার পর কোন কোন দিক থেকে আক্রমণ আসতে পারে কবি সেটা অনুমান করে আগেভাগেই রাজার ভাই ব্রজেন্দ্র কিশোরকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করে রাজপরিবারে বিভেদের বীজ বপনের আশঙ্কা করেছিলেন কবি।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৭: রাতচরা
আমার শৈশবে সুন্দরবনের গণ্ডগ্রামে সন্ধে হলেই বেশ জোরে জোরে একটা শব্দ পিছনে পুকুরপাড় থেকে শোনা যেত। শব্দটা বাড়ির সামনে খালের দিক থেকেও শুনতে পেতাম। তারস্বরে কেউ বা কারা যেন ডেকে চলেছে—’ওয়াক ওয়াক ওয়াক’। বড়দের মুখে শুনতাম, এই ডাক হল রাতচরার ডাক। রাতচরা হল এক ধরনের বক, যারা সন্ধে হলে খাবারের সন্ধানে বেরোয়।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৯: ঋণ নেবেন রাজা, কিন্তু এ জন্য কবির দুশ্চিন্তা কম নয়!
১৩১২ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে রাধাকিশোরের আহ্বানে রবীন্দ্রনাথ তৃতীয়বারের মতো আগরতলায় আসেন। সে সময় রাজ্যের ঋণ সংগ্রহের ব্যাপারে রাধাকিশোর নানা চিন্তাভাবনা করছিলেন। ভাবছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী নিয়োগের ব্যাপারেও। রবীন্দ্রনাথ আগরতলায় আসার আগেই মহারাজকে এসব বিষয়ে পত্র দিয়ে তাঁর দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৬: সুন্দরবনের পাখি—কুরচি বক
টিকিওয়ালা বক সুন্দরবন অঞ্চলে খুব পরিচিত পাখি। এই জাতির বকগুলো তাই শৈশব থেকেই আমার খুব চেনা। শুধু আমার নয়, হয়তো সুন্দরবন এলাকার অধিকাংশ মানুষেরই চেনা। আমরা ঠাকুমা বা বাবা-মায়ের কাছে এই বকগুলোকে “বোষ্টম বক” বলে ডাকতে শুনেছি। বলাবাহুল্য টিকির জন্যই এদের এমন নামে ডাকা হয়। তবে এ নাম হল স্থানীয় নাম। বাংলায় এই বক কুরচি বক নামে পরিচিত।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪০: বরাকভূমির গল্প
বরাক উপত্যকায় চারি দিকে যেমন রয়েছে সবুজের মেলা তেমনি রয়েছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান। আর সেই সব স্থানের গল্পও বেশ মজাদার। এই জায়গাগুলিকে একটু যত্ন নিলে হয়ে উঠতে পারে ইতিহাস প্রেমী পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৮: পুত্র বীরেন্দ্রর বিয়েতে রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ জানান মহারাজ রাধাকিশোর
মহারাজ রাধাকিশোরের জ্যেষ্ঠ পুত্র যুবরাজ বীরেন্দ্র কিশোরের বিবাহ উপলক্ষ্যে রাজা কবিকে আসার আমন্ত্রণ জানালেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ পুত্রের অসুস্থতার জন্য আগরতলায় যুবরাজের বিবাহোৎসবে যোগ দিতে পারেননি।কবি যুবরাজ্ঞীর জন্য যে উপহার পাঠিয়েছিলেন—তা পেয়ে রাজা জানালেন, “বস্ত্রখানা শ্রীমতী বধূমার উপযুক্তই হইয়াছে।”
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৫: সুন্দরবনের পাখি— বড় বক
সুন্দরবন অঞ্চলে যেখানে অরণ্য রয়েছে সেখানে বড় গাছের ওপরে নানা ধরনের বক, পানকৌড়ি ও সারসকে বাসা বাঁধতে দেখা যায়। আর সেখানে তাদের মধ্যে বেশ বড় আকারের দুধ-সাদা এক জাতের বককেও দেখা যায়। বড় মানে উচ্চতায় একজন মানুষের কোমর প্রমাণ উচ্চতার থেকেও কিছুটা বেশি উঁচু। যখন ডানা মেলে উড়ে যায় তখন দুই ডানার বিস্তার হয় ৪ থেকে ৫ ফুট।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৯: বরণীয় তারা, স্মরণীয় তারা
অসমের মাটিতে যেমন রয়েছে বহু জাতি, ধর্ম ও ভাষার মানুষ, ঠিক তেমনি অসমের একটি সুস্থ সুন্দর রূপ ধরে রাখতে এগিয়ে এসেছেন অনেক ভালো মনের মানুষ। মূলত তাঁদের প্রচেষ্টায় অসমের অনেক জাতি উপজাতির অজানা তথ্য সামনে এসেছে। খাসিয়া-জয়ন্তীয়া সম্প্রদায়ই হোক কিংবা রিয়াং বা রংমাই আজ সকল জাতি উপজাতি নিজেদের ঐতিহ্য বহন করে বসবাস করছে অসমে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৭: রাজাও বুঝতে পেরেছিলেন বন্ধু কবির অভিমান
রাধাকিশোরের বিজ্ঞান মনস্কতা, সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি উদার পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলা ভাষার প্রতি রাজার গভীর অনুরাগ সম্ভবত প্রবল ভাবে আকৃষ্ট করেছিল রবীন্দ্রনাথকে। দিনে দিনে কবি ও রাজার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এক সময় রাজার জন্য মন্ত্রী ঠিক করে দেন কবি। রাজকুমারদের জন্য শিক্ষক নির্বাচন করেন তিনি। তবে রাধাকিশোরের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এই ঘনিষ্ঠতা কিন্তু রাজ পারিষদদের সবাই ভাল চোখে দেখেননি।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৪: সুন্দরবনের পাখি— গোবক
ছোটবেলা থেকে ভাবতাম গোবক দু’রকমের হয়। এক রকম হল ধবধবে সাদা, আর এক রকম হল কমলা রঙের মাথা, গলা আর পিঠ ওয়ালা। কিন্তু পরে পড়াশোনা করে জানলাম অ-প্রজনন ঋতুতে গোবকের রং হয় সাদা আর প্রজনন ঋতুতে মাথা, ঘাড় ও পিঠের রং হয় কমলা বা সোনালি হলুদ। শুধু তাই নয়, প্রজনন ঋতুতে গোবকের পা ও চঞ্চুর রং হয় কমলা।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩৮: অসমের কয়েকটি জনজাতি
অসমের বরাক উপত্যকায় রয়েছে ৩টি জেলা। বরাক উপত্যকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতির, গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করেছেন। বাঙালি, মণিপুরি, ভোজপুরি, বর্মণ, অসমীয়া, মার, মিজো, কুকি এবং আরও অনেক জাতির লোক এ অঞ্চলে মিলে মিশে বসবাস করছে। অসমের প্রাচীন জনজাতিদের মধ্যে এক হচ্ছে কাছারি। এই কাছারিরা মঙ্গোলীয় কিরাত গোষ্ঠীর অন্তরগত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৬: বীরচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ
রাজার পর যুবরাজ হলেন সিংহাসনের প্রথম দাবিদার। তাই ঈশানচন্দ্রের মৃত্যুর পর স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যাধিকারী হলেন ‘যুবরাজ’ বীরচন্দ্র। কিন্তু পাকাপোক্ত ভাবে তাঁর রাজত্বলাভ মোটেই মসৃণ ছিল না। বীরচন্দ্রের দুই ভাই চক্রধ্বজ ও নীলকৃষ্ণ এই রোবকারী ‘জাল’ অভিযোগ করে ইংরেজ সরকারের কাছে ত্রিপুরা রাজ্যের উপযুক্ত দাবিদার হিসেবে তদবির শুরু করলেন।