অসম বলতেই মনে হয় সবুজের অসম, গাছের অসম, বিহুর অসম, বৃষ্টির অসম। আমার অসম।
এই দেশ এই মাটি
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৫: সুন্দরবনে বসন্ত রোগের দেবতা বসন্ত রায়
বসন্ত রায়—নামটা শুনলে ইনি যে কোনও দেবতা হতে পারেন তা মনে আসে না। কারণ দেবতাদের নামের শেষে কোনও পদবি থাকতে দেখা যায় না। কিন্তু ব্যতিক্রম সুন্দরবনের লৌকিক দেবতা দক্ষিণ রায়, কালু রায় বা বসন্ত রায়।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৪: সুন্দরবনের রাজমাতা দেবী নারায়ণী
মুন্সি বয়নুদ্দিন রচিত মুসলমানি কেচ্ছা ‘বনবিবি জহুরানামা’ (১৮৭৮) থেকে জানা যায় মক্কা থেকে বনবিবি খোদাতাল্লার হুকুমে এসেছিলেন ভাটির দেশে অর্থাৎ সুন্দরবনে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৩: সুন্দরবনে কুমিরের দেবতা কালু রায়
অনার্য আদিম প্রাচীন সুন্দরবনবাসী, তাই পৃথিবীর অন্যান্য আদিম সংস্কৃতির মতো ভয়ঙ্কর সেই সব জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচতে তাদের মধ্যে দেবত্ব আরোপ করে তাদের পুজো শুরু করে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২২: সুন্দরবনে গোয়াল পুজো আর ‘ধা রে মশা ধা’
কালীপুজো বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোর পর দ্বিতীয় বড়ো উৎসব। কিন্তু আজ থেকে অর্ধ শতক আগে সুন্দরবন অঞ্চলে দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর বাড়তি কিছু গুরুত্ব ছিল না।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২১: সুন্দরবনের সর্পদেবী মনসা
বর্তমান সুন্দরবনে লৌকিক দেবদেবীদের গুরুত্ব ক্রমশ কমলেও একমাত্র যে দেবীর গুরুত্ব একটুও কমেনি, বরং ক্রমবর্ধমান তিনি হলেন সর্পদেবী মনসা। সুন্দরবন হল সাপসঙ্কুল এলাকা।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২০: সুন্দরবনের বসন্ত রোগ নিরাময়কারী দেবী শীতলা
বজ্রযান বৌদ্ধতন্ত্রে ‘হারিতী’ নামে এক দেবী আছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ওই বৌদ্ধ দেবী হারিতী থেকে শীতলার উদ্ভব। বৌদ্ধ মতে হারিতী হলেন সন্তানের জন্মদাত্রী ও শিশু রক্ষাকারী দেবী।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৯: সুন্দরবনের জঙ্গল-জননী বিশালাক্ষী
বিশালাক্ষী দেবী যে অনার্য সমাজ থেকে সোজাসুজি হিন্দু সমাজে আসেননি তার প্রমাণ পাওয়া গেছে নেপাল থেকে সংগৃহীত কয়েকটি চর্যাপদ থেকে। অধ্যাপক-গবেষক ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত এই চর্যাপদগুলি আবিষ্কার করেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৮: সুন্দরবনে বিচিত্র অবয়বের দেবতা জ্বরাসুর
কেবল শীতলার সঙ্গেই নয়, কোথাও কোথাও পঞ্চানন্দ, ধর্মঠাকুর, আটেশ্বর, দক্ষিণ রায়, পাঁচুঠাকুর, বসন্ত রায় প্রভৃতি লৌকিক দেবতাদের সাথেও জ্বরাসুরকে পূজিত হতে দেখা যায়।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৭: সুন্দরবনের শিশুরক্ষক পাঁচুঠাকুর
দেখতে কেমন পাঁচু ঠাকুর? তাঁর প্রচলিত চেহারা কিন্তু অতি ভয়াবহ, আদিম দেবতাদের সঙ্গে অনেক মিল দেখা যায়। তাঁর গায়ের রং কালো। হুতোম প্যাঁচার মতো বড় বড় গোলাকার চোখ এবং চোখের রং লাল। মাথায় ঝাঁকড়া কোঁচকানো চুল।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৬: সুন্দরবনের লৌকিক দেবতা পঞ্চানন্দ বা বাবাঠাকুর
পঞ্চানন্দ দেখতে কিছুটা শিবের মতো হলেও পার্থক্যই বেশি। পঞ্চানন্দের দেহের রং টকটকে লাল। বিরাট গোলাকার তিনটে রক্তচক্ষু দেখে ভীতিসঞ্চার হওয়া স্বাভাবিক। টিকালো নাক।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৫: সুন্দরবনের বিসূচিকা রোগের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ওলাবিবি
‘ওলাবিবি’ শব্দটির সঙ্গে আমার পরিচিতি আশৈশব। কারণ প্রায় অর্ধশতক আগে দারিদ্র্যপীড়িত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে এক বিভীষিকাময় রোগ ছিল বিসূচিকা বা কলেরা। তখন গ্রামে সরকারি নলকূপের সংখ্যা ছিল খুব কম বা কোথাও আদৌ নেই। অধিকাংশ সাধারণ মানুষ পানীয় জল হিসেবে পুকুরের জল খেতে বাধ্য হত। ছিল না কোনও স্থায়ী শৌচাগার। ফলে সমস্ত মানুষ খোলা মাঠে মল ত্যাগ করত আর শৌচকর্ম করত পুকুরে। আবার সেই পুকুরের জল রান্নার কাজে বা পানীয় জল হিসেবে ব্যবহৃত হত। তাছাড়া স্নান এবং জামাকাপড় ধোয়াও হত সেই পুকুরে। কখনও একটা বড়ো পুকুর পাড়ার অনেক পরিবারও...
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৪: সুন্দরবনের মৎস্যদেবতা মাকাল
“মাকাল” কথাটি সম্ভবত “মহাকাল” শব্দের ধ্বনিলোপের ফলে উৎপন্ন হয়েছে। মহাকাল মানে হল পৌরাণিক দেবতা শিব। তাই মনে হয়, সুন্দরবনের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে শিবের এক লৌকিক রূপ হল মাকাল ঠাকুর।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৩: সুন্দরবনের গ্রামরক্ষক দেবতা আটেশ্বর
আটেশ্বর যদি লৌকিক দেবতা হন তবে সুদূর অতীতে এই নামে কি কোনও ব্যক্তি ছিলেন? সুন্দরবন অঞ্চলে কোথাও কোথাও ‘আট’ মানে উঁচু জমি। মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ‘আটান’ কথাটি প্রচলিত আছে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১২: সুন্দরবনের আর এক ব্যাঘ্রদেবতা বড় খাঁ গাজী
‘গাজী’ কারও নাম নয়, এ হল উপাধি। ইসলামি অর্থে ‘গাজী’ হলেন তিনি যিনি ধর্মযুদ্ধে বিজয়ী। তিনি মৈত্রী ও অহিংসার মাধ্যমে ভিনধর্মের মানুষেরও হৃদয় জয় করার ক্ষমতা রাখেন।