অসমের চা শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন জায়গায় ব্রিটিশের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। কিন্তু সব ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়নি। তাই কিছু কিছু ঘটনা স্থানীয় মানুষদের স্মৃতিতেই রয়ে গিয়েছে।
এই দেশ এই মাটি
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩২: ইতিহাস ও বিজ্ঞানের আলোয় গঙ্গাসাগর মেলা
অনার্যদের মধ্যে ক্রমশ তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন মহর্ষি কপিল। আশ্রম ঘিরে বাড়তে থাকে তাঁর অনুগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এই সংবাদে শঙ্কিত সূর্যবংশীয় সগর রাজ মনে হয় ষাট হাজার সেনা দিয়ে কপিলমুনির আশ্রম আক্রমণ করেন।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-৭: চরগোলা এক্সোডাস
চা বাগানগুলিতে বাইরের কোনও ব্যক্তির প্রবেশ অধিকার ছিল না। তবে পূজারী ব্রাহ্মণ দেওশরন ত্রিপাঠি, কাপড় ব্যবসায়ী গঙ্গাদওয়াল দীক্ষিত, রাম প্রসাদ চৌবে এঁদের জন্য সীমিত অনুমতি ছিল। তাঁরাই চা শ্রমিকদের বাইরের খবর দিতেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩১: সুন্দরবনের ঐতিহ্য গঙ্গাসাগরমেলা ও কপিল মুনির আশ্রম
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে —“সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।” কারণ সুপ্রাচীনকাল থেকে সাগরদ্বীপের দুর্গমতা। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, সাগরদ্বীপের বয়স প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর। অতীতে এখানে ছিল সমৃদ্ধ জনপদ।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-৬: ইতিহাসে চা
শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনের ছবি কাঠিও ছিল ইরেজ সাহেবদের হাতে। অসাস্থ্যকর ‘কুলি লাইন’ এ চা শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা হল। এই কুলিলাইন শব্দটি বাগান কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করত। শ্রমিকদেরকে শুধু ২৫ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করার জন্য প্রদান করা হত।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩০: সুন্দরবনে লৌকিক দেবতা ছাওয়াল পীর ও রাখাল ঠাকুর
হিন্দুরা ছাবালপীর বা খোকা পীর কে বালক কৃষ্ণ বলে মনে করেন। সুন্দরবন এলাকায় যখন ষোড়শ সপ্তদশ শতকে পীরদের দ্বারা ইসলাম ধর্মের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছিল তখন হিন্দুদের বালক কৃষ্ণ মুসলমানদের ছাওয়াল পীরের সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-৫: বরাক পাড়ে জঙ্গিয়ার গীত
‘খুব লড়ি মর্দানি, ওহ তো ঝাঁসি ওয়ালি রানি থি’ না আজ ঝাঁসির রানির গল্প নিয়ে আসিনি। তবে ইতিহাসের পাতাতে তো ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈর মতো আরও অনেক বীরাঙ্গনা রয়েছেন। আজ তাঁদেরই একজনের কথা বলব।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৯: সুন্দরবনের জনপ্রিয়তম পীর—পীর গোরাচাঁদ
চন্দ্রকেতুগড় স্থানটির কথা আজ অনেকের কাছে সুপরিচিত। উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপায় রয়েছে রাজা চন্দ্রকেতুর গড় বা দুর্গের ভগ্নাবশেষ। চন্দ্রকেতুর কথা যতটুকু জানা যায় তা লোকমুখে প্রচারিত অলৌকিক নানা কাহিনি।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-৪: বরাকপারের কথা
ডিমাসা, বাঙালি, মণিপুরি আরও অনেক ভাষা ও সংস্কৃতির লোকদেরকে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে দেখা যায় এই বরাক পাড়ে। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বরাক উপত্যকা তার নিজস্বতা বহন করছে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৮: সুন্দরবনের তিন গাজী—রক্তান গাজী, তাতাল গাজী ও শতর্ষা গাজী
লোকগবেষকদের মতে, সুন্দরবনের লৌকিক দেবতা রক্তবর্ণের পঞ্চানন্দ থেকে রক্তান গাজীর উদ্ভব। সুন্দরবন অঞ্চলে যখন ইসলাম ধর্ম প্রভাব বিস্তার করছিল এবং তার ফলে অনেক হিন্দু ইসলাম ধর্মগ্রহণে বাধ্য হচ্ছিল তখন এই রূপান্তর ঘটে।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-৩: ইতিহাসের পাতায় লাচিত বরফুকোন
ইতিহাস বড় মজার বিষয়। ইতিহাস শুধু নাম আর তারিখের তালিকাই ধরে রাখে না, সেই সঙ্গে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে কত বীরদের অমর গাথা। আমাদের বরাক ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে এমন অনেক ক্ষণজন্মা জন্মেছেন যাঁরা আমাদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৭: হিন্দু-মুসলিম মিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণ ও সত্যপীর
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে সত্যনারায়ণ ও সত্যপীর একই উপাস্য। অনেক ঐতিহাসিকের মতে গৌড়েশ্বর হুসেন শাহ তাঁর রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সমণ্বয়ের জন্য হিন্দুদের সংস্কৃত শব্দ ‘সত্য’ ও মুসলমানদের আরবি শব্দ ‘পীর’ জুড়ে সত্যপীর উপাসনা প্রবর্তন করেন।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-২: ইতিহাসে অসম
অসম নামের উৎস শব্দটি নিয়ে ভিন্ন মত আছে। তবে আজকের দিনে আসাম নয়, রাজ্যটির নাম ‘অসম’ বলেই আমরা জানি। ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে ইংরেজিতে ‘আসাম’ বানানে একটি ‘S’ ব্যবহার করা হতো।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৬: সুন্দরবনের গবাদি-পশুরক্ষক মানিক পীর
মানিক পীরের মূর্তি আজকাল প্রায় দেখাই যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁর সমাধি বা স্তূপ পূজা-হাজোত করা হয়। মানিক পীরের মূর্তি খুব সুন্দর। গায়ের রং ফর্সা। মাথায় বাবরি করা চুল ও গালে দাড়ি।
অসমের আলো-অন্ধকার, পর্ব-১: প্রকৃতি অসমকে সাজাতে কোনও কার্পণ্যই করেনি
অসম বলতেই মনে হয় সবুজের অসম, গাছের অসম, বিহুর অসম, বৃষ্টির অসম। আমার অসম।