আমাদের এলাকায়, মানে সুন্দরবনের পশ্চিমাংশে বাইন গাছ লোকমুখে বানি গাছ নামে বেশি পরিচিত। কোথাও কোথাও বিনা নামেও পরিচিত। বাইন গাছেরা হল, সুন্দরবনের স্থলভাগের উপকূল রক্ষীবাহিনী।

আমাদের এলাকায়, মানে সুন্দরবনের পশ্চিমাংশে বাইন গাছ লোকমুখে বানি গাছ নামে বেশি পরিচিত। কোথাও কোথাও বিনা নামেও পরিচিত। বাইন গাছেরা হল, সুন্দরবনের স্থলভাগের উপকূল রক্ষীবাহিনী।
মূলত ইংরেজরাই শিলচরকে নতুন চেহারা প্রদান করে। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য রেল লাইন পেতেছিল। তার ফলে এ অঞ্চলের বিপুল পরিবর্তন হয়। রেললাইন স্থাপিত হওয়ায় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠে। জানিগঞ্জ-সদরঘাট অঞ্চলে অফিস আদালত গড়ে উঠে।
ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে থাকে। গেরিলা কায়দায় হামলারত মুক্তি ফৌজকে ঠেকানোর জন্য পাক সেনারা ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সেদিন মাইন পুতে রেখেছিল। মাইন বিস্ফোরণে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। যাইহোক, এরই মাঝে একদিন পাক-ভারত যুদ্ধের দামামা বেজে গেল।
কোনও মানুষ বাঘের আক্রমণে আহত হলে তার ক্ষতস্থানে পাতার রস ও মণ্ড লাগানো হয়। মানুষের বিশ্বাস এতে ক্ষতস্থানের বিষক্রিয়া দূরীভূত হয়। ক্যানসারেও পাতার রস ব্যবহৃত হয়।
নেতাজি প্রথম বার ১৯২৭ সালে অসমে যান। ছিলেন শিলংয়ে। ১৯৩৮ সালে তিনি আবার অসমের তৎকালীন রাজধানী শিলংয়ে গিয়েছিলেন। সেই সফরে তিনি গোলকগঞ্জ এবং ধুবড়ি শহরেও যান। গৌরীপুরের একটি শোভাযাত্রায় বক্তৃতাও দেন। অসম থেকে বহু মানুষ নেতাজির আজদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করতে এগিয়ে এলেন।
১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রিপুরার ভারতভুক্তি ঘটে। সুদীর্ঘকাল মাণিক্য রাজবংশের শাসনের পর ত্রিপুরা ক্রমে ক্রমে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু করে।
সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮০টি প্রকৃত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের প্রজাতি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৫০-৬০টি প্রজাতি ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। ২০১১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, সুন্দরবনে প্রকৃত ম্যানগ্রোভ প্রজাতির সংখ্যা ৩৪ এবং সহযোগী ম্যানগ্রোভের সংখ্যা ৪০।
গোয়েন্দারা ডাক বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সন্দেহজনক চিঠিগুলি খুলে পড়ত। তেমনি এক চিঠির জন্য মহীতোষকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুল ছাড়তে হয়। চিঠির কথা পুলিশ তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি মহীতোষের উপর চাপ সৃষ্টি করেন কে চিঠি পাঠিয়েছে জানতে।
বীরবিক্রমের রাজত্বকালে ত্রিপুরার উন্নয়নে এক নবদিগন্তের সূচনা ঘটে। সুদৃঢ় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা-সহ শিক্ষা, যোগাযোগ নানা ক্ষেত্রে বহুমুখী উদ্যোগ নেন রাজা। আগরতলা-সহ রাজ্যের অভ্যন্তরে নানা রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। কমলাসাগর থেকে দুটি রেলপথেরও মঞ্জুরী দিয়েছিলেন রাজা। রাজধানী আগরতলাকে এক আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেন তিনি।
‘আঠারো ভাটির দেশ’-এর ‘সুন্দরবন’ নামকরণের পিছনে অন্যতম কারণ বলা হয় সুন্দরী গাছ। এর কাঠের রং লাল, আর পাতায় মোমের পরিমাণ বেশি থাকায় রোদ পড়লে চকচক করে। গোলাপি রঙের ফুল যখন থোকা থোকা ফোটে তখন তার শোভা অপরূপ। তাই সুন্দরী গাছ দেখতে খুব সুন্দর। বেশিরভাগ মানুষ সুন্দরবন নামকরণের এই মত সমর্থন করেন। তবে অনেকের মতে, সুন্দরবন হল ‘সমুদ্রবন’ শব্দের অপভ্রংশ। সমুদ্রকে সাধারণ মানুষ বলে সমুন্দুর। এই সমুন্দুর শব্দ থেকে ‘সমুন্দরবন’ এবং তা থেকে ‘সুন্দরবন’ নাম এসেছে। আর এক মত হল, চন্দ্রদ্বীপবন বা চন্দ্রবন থেকে সুন্দরবন নাম হয়েছে।...
রায়বহাদুর কালিচরণ পেশাগত ভাবে একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল ছিলেন। তিনি তাঁর এক ধনি মক্কেল রমেশ্বরূপ সিংকে রাজি করিয়েছিলেন তাঁর একটি বাড়ি স্কুলের জন্য ভাড়া দিতে। টোকোবাড়িতে অবস্থিত একটি দোতলা বাড়ি মাসিক তিরিশ টাকাতে ভাড়া দিতে রমেশ্বরূপবাবু রাজি হলেন। তবে তিনি শর্তও রাখলেন।
পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন পুত্র বীরেন্দ্র কিশোর। উন্নয়ন কর্মসূচির পাশাপাশি তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামো সুদৃঢ় করেছিলেন। রাজ্য প্রশাসনে যাতে দক্ষ আধিকারিক নিযুক্ত হতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে বীরেন্দ্র কিশোর স্টেট সিভিল সার্ভিস গঠন করেন।
নদী বা খালের ধার ছাড়াও আজকাল সুন্দরবনের বসতি এলাকার অনেক জায়গাতেই গেঁওয়া গাছ দেখা যায়। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে সুদূর অতীতে এই অঞ্চলগুলো নিশ্চিতভাবেই নদী বা খাঁড়ি এলাকা ছিল। এখানে নিয়মিত জোয়ার ভাটা খেলতো। প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট কারণে এই জায়গাগুলি এখন বুজে গিয়েছে, কিন্তু রয়ে গেছে দীর্ঘজীবী গেঁওয়া গাছ।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আইন চালু করেন লর্ড কার্জন। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে অসমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষ। এগিয়ে এলেন কামিনীকুমার চন্দ। তিনি নিজে একজন উকিল ছিলেন তাই শিলচর বার কাউন্সিসের উকিলদেরকে নিয়ে কাছাড় স্বদেশী সভা গঠন করেছিলেন।
নবাব মীর কাশেমের কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বর্ধমান, মেদিনীপুর এবং চট্টগ্রাম জমিদারি হিসেবে পেয়েছিল। সৈন্য পাঠাবার জন্য নবাবের অনুরোধ তাদের কাছে যেন এক বিরাট সুযোগ এনে দেয়। ইংরেজ গভর্নর তখন চট্টগ্রামের ইংরেজ শাসনকর্তাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে ত্রিপুরা অধিকারের নির্দেশ দেন।