মঙ্গলবার ২০ মে, ২০২৫

এই দেশ এই মাটি

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১০০: নীল কটকটিয়া

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১০০: নীল কটকটিয়া

বছর পনেরো আগের কথা। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি। শীত যাই-যাই করছে। ক’দিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেদিন সকালে দাঁত মেজে চা খাওয়ার জন্য রান্নাঘরের সামনের ছোট্টো একফালি বারান্দায় বেঞ্চের উপর বসেছিলাম। সামনেই পুকুর। আর আমার থেকে আট-দশ ফুট দূরে পুকুর পাড়ে একটা মাঝারি সাইজের আমগাছ। দু’চারটে আমও ঝুলছিল সেই গাছ থেকে। সবে চায়ের কাপ হাতে নিয়েছি, হঠাৎই সেই আমগাছের দিক থেকে ভেসে এল একটা মৃদু শিসধ্বনি— ‘উই উই উই উই উই উই উই উই উইইইইইই’! চায়ের কাপ আর ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছোল না। শব্দটা কানে আটকে গেল। পাখির এমন ডাক তো আগে...

read more
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৬০: কবিগুরুর শিলং সফর

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৬০: কবিগুরুর শিলং সফর

১৩২৬ বঙ্গাব্দে (১৯১৯ সালে) কবি শিলং সফর করেন। সেবারই গুয়াহাটি হয়ে তাঁর মণিপুর যাবার কথা ছিল। ১৯১৯ সালের ৩০ অক্টোবর শিলং থেকে কবি লিখছেন—’কাল আমি শিলং ছেড়ে গৌহাটি যাবো-তারপর সেখান থেকে আমাদের মণিপুর যাবার কথা চলছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কবির আর মণিপুর যাওয়া হয়নি। কবি গুয়াহাটি হয়ে সিলেট যান। তারপর সিলেট থেকে আসেন ত্রিপুরায়।

read more
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৫০: শিলচর শহরের অতীতের গল্প

অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৫০: শিলচর শহরের অতীতের গল্প

“ঘড়িটি বলছে শুনো টিক টিক / সময় যায় যে উড়ে ঠিক ঠিক।” ছোটবেলায় পড়া একটি ছড়ার এই লাইনটি যে কতটা সত্যি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সূর্যচন্দ্র যেমন রোজ আমাদের সঙ্গে থাকে তেমনি সময়ের হাত ধরে পরিবর্তনও আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে উঠে। তবে এই পরিবর্তনের চেহারা বড় শান্ত, বড় ধীর লয়ে চলে।

read more
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৯: বসন্ত-বৌরি

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৯: বসন্ত-বৌরি

বসন্ত বৌরি পাখি রূপে অতুলনীয়। তার বর্ণময়তা নয়নমনোহর। সারা পিঠ, ডানা, লেজ ও পেটের রঙ সবুজ। তবে পেটের সবুজ রঙ সামান্য ফিকে। চোখের উপর ও নিচে এবং গলায় উজ্জ্বল হলুদ রঙের ছোপ দেখে মনে হয় যেন গায়ে হলুদ মেখে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে! কপাল আর বুকে টকটকে লাল ছোপ। চোখের হলুদ ও কপালের লাল ছোপের পেছনে এবং বুকের লাল ছোপের দু’পাশে কালো দাগ ছোপগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

read more
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৮: হরিয়াল

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৮: হরিয়াল

পুকুরঘাটের পাশেই ছিল কয়েকটা বড় পেয়ারা গাছ ও সবেদা গাছ। যখন হরিয়ালদের ঝাঁক এসে সেই গাছে বসত তার ডানার শব্দ ঘরের মধ্যে থেকেই শোনা যেত। তখন মাকে বলতে শুনেছি, “ওই দেখ ঢপঢপে পাখিরা এসেছে।” অমনি ছুটতাম দেখার জন্য। খুঁজে পেতে কিন্তু বেশ সমস্যা হত কারণ গাছের সবুজ পাতার সঙ্গে ওদের গায়ের রঙ দারুণভাবে মিশে যেত।

read more
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৯: রবীন্দ্রনাথ আগরতলা ও সিলেটে মণিপুরী নৃত্য-গীত দেখে মুগ্ধ হন

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৯: রবীন্দ্রনাথ আগরতলা ও সিলেটে মণিপুরী নৃত্য-গীত দেখে মুগ্ধ হন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্নেহ স্পর্শে শান্তিনিকেতনে কয়েকটি বছর কাটিয়েছিলেন নীলেশ্বর। এমন কি, শান্তিনিকেতনের সেদিনের ছাত্রী ইন্দিরা গান্ধীও তাঁর কাছে নৃত্যের তালিম নিয়েছিলেন। বিভিন্ন সঙ্গীতে মণিপুরী নৃত্য কৌশল সংযোজনেও নীলেশ্বরবাবুর অবদান ছিল। এই কাজে শান্তিদেব ঘোষ তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত ছিলেন।

read more
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৮: ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্য দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেছিল

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৮: ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্য দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেছিল

আধুনিক ভারতীয় নৃত্যকলার ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতনের এই নৃত্য চর্চার ইতিহাস নিঃসন্দেহে এক অন্যতম আলোচনার বিষয়। ‘বহু’-কে ‘এক’-এর মধ্যে মেলানো যে রবীন্দ্র শিল্প চেতনার মূল লক্ষ্য-তাই প্রতিফলিত হয়েছে শান্তিনিকেতনের নৃত্য ধারায়। কবি শান্তিদেব ঘোষকে দেশ বিদেশের নানা জায়গায় পাঠিয়েছিলেন সেই সব এলাকার নৃত্যকলা রপ্ত করতে। শান্তিদেব নানা অঞ্চলের নৃত্যের নানা ভঙ্গি রপ্ত করেছিলেন। তিনি নানা ধারার নৃত্য শৈলীর মিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে।

read more
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪৯: পান-সুপারি ছাড়া অসম্পূর্ণ অসমীয়া খাবারের থালি

অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪৯: পান-সুপারি ছাড়া অসম্পূর্ণ অসমীয়া খাবারের থালি

অসমীয়াদের খাবার দাবার নিয়ে মজা করে বলা হয়, ‘খার খোয়া অসমীয়া’। এই ‘খার’ অসমীয়া রন্ধন শৈলীর এক উপকরণ। কলা গাছের একটি অংশ পুড়িয়ে ছাই তৈরি করে এই খার তৈরি করা হয়। এই খার রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এই খার অসমীয়া রান্নায় এক বিষেশ ধরনের স্বাদ আনয়ন করে। তবে মূল উপাদান ভাত। ভাতের সঙ্গে খার মিশ্রিত বিভিন্ন রকমের রান্না থাকে। এক সময় নুনের বদলে খার রান্নায় ব্যবহার করা হত।

read more
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৭: পাতি সরালি

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৭: পাতি সরালি

পাতি সরালি জলাশয়ের আশেপাশে বাসা বাঁধে। জলাশয়ের পাশে তাই ঝোপঝাড় থাকা খুব জরুরি। শুকনো লতাপাতা, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে বাসা বানায়। তবে অল্প উচ্চতায় জলাশয়ের পাশে থাকা কোনও বৃক্ষের কোটরে কিংবা কাক, চিল ইত্যাদির পরিত্যক্ত বাসায় এদের ডিম পাড়তে দেখা গিয়েছে। নারকেল গাছেও বাসা করতে দেখা যায়।

read more
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৭: রবীন্দ্রনাথ ‘শাপমোচন’ নিয়ে সদলবলে সিংহল সফর করেন

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৭: রবীন্দ্রনাথ ‘শাপমোচন’ নিয়ে সদলবলে সিংহল সফর করেন

বুদ্ধিমন্ত অল্প কিছুদিন শান্তিনিকেতনে ছিলেন। কিন্তু শান্তিনিকেতনে নৃত্য চর্চার সূচনা পর্বে তাঁর ভূমিকা আজ ইতিহাস হয়ে আছে। বুদ্ধিমন্ত ফিরে যাবার কয়েক বছর পর রবীন্দ্রনাথ আবার শান্তিনিকেতনের জন্য ত্রিপুরা থেকে মণিপুরী নৃত্য শিক্ষক চেয়ে পাঠান। মহারাজকুমার ব্রজেন্দ্র কিশোর এবার নিজবাড়ির নৃত্য শিক্ষক নবকুমারকে শান্তিনিকেতনে পাঠিয়ে দিলেন।

read more
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৬: পরাগপাখি

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৬: পরাগপাখি

ছোটবেলা থেকেই আমি কেঁউ গাছের ঝোপে কোন পাখি ডাকে তা দেখতে যেতাম। দেখতাম এক ধরনের খুব ছোট্ট ছোট্ট পাখি ঝোপের মধ্যে একটা কেঁউ গাছ থেকে আরেকটা কেঁউ গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অসম্ভব চঞ্চল। প্রতি সেকেন্ডে মনে হয় জায়গা বদল করে। আর অনর্গল ঘাড় ঘুরিয়ে ডাঁয়ে বাঁয়ে, উপরে নিচে দেখে।

read more
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৬: সিলেটে দেখা মণিপুরী নাচ কবির নৃত্য ভাবনাকে উস্কে দিয়েছিল

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৬: সিলেটে দেখা মণিপুরী নাচ কবির নৃত্য ভাবনাকে উস্কে দিয়েছিল

সিলেটে এই মণিপুরী নৃত্য দেখার পরেই কবি শান্তিনিকেতনের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৃত্যের প্রচলনের কথা চিন্তা করেন বলে গবেষকগণ উল্লেখ করেছেন। সফর শেষে শান্তিনিকেতনে ফিরে গিয়ে তিনি ত্রিপুরা থেকে একজন মণিপুরী নৃত্য শিক্ষক পাঠাবার জন্য ত্রিপুরার রাজদরবারে অনুরোধ জানান। ত্রিপুরার সিংহাসনে তখন বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য। কবির অনুরোধে মণিপুরী রাজকুমার বুদ্ধিমন্ত সিংহকে তখন শান্তিনিকেতনে পাঠানো হয়েছিল।

read more
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪৮: গায়ক-গায়িকাদের অসম

অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪৮: গায়ক-গায়িকাদের অসম

অসমের সবুজ মাটিতে অনেক সংগীত শিল্পী জন্মেছেন। তাঁদের গান শ্রোতাদের মনে সব সময় দাগ কেটেছে। অসমের অনবদ্য প্রকৃতি জন্যই হয়তো তাঁদের কণ্ঠে অপরূপ ভাবে সুর খেলা করে। উদার প্রকৃতির মতো কণ্ঠও হয় উদাত্ব। কেউ লিখে গিয়েছেন অমর সঙ্গীত। তাঁদের সৃষ্টি অসম তথা গোটা ভারতের মানুষ মনে রাখবে চিরদিন।

read more
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৫: ঝোপ টিকরা

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৫: ঝোপ টিকরা

আমাদের গ্রামের বাড়ির সামনে যে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা খেলা একটা খাল ছিল তা আগে বহু লেখায় বলেছি। আর সেই খালের দু’পারে ছিল নানা ধরনের ম্যানগ্রোভ বা ম্যানগ্রোভ সহযোগী উদ্ভিদের ঝোপ। ওই খালের সাথে সংলগ্ন আমাদের দুটো নোনা জলের পুকুরও ছিল। সেই পুকুরের পাড়েও ছিল নানা গাছের ঝোপ। আবার আমাদের বাড়ির পুবদিকে প্রায় ২০০ ফুট দূরে ওই খালের সাথে সংলগ্ন ছিল একটা নালা। গ্রামের ভাষায় আমরা বলি পয়না।

read more
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৫: রবীন্দ্রনাথ, মণিপুরী নৃত্য ও ত্রিপুরা

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৫: রবীন্দ্রনাথ, মণিপুরী নৃত্য ও ত্রিপুরা

শান্তিনিকেতনের নৃত্য ধারায় প্রত্যন্ত রাজ্য ত্রিপুরার সামান্য ভূমিকা আজ অসামান্য গর্বের সঙ্গেই এক স্মরণযোগ্য ঘটনা বলা যায়। সে এক ইতিহাস। এক রাজবংশের চারজন রাজার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগ কিম্বা প্রাসাদ রাজনীতির ডামাডোলই শেষ কথা নয়। ছিল আরও অনেক কিছু। নীরবে যেন খুলে গিয়েছিল এক বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার।

read more

Skip to content