আফিফা চেয়েছিল আমি স্বচক্ষে এটা যেন দেখতে পাই। এবার মুক্তি পাবে ওরা। হয়ত আমিও। আমাকে ফিরে বুনিকে সব বলতে হবে। এ বার নিশ্চিন্তে কলকাতা ফিরবো।
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া
পর্ব-২৪: পিঠের পেছনে চেয়ারের ফ্রেমটা তাঁর চেহারার মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে
ঠিক যেমন প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢাকা জিনিস দেখা যায়। তেমনি বাবার শরীর ভেদ করে দেখা যাচ্ছে আরও দূরে আমার লেখার টেবিলটা।
পর্ব-২৩: লেখার অক্ষরগুলোতে লাল রংটা ক্রমশ শুকিয়ে খয়েরি হয়ে যাচ্ছে, তবে কি রক্ত?
আমার অন্য লেখার ডট পেনের লাল রং নয়। আমার কাছে কোন লালকালির পেন নেই! আর এই লেখার অক্ষরগুলোতে লাল রংটা ক্রমশ শুকিয়ে খয়েরী হয়ে যাচ্ছে। তবে কি রক্ত!
পর্ব-২২: ঈপ্সিতা চ্যাটার্জির কপাল থেকে সারা মুখ রক্তাক্ত
ভয়ংকর শ্বাসকষ্ট, ঠিক মতো কথা বলতে পারছেন না। ছটফট করছেন। শরীরটা বেঁকে যাচ্ছে। তারপর একটা সময় আর পারলেন না।
পর্ব-২১: এতক্ষণ নড়তে থাকা হাত-পা ক্রমশ এলিয়ে পড়ল
…হঠাৎ ধপ করে সেই চাদরমোড়া এলিয়ে-পড়া শরীর দুটোতে আগুন ধরে গেল। পোড়া শরীরের চড়চড় শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
পর্ব-২০: চুপ, মাম্মা আসবে! শি উইল কাম নাও
সেখানে একটা তে-পায়া টেবিল। সে টেবিলের তিন দিকে তিনটে চেয়ার। আমার পরিচিতাকে যে দেবরাজ বাবু চেনেন না সেটা আমি স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম। তবু দেবরাজবাবু আমি আর ঈপ্সিতা বসলাম তিনটে চেয়ারে।
পর্ব-১৯: বছর চারেকের ছোট্ট একটি মেয়েকে যেন সাদা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে
শবনমের বিয়ে আসানসোলেই হয়েছে। তবে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এ সব নিয়ে কথা বলাটা শোভনীয় হবে না ভেবে বুনি শবনমকে ওদের বাড়িতে ডেকে পাঠালো।
পর্ব-১৮: আংটিটা এখানে এল কী করে? পুড়েই বা গেল কী ভাবে?
আফিফার ভয়ানক পরিণতির কথা তো আমি এতদিন বাদে শুনলাম। কিন্তু আমি ক্রমাগত সেই চামড়া পোড়া মাংস পোড়া গন্ধটা পেতাম কেন? আফিফা আত্মহত্যা করেছে নাকি সেটা খুন?
পর্ব-১৭: আচমকা আমার কাঁধে একটা ঠান্ডা হাত
কী আশ্চর্য আমার ফ্ল্যাটের কবে গেট বন্ধ কবে পাম্প চালানোর কথা আমার এসব খেয়াল থাকে না কিন্তু মায়ের সব খেয়াল থাকে যদিও সেটা আমার হয়ে সুমন্ত এতদিন করে এসেছে।
পর্ব-১৬: আচমকা আমার শীত করছে, কোনওক্রমে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলাম
আমি এখনও জানি না আদৌ এমন কিছু ঘটছে নাকি পুরোটাই আমার মনের ভুল বা হ্যালুসিনেশন। যেটা আমার ডাক্তারনী মনে করেন। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর আমি অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করেছি।
পর্ব-১৫: পুলিশ কিন্তু অন্য কিছু সন্দেহ করছে!
নেরুলে ওদের বাংলো বাড়ি। আগেই বলেছিল। কিচেনটা আলাদা। সেখানে আগুন লেগে ও মারা যায়। শ্বশুরবাড়ির ফ্যামিলি স্টেটমেন্ট দিয়েছে এক্সিডেন্ট। পুলিশ অন্য কিছু সন্দেহ করছে।
পর্ব-১৪: বাদামি চোখ দুটোয় জ্বলন্ত আগুনের আভা
আমার মাথা কাজ করছে না। এতদিন যাকে ভুলে ছিলাম। সর্বশক্তি দিয়ে মন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। সে যেন আচমকা সমস্ত অতীত সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
পর্ব-১৩: বৃদ্ধার ঘন নীল চোখ দুটো যেন আমায় বিদ্ধ করল
ঘন নীল চোখ তাঁর। একটু ঘোলাটে। চশমা বিহীন। বিদেশের সিনেমাতে যেরকম বয়স্ক মানুষকে হঠাৎ দেখা যায় ঠিক তেমন। কোন বৃদ্ধার চোখ এরকম নীল হতে পারে আমি ভাবতেও পারি না।
পর্ব-১২: ক’দিন ধরে আমি কেমন যেন মাংস পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি
চোখ দুটো গোল গোল নীলচে। নাক আর ঠোঁটটা ছোট হয়ে গেল। এই অদ্ভুত চেহারা নিয়ে তিনি আমার দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর ফিসফিস করে বললেন।
পর্ব-১১: ডাক্তার প্রায় অজ্ঞান অবস্থায়
দেওয়ালে ঠেস দিয়ে মেঝেতে। তার চোখ দুটো কপালে গোঁগোঁ করে একটা শব্দ হচ্ছে। সারাঘরে ফিস ফিস করছে অনেকগুলো অবয়ব আর তীব্র চামড়াপোড়াগন্ধ।