১৯ মে গুলিবর্ষণে শহিদ হলেন-সত্যেন্দ্র দেব,চন্ডীচরণ সূত্রধর,বীরেন্দ্র সূত্রধর, সুনীল সরকার, হীতেশ বিশ্বাস, সুকোমল পুরকায়স্থ, কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, তরণী দেবনাথ, কানাইলাল নিয়োগী ও কুমুদ দাস। অবশ্য এগারো জন শহিদ হবার পরও আন্দোলন থামেনি।
ইতিহাস কথা কও
পূর্বোত্তরে ইতিহাস ঐতিহ্যে হাতি
পূর্বোত্তরে সর্বাধিক হাতি রয়েছে অসমে। অতীতের তুলনায় অবশ্য বর্তমানে এর সংখ্যা দারুণ ভাবে কমে এসেছে। একদা রাজশক্তির অন্যতম মাপকাঠি এবং গৌরবের প্রতীক ছিল হাতি। অসমের ইতিহাসের নানা অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে আপাত নিরীহ এই প্রাণীটি।
পর্ব-১৫: দেবদেউল কথা ও গোসানিমারি কামতেশ্বরী মন্দির
জনশ্রুতি খেন বংশীয় রাজা নীলধ্বজ ‘দেবী কামদা’ বা ‘কামতার’ উপাসক ছিলেন। উপাস্য দেবীর নাম অনুসারেই রাজ্যের নাম হয় কামতা এবং রাজধানীর নাম হয় কামতাপুর। নীলধ্বজই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
পর্ব-১৪: মধুপুর ধাম, বাণেশ্বর মন্দির ও ধলুয়াবাড়ি সিদ্ধ নাথ শিবমন্দির
কোচবিহার শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার পাকা রাস্তার উপর এবং রেলপথে বাণেশ্বর রেলস্টেশনের পাশেই উত্তরবঙ্গ ও অসমের অগনিত ভক্তের তীর্থক্ষেত্র বাণেশ্বর শিবমন্দির।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১৩: সাগর দীঘির ধারে হিরণ্যগর্ভ শিবমন্দির ও মধুপুর ধাম
হিরণ্যগর্ভ শিবমন্দিরের কথা বলতে গেলে আমাদের সেই কৈশোর বেলা ঘুরে ঘুরে আসে। বাড়ির মেয়ে বউয়েরা সকলে শিব পজোর নির্জলা উপোস করত। কেউ কেউ আগের দিন থেকে পারণ পর্ব ও চালাত।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১২: স্বপ্নাদেশের দেবী ভবানী
মদনমোহন মন্দির আর দেবী বাড়ির মেলা জুড়ে মানুষের আবেগ একইরকম ভাবে বিস্তৃত এখনও। এই দেবী দুর্গা ভবানীর মূর্তির বিশালতা, মুখ চোখের বৃহত্ত্বের সঙ্গে অন্যান্য দুর্গা মূর্তির মিল নেই।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১১: দেব-দেউল কথা ও মদনমোহন মন্দির
মদনমোহন বাড়ি কোচবিহারের মানুষের প্রাণের সম্পদ এবং প্রাণের ঠাকুর। কোচবিহারবাসীর যেকোনও পুণ্য পবিত্র কাজে প্রথম প্রণম্য স্থান এই মদনমোহন বাড়ি।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১০: সাবিত্রীদেবীর দৃষ্টিতে টুকরো সময়
১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সাবিত্রী দেবী প্রথম কোচবিহারে আসেন। সে সময়ে রাজধানী শহরে ইটের বাড়ি অত্যন্ত অল্পই ছিল। ইটও তৈরি হতো না তেমন। আর ভূমিকম্পেরও ভয় ছিল। বেশিরভাগ ছিল ‘খড়ের বাঙলা’ এমন কি, রাজ বড়িতেও খড়ের ঘর ছিল।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৯: রাজবাড়ির সান্নিধ্যে নারীর উড়ান
রাজস্থানের ‘রুদালী’ প্রথার মতো কোচবিহার রাজ্যে একদল’ State Mourner’এর কথা উল্লেখ করেছেন সাবিত্রী এখানে। তাদের বলে ‘মরুনার’। তারাই রাজাদের শোক দুঃখের ভার নিয়ে নিতেন।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৮: রাজবাড়িই রাজনগরের নারীর উন্মুক্ত আকাশ
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক সংস্কার মুক্ত পরিবেশে বড় হয়েছিলেন সুনীতি দেবী। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় সমান পারদর্শী ছিলেন।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৭: প্রকৃত শাসক মহারাজ, একটি রাজ্যের আলোয় উত্তরণ
আধুনিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত নৃপেন্দ্রনারায়ণের মানসিকতায় ধর্মীয় আচারের আগল পরিণয়ের আবেগকে বন্দি করতে পারেনি।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৬: ঐতিহাসিক বিরল বিবাহ ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
নাবালক রাজা এক কথার মানুষ। সাফ জানিয়ে দিলেন, সুনীতিকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা তার পক্ষে কোনওদিনই সম্ভব নয়। জানালেন, বিয়ে যদি না হয় তবে সূর্যের আলো ফোটার আগেই ঘোড়ায় চেপে দু’চোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যাবেন।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৫: রাজবাড়ি এবং অভিনব বিবাহপর্ব
সুনীতি দেবীর এই বিয়েতে শুরু থেকেই কেমন প্রতি ক্ষেত্রেই গোলমাল। ব্রিটিশ সরকারের ভয় ছিল ব্রাহ্মধর্মের আনুষ্ঠানিক বাড়াবাড়ি বোধ হয় হিন্দু প্রজারা বরদাস্ত করবে না।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৪: রাজ পরিবারের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক ও ব্রাহ্মবাদ
কেশবচন্দ্র সেনের অন্যতম অনুগামী প্রসন্ন বাবু মারফৎ যাদবচন্দ্র সুনীতি দেবীর কথা শোনেন। এমন মেয়েকেই খুঁজছিলেন তিনি। বংশ কৌলিন্য, আভিজাত্য, শিক্ষা, রুচি… সমস্ত শর্ত সুনীতি দেবীই পূরণ করতে পারেন।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৩: কোচবিহার ও রাজ পরিবার— নানা ধর্ম ও মানুষের মিশ্রণ
কোচবিহার রাজ্যে ইংরেজদের হস্তক্ষেপের ফলেই কোচবিহারের শাসন ব্যবস্থায় নানা সংস্কার সাধন ত্বরান্বিত হয়। রাজসভাকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কোচবিহার রাজগণ দক্ষ রাজকর্মচারী নিয়োগ করেন।