ঠাকুরের সঙ্গে পরিচিত হবার পর কিছুদিন পরে যোগেন মা একদিন দক্ষিণেশ্বরে আসেন। তিনি তাড়াতাড়িতে খেয়ে আসতে পারেননি জেনে ঠাকুর বলেন, ‘আহা, তুমি খাওনি, নহবতে যাও, সেখানে ভাত, তরকারি আছে, খাও গে’। সেই প্রথম দেখা হয় মা সারদার সঙ্গে যোগেনমার।

ঠাকুরের সঙ্গে পরিচিত হবার পর কিছুদিন পরে যোগেন মা একদিন দক্ষিণেশ্বরে আসেন। তিনি তাড়াতাড়িতে খেয়ে আসতে পারেননি জেনে ঠাকুর বলেন, ‘আহা, তুমি খাওনি, নহবতে যাও, সেখানে ভাত, তরকারি আছে, খাও গে’। সেই প্রথম দেখা হয় মা সারদার সঙ্গে যোগেনমার।
১৯ মে গুলিবর্ষণে শহিদ হলেন-সত্যেন্দ্র দেব,চন্ডীচরণ সূত্রধর,বীরেন্দ্র সূত্রধর, সুনীল সরকার, হীতেশ বিশ্বাস, সুকোমল পুরকায়স্থ, কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, তরণী দেবনাথ, কানাইলাল নিয়োগী ও কুমুদ দাস। অবশ্য এগারো জন শহিদ হবার পরও আন্দোলন থামেনি।
পূর্বোত্তরে সর্বাধিক হাতি রয়েছে অসমে। অতীতের তুলনায় অবশ্য বর্তমানে এর সংখ্যা দারুণ ভাবে কমে এসেছে। একদা রাজশক্তির অন্যতম মাপকাঠি এবং গৌরবের প্রতীক ছিল হাতি। অসমের ইতিহাসের নানা অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে আপাত নিরীহ এই প্রাণীটি।
জনশ্রুতি খেন বংশীয় রাজা নীলধ্বজ ‘দেবী কামদা’ বা ‘কামতার’ উপাসক ছিলেন। উপাস্য দেবীর নাম অনুসারেই রাজ্যের নাম হয় কামতা এবং রাজধানীর নাম হয় কামতাপুর। নীলধ্বজই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
কোচবিহার শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার পাকা রাস্তার উপর এবং রেলপথে বাণেশ্বর রেলস্টেশনের পাশেই উত্তরবঙ্গ ও অসমের অগনিত ভক্তের তীর্থক্ষেত্র বাণেশ্বর শিবমন্দির।
হিরণ্যগর্ভ শিবমন্দিরের কথা বলতে গেলে আমাদের সেই কৈশোর বেলা ঘুরে ঘুরে আসে। বাড়ির মেয়ে বউয়েরা সকলে শিব পজোর নির্জলা উপোস করত। কেউ কেউ আগের দিন থেকে পারণ পর্ব ও চালাত।
মদনমোহন মন্দির আর দেবী বাড়ির মেলা জুড়ে মানুষের আবেগ একইরকম ভাবে বিস্তৃত এখনও। এই দেবী দুর্গা ভবানীর মূর্তির বিশালতা, মুখ চোখের বৃহত্ত্বের সঙ্গে অন্যান্য দুর্গা মূর্তির মিল নেই।
মদনমোহন বাড়ি কোচবিহারের মানুষের প্রাণের সম্পদ এবং প্রাণের ঠাকুর। কোচবিহারবাসীর যেকোনও পুণ্য পবিত্র কাজে প্রথম প্রণম্য স্থান এই মদনমোহন বাড়ি।
১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সাবিত্রী দেবী প্রথম কোচবিহারে আসেন। সে সময়ে রাজধানী শহরে ইটের বাড়ি অত্যন্ত অল্পই ছিল। ইটও তৈরি হতো না তেমন। আর ভূমিকম্পেরও ভয় ছিল। বেশিরভাগ ছিল ‘খড়ের বাঙলা’ এমন কি, রাজ বড়িতেও খড়ের ঘর ছিল।
রাজস্থানের ‘রুদালী’ প্রথার মতো কোচবিহার রাজ্যে একদল’ State Mourner’এর কথা উল্লেখ করেছেন সাবিত্রী এখানে। তাদের বলে ‘মরুনার’। তারাই রাজাদের শোক দুঃখের ভার নিয়ে নিতেন।
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক সংস্কার মুক্ত পরিবেশে বড় হয়েছিলেন সুনীতি দেবী। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় সমান পারদর্শী ছিলেন।
আধুনিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত নৃপেন্দ্রনারায়ণের মানসিকতায় ধর্মীয় আচারের আগল পরিণয়ের আবেগকে বন্দি করতে পারেনি।
নাবালক রাজা এক কথার মানুষ। সাফ জানিয়ে দিলেন, সুনীতিকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা তার পক্ষে কোনওদিনই সম্ভব নয়। জানালেন, বিয়ে যদি না হয় তবে সূর্যের আলো ফোটার আগেই ঘোড়ায় চেপে দু’চোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যাবেন।
সুনীতি দেবীর এই বিয়েতে শুরু থেকেই কেমন প্রতি ক্ষেত্রেই গোলমাল। ব্রিটিশ সরকারের ভয় ছিল ব্রাহ্মধর্মের আনুষ্ঠানিক বাড়াবাড়ি বোধ হয় হিন্দু প্রজারা বরদাস্ত করবে না।
কেশবচন্দ্র সেনের অন্যতম অনুগামী প্রসন্ন বাবু মারফৎ যাদবচন্দ্র সুনীতি দেবীর কথা শোনেন। এমন মেয়েকেই খুঁজছিলেন তিনি। বংশ কৌলিন্য, আভিজাত্য, শিক্ষা, রুচি… সমস্ত শর্ত সুনীতি দেবীই পূরণ করতে পারেন।