অশ্বত্থ গাছের ছালে থাকা বিশেষ উপাদান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ছালে উপস্থিত ইথানল নির্যাস প্রোটোজোয়া ধ্বংস করে। এটি কৃমিনাশক ও অ্যান্টিভাইরাস হিসাবেও কাজ করে।

অশ্বত্থ গাছের ছালে থাকা বিশেষ উপাদান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ছালে উপস্থিত ইথানল নির্যাস প্রোটোজোয়া ধ্বংস করে। এটি কৃমিনাশক ও অ্যান্টিভাইরাস হিসাবেও কাজ করে।
অমরত্বের প্রতীক হিসাবেও যুগ যুগ ধরে বট বৃক্ষকে স্থান দিয়েছে পুরাণ। পৃথিবীতে মানুষের জন্ম মুহুর্তে মানবজাতির কল্যাণার্থে দেবতারা মর্তে রক্ষক হিসাবে পাঠান রানি নিরন্তালিকাকে।
পদ্ম ফুল সাধারণত সাদা বা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। প্রকৃতিগতভাবে এই গা জলজ উদ্ভিদ কিন্তু সূর্যের স্টেজে ফুল প্রস্ফুটিত হয় এবং ফুলের উজ্জ্বলতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে “শুধু তুলসী দেবীকে স্পর্শ করলে মানব দেহ শুদ্ধ হয়। তার প্রার্থনা করলে সব অসুখ সেরে যায়। যদি কেউ এই উদ্ভিদকে প্রতিদিন জলদান করেন, তাহলে তাঁর যমরাজের ভয় নষ্ট হয়।”
মিশরের মানুষ প্রাচীনকালে রসুনকে দেবতা জ্ঞানে পূজা করতেন। ওখানকার ক্রীতদাসেদের আগে প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ানো হতো।
ভারতে আনুমানিক চার হাজার বছর আগে আম গাছের প্রথম চাষ শুরু হয়েছিল। প্রাচীন এই গাছকে হিন্দু পুরাণ মতে ইচ্ছাপূরণ বৃক্ষ হিসাবে অভিহিত করা হয় কারণ এই গাছ ভালোবাসা এবং উৎসর্গের প্রতীক।
লঙ্কা অত্যাধিক গরমেও আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বাস্তবিক ক্ষেত্রে লঙ্কা হল ঘর্মস্রাবকারক অর্থাৎ কাঁচালঙ্কা নিয়মিত খেলে তা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
নারকেল গাছকে ভারতীয়রা প্রাচুর্য বৃক্ষ বলে মনে করেন। নারকেল গাছের কাণ্ড, পাতা, ফল, ফলত্বক প্রতিটি অংশই মানুষের খাদ্য, পানীয়, বস্ত্র, জ্বালানি ইত্যাদির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
পানপাতা রস হজমশক্তি বাড়াতে এবং মুখের অরুচি ঠিক করতে খুবই উপকারী। তবে এই রস বাসি হলে এর কর্মক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়।
টম্যাটোতে প্রায় ৯৪ শতাংশ জলীয় অংশ থাকে যা আমাদের দেহের জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমের দিনগুলোতে রোজকারের মেনুতে টম্যাটো অবশ্যই রাখতে হবে।
চৈত্র মাসের ত্রয়োদশ দিবসে অশোকবৃক্ষকে হিন্দুরা দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন। এদিন মন্দির অশোক ফুল দিয়ে সাজানো হয়। ভগবান রামচন্দ্রের অঞ্জলিতেও অশোকফুল অপরিহার্য।
আমাদের দেশে কলাগাছকে প্রাচুর্য এবং উর্বরতার প্রতীক হিসেবে মানা হয়। যারা বিষ্ণু এবং শিবের উপাসক তারা তো বটেই সমগ্র হিন্দুদের কাছে কলাগাছ খুবই পবিত্র উদ্ভিদ।
হরিতকী মূত্র উৎপাদন ও নিষ্ক্রমণ সহজ করে। ফলে মূত্রথলিতে মূত্র জমে সংক্রমণের প্রবণতা যেমন কমে তেমনি ইউরিনারি স্টোনের আশঙ্কাও কম থাকে।
পাকা বেলের শরবত থেকে প্রচুর ওয়াটার সলিবল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যান্টি মিউটাজেনস এবং ফেনলিক কম্পাউন্ডস পাওয়া যায় যা, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
চায়ের মতো করে নিমপাতা ফোটানো জলের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে সামগ্রিকভাবে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো।