ছোটবেলায় ঠাকুমার কাছে শুনতাম, কাজের মধ্যে দুই, খাই আর শুই। সে সব তো আয়েসি এবং বিত্তবান লোকদের জন্য। সাধারণ মানুষ, যারা দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা খাটেন, তাদের পরম আশ্রয় রাতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টার নির্বিঘ্ন ঘুম।
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়
পর্ব-১৯: পাকা আম খাবেন, নাকি কাঁচা আম?
সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই রসনা পরিতৃপ্ত করতে আমের স্থান এক নম্বরে। রাজা-বাদশা থেকে ফুটপাতবাসী সবারই পছন্দের তালিকায় সব সময় থাকে আম। আম পাওয়া যায় বৈশাখের মাঝামাঝি সময় থেকে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত।
পর্ব-১৮: শুঁটকি মাছে কি আদৌ কোনও পুষ্টিগুণ আছে?
মাছ একটি প্রোটিন প্রধান খাদ্য, কিন্তু মাংসের থেকে অনেক বেশি পুষ্টিকর। এতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ প্রোটিন ছাড়াও পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, লোহা, ফ্লোরাইড ইত্যাদি নানা ধরনের খনিজ লবণ থাকে।
পর্ব-১৭: গরমে পান্তা ভাত কি সত্যিই শরীর ঠান্ডা করে?
শুধু যে বাঙালিরাই পান্তা ভাত খায়, তা কিন্তু নয়। বিহার ওড়িশা, অসমেও পান্তা ভাত খুব জনপ্রিয় একটি খাদ্য। আর বাংলাদেশে নববর্ষের অনুষ্ঠানের প্রধান অনুষঙ্গ হল পান্তা ভাত।
পর্ব-১৬: গরমে কক্ষনও ডিম খেতে নেই?
খাওয়া নিয়ে আমাদের প্রচুর বাধা নিষেধ। শীতকালে দই খেতে নেই। গরমকালে ডিম মাছ মাংস খেতে নেই। খেয়ে উঠে জল খেতে নেই। সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই—ইত্যাদি ইত্যাদি।
পর্ব-১৫: শরীর ফিট রাখতে রোজ ভিটামিন টনিক খাচ্ছেন?
টনিকের প্রতি আমাদের অনেকেরই খুব আসক্তি থাকে। কি মধু আছে এই পাঁচ অক্ষরের TONIC শব্দটিতে, কে জানে!
পর্ব-১৪: গরম পড়েছে, যত পারুন ঠান্ডা খান! কী হচ্ছে এর ফলে?
লেবু খেলে টক লাগে সাইট্রিক অ্যাসিডের উপস্থিতির জন্য, অথচ লেবু খেলে অ্যাসিড হয় না, উল্টে অ্যাসিড কমে। যেজন্য ভোজবাড়িতে ভুরিভোজ খাওয়ার পর অনেককেই দেখবেন এক গ্লাস জলে এক টুকরো লেবু চটকে পান করেন।
পর্ব-১৩: সারাদিন যত পারেন জল খান! এতে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? কী করে বুঝবেন?
জলের আরেক নাম জীবন, জানি আমরা সবাই। কিন্তু অপরিমিত জলপান অনেক সময় বিপদেরও কারণ হতে পারে। ঠিক কতটা জল আমরা সারা দিনে খাব এবং কেন খাব, সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
পর্ব-১২: ঘাম কমাতে পাউডার ব্যবহার করেন?
ঘাম-ঘামাচি কমাতে সত্যিই কি পাউডারের কোনও ভূমিকা আছে! এক কথায় নেই। পাউডার তৈরি হয় স্টার্চ বা শ্বেতসার জাতীয় পদার্থ দিয়ে, যা গরমে গলে গিয়ে সহজেই ঘর্ম ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়।
পর্ব-১১: লিকার চা খাওয়া কি সত্যই শরীরের পক্ষে ভালো?
চায়ের নেশাও কিন্তু জব্বর নেশা। সকালে বা সন্ধ্যায় যাদের চা পানের অভ্যাস আছে, নির্দিষ্ট সময় চা না পেলে তাদের মাথা ধরে, মেজাজ গরম হয়, কাজে মন বসে না, পটি পরিষ্কার হয় না।
পর্ব-১০: পেটের গ্যাস সারা দেহেই ঘুরে বেড়ায়!
অনেকে বারবার জোর করে ঢেকুর তুলে গ্যাস বার করার চেষ্টা করেন। এ ভাবে গ্যাস তো বার হয়ই না, উল্টে প্রতিবার ঢেকুর তোলার সময় কিছুটা করে বাতাস পেটে ঢুকে যায়। আরেকটা কথা, পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি হয়, গ্যাস নয়।
পর্ব-৯: দাঁতে পোকা! সত্যি, নাকি নিছক ধোঁকা?
আসলে দাঁতে যে কালো ছোপ বা দাগ পড়ে, যাকে বলা হয় ডেন্টাল কেরিস, আমরা তাকেই পোকা বলে ভাবি। এই দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল কেরিস নানা কারণেই হতে পারে।
পর্ব-৮: জ্বরে ভাত খাবেন?
ভাত খেলে বাত হয়, এটাও বাত কে বাত, অর্থাৎ কথার কথা। দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে গেঁটে বাত বা গাউট দেখা দিতে পারে, গাঁট বা জয়েন্ট ফুলতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড ভাতে থাকে না।
পর্ব-৭: যত কাশি, তত কাফ সিরাপ?
খ্যাক খ্যাক, খুক খুক, ঢং ঢং–চেম্বারে বসে রোগী দেখতে দেখতে কানে আসছে একটু দূরে বসে থাকা প্রতীক্ষারত রোগীদের কাশির কোরাস। গত একমাস ধরে কাশির মহোৎসব শুরু হয়েছে।
পর্ব-৬: কানে খোল, তেল দেন?
শিশুর কানে হঠাৎ ব্যথা হলে করবেনটা কি! হাতের কাছে তো আর ডাক্তার পাবেন না। উত্তরটা অনেকেই দেবেন, কেন ঘরে তো সরষের তেল আছে, একটু গরম করে কানে ঢেলে দেব। এ কাজ কখনই করবেন না।