এমারেল্ড থিয়েটার ছেড়ে দেওয়ার পর গিরিশচন্দ্র ঘোষ যুক্ত হয়েছিলেন মিনার্ভা থিয়েটারে। তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন অভিনেতা অধ্যাপক ড. শঙ্কর ঘোষ।

এমারেল্ড থিয়েটার ছেড়ে দেওয়ার পর গিরিশচন্দ্র ঘোষ যুক্ত হয়েছিলেন মিনার্ভা থিয়েটারে। তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন অভিনেতা অধ্যাপক ড. শঙ্কর ঘোষ।
এমারেল্ড থিয়েটারের জন্য তিনি তৈরি করলেন তাঁর নতুন নাটক ‘বিষাদ’। সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক ও অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।
এমারেল্ড থিয়েটারে গিরিশচন্দ্র ঘোষের যোগদান নিয়ে লিখেছেন অধ্যাপক অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।
আদিরসাত্মক দৃশ্যকাব্য ‘মুকুল মুঞ্জরা’ সৃষ্টিতে গিরিশচন্দ্রের কৃতিত্ব সম্পর্কে জানাচ্ছেন অধ্যাপক অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।
‘রূপ সনাতন’ নাটকে চতুর্থ অংকের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কের একটি দৃশ্য রয়েছে যেখানে কাশীধামে রূপ, অনুপম ও বৈষ্ণব ভক্তপরিপূর্ণ চন্দ্রশেখরের বাড়িতে চৈতন্যদেব কর্তৃক ভক্তগণের পদধূলি গ্রহণ গিরিশচন্দ্র দেখিয়েছিলেন।
আচমকা গুর্মুখ রায়ের স্টার থিয়েটার পরিত্যাগের কাহিনি শুনিয়েছেন অধ্যাপক অভিনেতা লেখক ড.শঙ্কর ঘোষ।
নাট্যশালা সুসংস্কৃত করে ভাঙা ন্যাশনাল থিয়েটার থেকে মহেন্দ্রলাল বসু, কেদারনাথ চৌধুরী, মতিলাল সুর, অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি প্রমুখকে নিয়ে এসে একটি দল গঠন করলেন। কেদারনাথ চৌধুরী ম্যানেজার হলেন।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের সম্পর্কের মূল্যায়ন করেছেন ড. শঙ্কর ঘোষ অধ্যাপক অভিনেতা।
‘অভিমন্যুবধ’ নাটকের অভিনয় যেমন সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়েছিল, নাট্যমোদীদের কাছেও তেমনি খুব আদরের বিষয় হয়ে উঠেছিল নাটকটি। বিশেষ করে অভিমন্যুর ভূমিকাতে অমৃতলাল মুখোপাধ্যায় অতি চমৎকার অভিনয় করেছিলেন।
‘সীতার বনবাস’ এর শতমুখে প্রশংসা শুনে শুনে মহিলাদের সংখ্যা প্রত্যেক সপ্তাহে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমন বৃদ্ধি দেখে স্বত্বাধিকারী প্রতাপচন্দ্র জহুরি মহাশয় স্ত্রীলোকের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।
নাটকের প্রত্যেকের ভূমিকা যেমন সুন্দর অভিনীত হয়েছিল, অভিনয় দর্শনের দর্শক হৃদয়ও ঠিক তেমনি রসাপ্লুত হয়ে উঠেছিল এটা বলাই বাহুল্য।
কয়েক বছর পরে পুনরায় স্টার থিয়েটারে নসীরাম নাটকের অভিনয় হয়েছিল। সেই সময় নাটকটি খুব জমেছিল। এই নাটকের গানগুলির বিশেষ করে সোনা চরিত্রের গানগুলোর কোন তুলনা হয় না।
মিনার্ভা থিয়েটারে ‘সীতারাম’র যখন অভিনয় চলছে তার পাশাপাশি ক্লাসিক থিয়েটারেও অমরেন্দ্রনাথ দত্ত ‘সীতারামের’ অভিনয় ঘোষণা করেন। সেই সময় উভয় থিয়েটারেই ‘সীতারাম’ অভিনীত হয়েছিল।
গিরিশচন্দ্র নিপুনতার সঙ্গে এই মহাকাব্য নাটক আকারে পরিবর্তন করে শিল্পীদের এর শিক্ষাদান করিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে অভিনয়ের জন্য কয়েকটি গানও রচনা করে দিয়েছিলেন নাটকটিতে।
নাটক অভিনয়ের নতুন যুগ আনার জন্য গিরিশচন্দ্র ঘোষ একসময় মহাকবি শেক্সপিয়ারের অনেকগুলি নাটকের অনুবাদ করেছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে ম্যাকবেথ নাটকটি।