একটু বড় পুকুর হলে জলের পরিমাণ থাকে বেশি। বাতাসের সংস্পর্শে বেশি পরিমাণ জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণও কিছুটা বেশি থেকে যায়। যার ফলে মাছের বেড়ে উঠতে কোন অসুবিধা হয় না।

একটু বড় পুকুর হলে জলের পরিমাণ থাকে বেশি। বাতাসের সংস্পর্শে বেশি পরিমাণ জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণও কিছুটা বেশি থেকে যায়। যার ফলে মাছের বেড়ে উঠতে কোন অসুবিধা হয় না।
প্রাণীবিজ্ঞানে খুব কমই এইরকম সহজ পদ্ধতি দেখা যায়। এই রকম পদ্ধতি নেই বললেই চলে। বিশ্বে জনপ্রিয় এই অভিনব পদ্ধতিটির আবিষ্কর্তা ড. হীরালাল চৌধুরী।
গবেষকরা সফলতার সঙ্গে দেখেছেন জলের পিএইচ এবং দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়মিত একটু দেখে নিতে পারলে কোনও সমস্যাই হয় না। পিএইচ সাধারণত ৭.২ থেকে ৭.৮ এর মধ্যে থাকলে ভালো হয়।
আরোয়ানা হল পৃথিবীর অন্যতম দামী একটি মাছ। লাল, সোনালি, রুপোলি রঙেরই সাধারণত হয়। বায়ুশ্বাসী এই মাছটি তার পটকাকে কাজে লাগিয়ে বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে সহজেই বেঁচে থাকতে পারে।
ক্রোকোডাইল ফিশ দেখতে শুধু সুন্দরীই নয়, সে অ্যাকোয়ারিয়ামের কাচের দেয়াল চেটে পরিষ্কারও করে দেয়! পরে যখন একটু বড় হয়, তখন এর কাঁটাও বড় হয়ে যায়। তখন একে ধরে রাখা মুশকিল।
এক বিঘা জমির ঘেরিতে আনুমানিক এক হাজার কেজির মতো কাঁকড়া চাষ করা সম্ভব। এই চাষে ঝুঁকিও কম। কারণ, কাঁকড়ার মৃত্যুর হার খুবই কম। রপ্তানিযোগ্য বাজার ও চাহিদা আছে যথেষ্ট।
সুন্দরবনে একশোরও বেশি প্রজাতির মাছ আছে। এর মধ্যে বেশ কিছু বিচিত্র প্রজাতির চিংড়ি, কাঁকড়া, শুশুক এবং বিপন্ন তালিকাভুক্ত কচ্ছপ। আর আছে মজার এক উভচর মাছ ‘মাড স্কিপার’।
এখানকার নদী, খাঁড়িতে নানান প্রজাতির মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক ইত্যাদি রয়েছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মাছ যেমন: মিল্ক ফিস, খরসুলা, পায়রাচাঁদা, মুক্তগাছা এবং তোপসে এই পাঁচটি মাছ কিন্তু খুবই জনপ্রিয়।
জেলা মৎস্য দপ্তর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রতিবন্ধকতার ফাঁকফোঁকর এড়িয়ে আবার তা চালু হয়ে যায়। অথচ সাধারণ কিছু ব্যবস্থা বীজ সংগ্রহকালে নিতে পারলে— যেমন মীন বাছাই করার সময়ে মাছ ও চিংড়ি যাতে নষ্ট না হয়।
কেবল এইটুকু তথ্য থেকে বোঝা যায়, গ্রামের জলাশয় থেকে সহজে পাওয়া দেশি মাছ উৎপাদন কতটা সম্ভাবনাময়। খাদ্য নিরাপত্তা তো নিশ্চয়ই, পুষ্টির নিরাপত্তা দিতেও তা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য।
মৃগেল, কালবোস, কমন কার্প তলদেশ থেকে। পচনশীল জৈব যৌগ, তলদেশের মাটিতে জমে থাকা কীট পতঙ্গের ডিম, লার্ভা টিউবিফেক্স ইত্যাদি খেয়ে বড় হয়। সঙ্গে পুকুরের তলদেশ পরিচ্ছন্ন রাখে।
স্যামনের সঙ্গে স্টারজিওনের খুব মিল আছে। তবে স্যামনের মতো ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই স্টারজিওন কিন্তু আত্মহত্যা করে না। স্যামনের এই অদ্ভুত জীবন প্রক্রিয়া, ‘সেমেলপ্যারিটি’ নামে অধিক পরিচিত।
শুধু মাছের উৎপাদনই নয়, রুই-কাতলার সঙ্গে এখন চাষ হচ্ছে গলদা চিংড়ির, যার চাহিদাও প্রচুর। এককভাবেও চাষ হচ্ছে এই অমেরুদন্ডী সন্ধিপদ প্রাণীটির।
মাছ লবণ, হলুদ ইত্যাদিতে মাখানোর পর অতিরিক্ত ভেজে ফেলার প্রবণতা অনেক বাড়িতেই দেখা যায়। এ ভাবে মাছ ভাজার কারণ হয়তো রসনাতৃপ্তির জন্যই। কিন্তু এতে আমরা অনেক পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলি।
রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসকে রোজই দেখা যায়। যাদের দেখা যায় না বললেই চলে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল— বাচা, বেলে, ন্যাদস, খরশুলা খয়রা, বোগো শিঙি, কুচে, কালবোস ইত্যাদি।