বৃষ্টির জল ভরতে দেওয়ার আগে দু-একবার ধুয়ে নিয়ে পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট মিশ্রিত জলে নিয়ে ধুয়ে নিয়ে তাতে তিন দিন থেকে চার দিন জল ভরে রেখে দিতে হবে। এরপর বৃষ্টির জল ধরে মাগুর, শিঙ্গি বা কই-এর চারা ছাড়া যেতে পারে।

বৃষ্টির জল ভরতে দেওয়ার আগে দু-একবার ধুয়ে নিয়ে পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট মিশ্রিত জলে নিয়ে ধুয়ে নিয়ে তাতে তিন দিন থেকে চার দিন জল ভরে রেখে দিতে হবে। এরপর বৃষ্টির জল ধরে মাগুর, শিঙ্গি বা কই-এর চারা ছাড়া যেতে পারে।
সাফল্যের কারণ বা মূলকথা যাই হোক না কেন যত্ন, শ্রম ও অধ্যবসায় —এই ত্রয়ীর আমাদের জীবনের কর্মক্ষেত্রে যে অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মাছচাষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
সফল মাছ চাষের জন্য যেমন দরকার নির্মল জলাশয়, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ এই উপযুক্ত খাবারের যোগান। পুকুরের উর্বরতা বজায় রাখবার জন্যে বিভিন্ন জৈব সার প্রায়শই পুকুরে দেওয়া হয়।
সবচেয়ে আশার কথা এই রাজ্যেই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ভুবনেশ্বরে অবস্থিত ‘সিফা’ থেকে উন্নতমানের পোস্ট লার্ভা এনে চিংড়িচাষে সাফল্য লাভ করেছেন।
কমন কার্প বা সাইপ্রিনাস কার্পও আমাদের কাছে আমেরিকান রুই নামে পরিচিত। যদিও এটি কোনওভাবে আমেরিকান তো নয়ই, বরং এর মাতৃভূমি হল চিন দেশ।
জলাধারের তলদেশ ও পার্শ্বদেশের নলগুলির দ্বারা জল বৃত্তপথে প্রবাহিত হয়। প্রায় ১০ লক্ষ ডিম প্রতি ঘনমিটারে জলাধারে প্রস্ফুটন করা যায়।
মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাছের প্রজনন করানো সম্ভব হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কেবল উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা ছাড়া। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের নিরিখে এটি একটি বিশাল সুযোগ আমাদের কাছে।
পাকা মাছের মস্তিষ্কের নিচে পিটুইটারি গ্রন্থির মধ্যে এই হরমোন থাকে, যা প্রজনন ঋতুতে আপনাআপনি শরীরে মিশে গিয়ে মাছকে ডিম পাড়তে সাহায্য করে।
স্ত্রী রুই বা ইলিশ মাছ একবারে এক লক্ষ ডিম ছাড়তে পারে। রুই বা ইলিশ যদি এক লক্ষ ডিম ছাড়ে এবং তাদের মধ্যে কুড়ি হাজারও মরে যায়, তাহলেও একটি মাছ থেকে আশি হাজার মাছ বছরে পাওয়া সম্ভব।
মাছচাষ হবে গ্রামাঞ্চলে আর উপকরণ উপলব্ধ হবে শহরাঞ্চলে। এ কেমন কথা? কী ভাবেই বা তা দীর্ঘদিন চলতে পারে?
প্রত্যেকদিনের সান্ধ্য মাছের বাজার, বিশেষ করে নৈহাটির বটতলায় রোজকার রাতের বাজারে বহু মানুষ মাছ এবং মাছের সরঞ্জাম কিনতে আসেন।
রাজ্যের সিএডিসির তমলুক প্রজেক্ট সেন্টার, রামকৃষ্ণ মিশনের কেভিকের খামার, আইসিএ আর-এর ভুবনেশ্বর মত্স্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিয়ে যাঁরা কাজ শুরু করেছেন তাঁরা সকলেই সফল হয়েছেন।
প্রথম মেরুদন্ডী প্রাণী মাছই প্রকৃত অর্থেই আমাদের এক সেরা জৈব সম্পদ। আমাদের রাজ্যে তো বটেই সারাদেশেই মাছের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। যদিও আমাদের জলাশয় বাড়ছে না, বাড়ছে শুধু লোক সংখ্যা, তা সত্ত্বেও মাছ কিন্তু আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে না চাহিদা মেটানোর জন্য। পরিকল্পনামাফিক মাছ চাষ আরও বিস্তৃত হোক সর্বত্র। বৈচিত্রপূর্ণ জল সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদেরও মাছের ফলন নিশ্চিত করতে হবে আগামীদিনে। এর সঙ্গে গ্রামীণ স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের দিকটিও সমানভাবে প্রাধান্য পেয়ে চলবে। মাছের উৎপাদন কিন্তু সিংহভাগই আসে ক্ষুদ্র এবং...
আমাদের দেশে, বিশেষ করে আমাদের রাজ্যে মাছ চাষের সুযোগ ও বাজার দুটোই আছে। এখানে যে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে তার অনেকটাই এখনও অধরা।
আশা করা যায় ‘ফিশ পাস’ পুরোদমে চালু হলে পরিযায়ী মাছ অভ্যস্ত হয়ে গেলে ইলিশের প্রজনন বাধাহীনভাবে সম্ভবপর হবে। এর ফলে ইলিশের প্রাপ্তিও আমাদের কাছে অনেক সহজ হবে।