তপসে মাছের পছন্দের খাবার হল, খুব ছোট মাছ ও অমেরুদণ্ডী জলজ প্রাণী। এই মাছটির একটি পুষ্টিগত বিশেষত্ব হল, এটি সায়ানোকোবালামিন বা ভিটামিন বি-১২ তে খুব সমৃদ্ধ।

তপসে মাছের পছন্দের খাবার হল, খুব ছোট মাছ ও অমেরুদণ্ডী জলজ প্রাণী। এই মাছটির একটি পুষ্টিগত বিশেষত্ব হল, এটি সায়ানোকোবালামিন বা ভিটামিন বি-১২ তে খুব সমৃদ্ধ।
জলাশয়ে দূষণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আর তার কারণেই জলজ জৈব সম্পদ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সততই। সতর্ক না হলে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ব্যাহত হবে। জল দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় জল পরীক্ষার মাধ্যমে।
ল্যাটা মাছের মাথার আঁশের সঙ্গে সাপের মাথার আঁশের মিল আছে। লম্বাটে মাছটির দেহের পরেই থাকে বিরাট পাখনা। ল্যাজের গড়ন কিছুটা চামচের মতো দেখতে হয়।
অ্যাজোলা এবং স্পিরুলিনা দুটিই অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-বি১২ ছাড়াও ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ,ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।
ন্যূনতম আইনের তোয়াক্কা না করে প্রায় স্বেচ্ছাচারিতা চালান পুকুর মালিকদের একাংশ। তাঁরা বাধ্য করেন, এই মৎস্যজীবীদের, খালি পায়ে ঠান্ডা জলে পুকুরে মাছ ধরার কাজে নামতে। সুস্থ মানবিকতা দরুণ হয়তো আমাদের সকলেরই এই দায় কিন্তু থেকেই যায়।
মাছটি এক ফুট লম্বা তো হয়ই। লেজের পাখনাটি বেশ চওড়া। এটি হালকা ধূসর বা ছাই রঙের হয়। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী সমুদ্র এলাকা, নদীমোহনা, খাঁড়ি, সুন্দরবন এলাকার ভেতরে আনাচে কানাচে প্রসারিত নানা শাখা প্রশাখা যুক্ত খাল—এইসব মাছ এবং চিংড়ির আদর্শ বাসস্থানের পরিবেশ।
চিতল মাছের এত চাহিদা যে, সারা বছরই পড়শি রাজ্যগুলি থেকে আমদানি করতে হয়। তাই রাজ্যে চিতল মাছচাষের প্রসার হলে যেমন মাছের চাহিদা পূরণ হবে, তেমনিই আয়েরও সুবিধা হবে।
কাঁকলে মাছের স্বাদ তারিফ করবার মতো। মাছটির লম্বা চোয়ালে ধারালো দাঁত আছে। একটু নোনা জলই এরা পছন্দ করে। তবে মিষ্টি জলেও এরা বেশ বেড়ে ওঠে স্বচ্ছন্দে।
দেশি সরপুঁটিতে পটাসিয়াম, ক্যালশিয়াম ও আয়রন থাকে। প্রোটিনের গুণমানও ভালো ও সহজপাচ্যও বটে। দীর্ঘশৃঙ্খল ফ্যাটি অ্যাসিডেও বেশ সমৃদ্ধ। এত স্বাদ ও পুষ্টিগুণের এহেন মাছটিকে সংরক্ষণের বিশেষ প্রয়োজন আছে।
ধীর গতিতে বৃদ্ধির কারণে মাছচাষিদের কাছে কিছুতেই এর গ্রহণযোগ্যতা আনা যাচ্ছে না। ক্রমশই যেন বিলুপ্তির দিকে চলে যাচ্ছে এই মাছটি।
আমাদের দেশীয় মাছগুলির মধ্যে যে কয়েকটি, অতি সুস্বাদু, চর্বি কম, প্রোটিনের গুণমাণে ভালো (মায়োফাইব্রিলার প্রোটিনের অংশ অনেক বেশি), এগুলির মধ্যে এক অন্যতম হল পাঁকাল মাছ।
জলের সেকচিডিস্কের দৃশ্যতা ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার হলে ধরে নেওয়া যায় পুকুরে প্ল্যাঙ্কটনের উপস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এই দৃশ্যতা যদি ৬০ সেন্টিমিটারের বেশি হয় তখন বোঝা যাবে জলে খাদ্যকণার ঘাটতি আছে।
বাঙালির খাদ্য তালিকার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মাছ। তাই বোধহয় নিশ্চিত ভাবে বলা যায় গ্রামে, মফস্বলে, শহরে, সর্বত্রই মাছচাষের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে আমরা যদি মাছের যোগান অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর হই।
মেলা বলতে আমরা জানি মিলন মেলা। পশ্চিমবঙ্গে বিখ্যাত মেলা অনেক জায়গাতেই হয়ে থাকে। মেলার উদ্দেশ্য মূলত বিনোদন। কিন্তু প্রায় পাঁচশ বছরের পুরানো মৎস্য মেলার সন্ধান অনেকেই হয়তো জানেন না।