সি-হর্সের বাহারি এই নাকটি অদ্ভুত সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তোলেছে। শরীরকে হেলিয়ে দুলিয়ে দেহের বায়ুর পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে যখন এরা জলে দুলকি চালে চলাফেরা ও ওঠানামা করে সে দৃশ্য যে কোনও মানুষকেই আকৃষ্ট করে থাকে।

সি-হর্সের বাহারি এই নাকটি অদ্ভুত সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তোলেছে। শরীরকে হেলিয়ে দুলিয়ে দেহের বায়ুর পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে যখন এরা জলে দুলকি চালে চলাফেরা ও ওঠানামা করে সে দৃশ্য যে কোনও মানুষকেই আকৃষ্ট করে থাকে।
সমাজে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে আমাদের যেমন ডাক্তারবাবুকে দরকার, তেমনই মাছেদের মধ্যেও বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী মাছেদেরও এইরকম কিছু চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়। এইরকম এক মাছেদের ডাক্তার হল, ল্যাবরয়ডেস ডিমিডিয়েটাস।
পতঙ্গবাহিত কিছু রোগবালাই বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি চ্যালেঞ্জ। এ সব ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হল, রোগসৃষ্টিকারী বাহক অর্থাৎ মশার উৎপত্তি এবং বংশবিস্তারকে সমূলে বিনাশ।
হোয়াইট স্পট ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে কোনও ওষুধই কার্যকরী নয়। বিভিন্ন জৈব সুরক্ষাবিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায়। এ ভাবে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো সম্ভব। পুকুরে চাষের শুরুতে পিসিআর পরীক্ষিত চিংড়ির মীন ছাড়তে পারলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
মাছচাষের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার জীবাণুঘটিত রোগ বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। প্রথাগত বা কিছুটা উন্নত চাষে এই প্রতিবন্ধকতা বিশেষ নেই। আধুনিক মাছ ও চিংড়িচাষে তাই নানা ধরণের রাসায়নিক প্রায়শই ব্যবহৃত হচ্ছে।
রোগজীবাণু বলতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস পরজীবি প্রভৃতি। এদের খালিচোখে দেখা যায় না। জলে মিশে থাকে। মাছের রোগাক্রান্ত হয়েছে কিনা এটি বোঝার উপায় হল তাদের কয়েকটি অস্বাভাবিক আচরণ।
শুরুতে প্রতি হেক্টর মিটারে পাঁচ হাজারটি মোট পোনা মজুদের পরিবর্তে এখন ২৫ হাজার হারে চারা ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক খাদ্যকণার ক্রমাগত ঘাটতির মোকাবেলায় পরিপূরক খাদ্যপ্রয়োগ একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
ডিমপোনাই হোক বা ধানীপোনা—পুকুরে জন্মানো প্রাণীকণার পরিমাণের ওপরে তাদের কত সংখ্যায় ছাড়া হবে তা নির্ধারণ করা হয়। যেমন পুকুরের পঞ্চাশ লিটার জলে প্রাণীকণার পরিমাণ দেড় থেকে দুই মিলিলিটার হলে দুই থেকে তিন লক্ষ ডিমপোনা ছাড়া যেতে পারে।
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা, খাবার প্রস্তুত ও পুকুরে তা নিয়মিত নিষ্ঠাভরে প্রয়োগ করতে পারলে অনেকটাই ব্যয় সঙ্কোচ হয়। কারণ, মাছচাষে সিংহভাগ খরচ হয় খাবার কেনার জন্য। এ সব ছাড়াও পুকুরে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রাণীকণার পরিমাণ প্ল্যাঙ্কটন নেটের সাহায্যে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক।
সাধারণভাবে বিঘা প্রতি ৩০ হাজার ধানী পোনাকে (২০-২৫ মিমি) আঁতুর পুকুর থেকে তুলে লালন পুকুরে ছাড়া যায়। পুকুরে ধানী পোনা ছাড়ার সময় হল সাধারণত সকালের দিকে।
আগের সংখ্যায় জানিয়েছিলাম, মাছচাষের পুকুর কেমন হবে, জলের ভৌত ও রাসায়নিক গুণমান মাছচাষের পক্ষে অনুকূল, কী জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে এবং কখন ইত্যাদি বিষয়ে। ছোট পুকুর যেখানে জলের গভীরতা বেশি থাকবে না সেখানে ডিমপোনার চাষ করাই ভালো।
মে পুকুরে চারাপোনা থেকে বড় মাছ উৎপাদন করা হয় সেটিকে পালন পুকুর বলা হয়। এটির জলের গভীরতা ৫ থেকে ৭ ফুট এবং এর আকার হবে ২০ কাঁটার বেশি। পুকুর পাড়ের দু’ দিকের ঢাল ৪৫ ডিগ্রি হতে হবে।
আমাদের রাজ্যে মাছচাষের কর্মকাণ্ড শুরু হয় ফাল্গুনের গোড়াতেই। এ বারে শীত কিছুটা প্রলম্বিত হওয়ায় মাছচাষিরা উদ্যোগ নিয়েছেন খানিকটা দেরিতে।
আমাদের দেশের পূর্ব উপকূলে, বিশেষ করে আমাদের রাজ্যের সুন্দরবন অঞ্চলে একটি অতীব সুন্দর মাছ পাওয়া যায়। যদিও পরিমাণে নেহাতই কম। কাকদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের গবেষণা এবং খামারে এই মাছ রয়েছে। এর নাম চ্যানশ চ্যানশ
চাহিদার নিরীখে কম দামের মধ্যে মাছের বাজারে যে কয়েকটি মাছ পাওয়া যায়, পাঙাশ মাছ তাদের মধ্যে একটি। এই ক্যাটফিশ যে কোনও মিষ্টি জলাশয়ে চাষ করা যায়।