নিজেকে জানতে চাওয়া নাকি জানানো? জানার নাকি কোনও শেষ নেই, জানানোর-ও। জ্ঞাপন মানে জানানো। কী জানাতে চান? বিজ্ঞাপন দিন।

নিজেকে জানতে চাওয়া নাকি জানানো? জানার নাকি কোনও শেষ নেই, জানানোর-ও। জ্ঞাপন মানে জানানো। কী জানাতে চান? বিজ্ঞাপন দিন।
শিব্রামের ‘গল্পে’ দেখা যাচ্ছে জনৈকা শিক্ষয়িত্রীর অঙ্গুলিহেলনে জনৈক লেখক রেনপাইপ বেয়ে ওপরে উঠছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্লট তাড়া করতে করতে কোন্ এক ওঠার চক্করে পড়ে যান তিনি…
ভোম্বলের ক্লাসের নিয়মিত খদ্দেরদের মধ্যে হোঁতকা আর মিকি। মিকির একটা ভালো নাম আছে। তবে সেটা কলেজের খাতা জানে। আর জানে তার বাবা মা। মিকি নিজেও মাঝে মাঝে ভুলে যায় তার ভালো নাম কী।
কী ভাবছেন? ছোটবেলাতেই কেবল ক্যাবলা হওয়ার ভয়, বড় হলেই বুঝি এসব থেকে ছুটি? তখন শুধু “চুপ কর ক্যাবলা, ইস্টুপিড” বলে দাবড়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ? আপনি ঠিকই ভাবছেন। তবে বয়সে বাড়লে শুধু হবে কি?
আমার কাজকর্ম দেখে আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। ভাবতে পারেন, এত ক্যাবলা মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে বাড়ি চিনে ফেরে কী করে? আজ্ঞে, আমিও যে তেমন করি না সেটা জোর দিয়ে বলতে পারি না।
পৃথিবীটা নাকি ছোট হয়ে যাচ্ছে রোজ। অনেকদিন আগে থেকেই এমন কথা বাতাসে উড়ছিল। তখন টিভির মাথায় শিং থাকতো, তাকে অ্যান্টেনা বলা হতো। ফোন তখনও চলভাষ হয়নি।
তবে কি ক্যাবলা আর ক্যাবলামির অস্তিত্ব আপেক্ষিকতায় আক্রান্ত? জাত-ক্যাবলারাও কি ক্ষেত্র বিশেষে ভারি বুদ্ধিমান হয়?
রুনকু দিদি যখন দেখল তার দামুদাদার কথামতো আসল আস্ত হাতি দরজায় দাঁড়িয়ে মোটেই শুঁড় নাড়াচ্ছে না, বরং মোটরগাড়ির হর্ণের তারস্বর তাড়া দিচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে তখন সে বেঁকে বসল।
কথায় বলে মরা হাতি লাখ টাকা। সেই হাতি যদি জ্যান্ত আর সাদা হয়, তাহলে?
পার্বতী মনে মনে শিবকে চেয়েছিলেন। নারদ ঘটকালি করে গেলেও লজ্জাবনতা পার্বতী কিছুতেই আর কাজের কাজটি করে উঠতে পারেন না। সকলেই উদগ্রীব সেই মহামিলনের শুভক্ষণের জন্য।
ইঁদুরটা মনের ভুলে, সিংহের নাকে সুড়সুড়ি দিয়ে চটকে দিয়েছিল ঘুম। থাবার মধ্যে ছটফট করতে করতে বলেছিল, আর হবে না, ভুল হয়ে গিয়েছে স্যর, এবারের মতো ছেড়ে দিন না স্যর…
“ন্যাংচাদা বাগবাজারের ছেলে তুখোড় চিজ। তিন মিনিটে আলাপ জমিয়ে নিলে। লোকটার নাম চন্দ্রবদন চম্পটী–সে হল হাহাকার ফিলিমের একজন অ্যাসিসট্যান্ট।…
ছোটবেলা থেকেই যেটা হয়ে উঠতে বলা হয়, সেটা হয়ে ওঠা জীবনভোর চলতে থাকে। হয়তো হয় না। যারা সেটা হতে পারে তাদের ‘অজাতশত্রু’ বলার একটা কেতাবি পরিভাষা আছে।
পাড়ার মোড়ে গুচ্ছের লোক জমেছে। একেকজনের হাতে একেক যন্ত্র। দৌড়োদৌড়ি। একটা কাচ ঢাকা কালো বাস। ট্রাইপডে পেল্লায় ক্যামেরা। আশেপাশে লোকলস্কর, কারও হাতে খাতা, কারও হাতে ছাতা।
দর্শন বলে কারণ থেকে কার্যোত্পত্তি, এখন কারণ যদি না থাকে অথবা নিষ্কারণ হয়ে যায়, তবে কার্য ভয় কি থাকে? থাকতে পারে ক্যাবলামি?