সিনিয়রের নেতৃত্বে, দেখানো পথে জুনিয়র চলেছে, মহাজন যে পথে যায় তাই-ই পথ হয়ে উঠেছে, এই ‘বড়দের মেনে চলা’ যেমন সত্য, তেমনই “ছোট মুখে বড় কথা” শোনার মতো, সমমর্মী হতে পারার মতো ‘বড়’ কি অনায়াসেই হয়ে ওঠা যায়?
ক্যাবলাদের ছোটবেলা
পর্ব-৩৬: আহা শ্রীরাধিকে চন্দ্রাবলী কারে রেখে কারে ফেলি
জন্মান্তরবাদ, অধ্যাত্মতত্ত্ব কিংবা মানুষের লৌকিক ইতিহাসটাই কেমন আপেক্ষিক আর মায়া বলে মনে হয় না? নাকি আদৌ এসব একটা বড় কৈবল্যবাদী ক্যাবলামির ছোট ছোট মণিরত্ন?
দেখা যাক মহেশ কি ভাবছেন। ইনি শরত্ চাটুয্যের নন, রীতিমতো মানুষ। পেশায় অধ্যাপক।
পর্ব-৩৫: কী যে করি করি ভেবে মরি মরি
হিউম্যান এরর। মনুষ্যকৃত ভ্রান্তি, যা যন্ত্র করে না, মানুষ, মানুষ বলেই করে। এদিকে ব্যাকরণের বাইরে মানুষের যে সামাজিক লক্ষণ তাতে বলা হয় মান আর হুঁশ নিয়েই নাকি মানুষ। তো, মান মানে কচু, আর হুঁশ… কী জানি, পরে দেখা যাবে। ব্যাপারটা হল এই যে, যাদের মান আর হুঁশ আছে, তারা ভুল করে।
পর্ব-৩৪: পুণ্য আষাঢ়ের প্রথম দিবসে
নববর্ষার দিনক্ষণ আসে, নববর্ষা হয়তো বা আসে না তেমন করে। এই দাবদাহ-ই বুঝি সত্য, তার অবসানের কল্পনাও হয়তো দুরাশা, ভুবন-চরাচর জুড়ে মোহন বর্ষণভার নামে না।
পর্ব-৩৩: এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে
“তর্কবাগীশ মশাই নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে তর্ক করবেন বলে দিনক্ষণ ঠিক করে তার বাড়িতে এসে দেখেন মোল্লাসাহেব বেরিয়ে গিয়েছেন। মহা বিরক্ত হয়ে তিনি মোল্লার সদর দরজায় খড়ি দিয়ে লিখে গেলেন মূর্খ।
পর্ব-৩২: কে বলে ঈশ্বর গুপ্ত?
কার্ত্তিকের সামনে ভিড়টা এতক্ষণে পাতলা হয়েছে। ঠোঁটে টেনে রাখা হাসিটা ধরে রাখতে রাখতে ময়ূরবাহন বললেন, “সরো, এদের ইস্কুল অথবা পড়ার ঘরে সারপ্রাইজ ভিজিট করিস? কতবার তোকে বলেছি… এটা একটা যুদ্ধ, শিরদাঁড়াগুলো সোজা করে লং লাস্টিং করতে গেলে একটা স্ট্র্যাটেজি লাগে।
পর্ব-৩১: আমার মতে, তোর মতো কেউ নেই
কন্দর্প বিস্মিত হয়ে বলল, “আমাকে কে চাকুরি দেবে? পিতা দুইবেলা আমাকে ক্যাবলা বলে তাড়না করেন, বলেন, আমার মস্তিষ্কের অন্দরমহল বিশুদ্ধ গোময়ে পরিপূর্ণ। সংখ্যা কী শব্দ, ভূত কি ভবিষ্যৎ সব বিষয়েই নাকি আমি সমদর্শী, সূক্ষ্মদৃষ্টিহীন একটি আস্ত আকাট। অবশ্য মাতা ও সুহৃদের দল আমার বুদ্ধির প্রশংসা করে।”
পর্ব-৩০: বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা
ভরা পেটে শিল্প হয়। খালি পেটেও। দুটোর ধরণ বদলে বদলে যায়। আবার, শুধু খাদ্যাখাদ্যের নিরাপত্তা থাকলেই কর্মের বাসনা কী অকর্মের কী অপকর্মের বাসনা কিংবা সভ্যতা-অসভ্যতা জেগে ওঠে না যে!
পর্ব-২৯: কে আবার বাজায় বাঁশি
রাজা যান যুদ্ধে কিংবা দিগ্বিজয়ে। সঙ্গে চলে মন্ত্রী-অমাত্য-চতুরঙ্গ সেনা। প্রতিবেশীকে জব্দ করেন। পাশের পাড়ায় শৌর্য স্থাপন করেন। দূরের পাড়ায় তাঁর নীতি বদলায়। মাঠে নামেন। অসি ঘোরান। বেশ যুদ্ধ হয় খানিক। তারপর শত্রু হেরে যায়।
পর্ব-২৮: তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথেই যে জন ভাসায়
টেনিদার রক আর হযবরল-র জগৎ ছাড়িয়ে আমরা অনেকদূর এসে পড়েছি। হাজার বছর ধরে অতীতের পথে হাঁটতে হাঁটতে যদি উদয়ন-বাসবদত্তার রাজপুরীতে প্রবেশ করা যায়? ওহো! রাজপুরী থাকলেও রাজা সেখানে কোথায়? রাজা রাজ্যচ্যুত।
পর্ব-২৭: যে মানুষ চেয়ে চেয়ে / ফিরিতেছি পাগল হয়ে
কালিদাস বলবেন, পার্বতী নিজের অনুপম রূপকে নিন্দা করবেন, কেন না, “প্রিয়েণ সৌভাগ্যফলা হি চারুতা”… বঙ্কিমের ভাষায়, ফুল নিজের জন্য ফোটে না। অতয়েব, মহেশ্বর যদি রূপাকুল না হন, তবে তাঁকে অনুকূল করার উপায়?
পর্ব-২৬: স্বপ্নে আমার মনে হল
শোনা গিয়েছিল, একবার এক বিয়ের কনে এক কাণ্ড ঘটিয়েছিল। সে অন্য কালের কথা। রবীন্দ্রনাথের সুভাষিণী কথা বলতে পারতো না। কিন্তু এ বলতো, তীব্র ভয়ানক স্বরে।
পর্ব-২৫: মন বলে আমি মনের কথা জানি না!
শাস্ত্র বলেছে হেতুবিদ্যা বা যুক্তি সকল বিদ্যার মূল, যুক্তিবোধের দৃঢ় ভিত্তি সকল কর্মের উপায়, সকল ধর্মের আশ্রয়।
পর্ব-২৪: মুশকিল ঘরে, মুশকিল বাইরে, মুশকিল বিশ্বময়!
ক্যাবলাদের কাজ হল সর্বত্র ‘মুশকিল’ ঘটানো, নিজেকে আর সকলকে বিপন্ন করেই বুঝি তাদের পুণ্য। এমনটা বাস্তবে ঘটুক বা নাই ঘটুক, যারা খুব খুব বুদ্ধিমান তারা ক্যাবলাদের এমনটাই ভাবে। এমনটা ভাবলেই তাদের বুদ্ধি আরও পোক্ত হয়।
পর্ব-২৩: অকালে খেয়েছ কচু, মনে রেখো কিছু কিছু
গাধা মানেই বোকা। চালাক মানেই কাক। আর চতুর হল শেয়াল। এছাড়াও অনেকে আছে। তাদের কেউ খড়কুটো। কেউ জাহাজ। সঙ্ঘশক্তি আছে। দশের মিল আছে। একের বুদ্ধিবল-ও আছে।