একদা রাজা চিত্ররথকে পত্নীর সঙ্গে জলকেলিরত অবস্থায় দেখে মাতা রেণুকা কামার্ত, ভীত, ত্রস্ত অবস্থায় আশ্রমে ফিরে এলেন। মহাতেজা ঋষি জমদগ্নির কাছে স্ত্রীর এই চিত্তবিকার অসহনীয়।
মহাকাব্যের কথকতা
পর্ব-২৪: দুই অবতার মুখোমুখি, কী মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে এই সাক্ষাতে?
রাজা দশরথের চারপুত্রের বিবাহ সুসম্পন্ন হল। এ বার বরবধূগণ-সহ অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে। ঋষি বিশ্বামিত্রের কর্তব্য সম্পন্ন হয়েছে।
পর্ব-২৩: দ্রোণাচার্যের সেরা ছাত্র এবং গুরুর প্রীতি আশীর্বাদ—ব্রহ্মশির অস্ত্র ও তার মাহাত্ম্য
আচার্য দ্রোণের সেরা ছাত্র অর্জুন। ছাত্র অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায়? অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের তত্ত্বাবধানে কুরুপাণ্ডবদের শুরু হল প্রশিক্ষণ।
পর্ব-২২: রামচন্দ্র ও সীতার পরিণয় এবং কিছু আনুষঙ্গিক কথা
মহামুনি বিশ্বামিত্রের আগমনে ধন্য হলেন বিদেহরাজ জনক। রাজা, মহর্ষির কাছে বিনীতভাবে জানতে চাইলেন তাঁর সঙ্গে সমাগত শৌর্যশালী, দেবতুল্য পরাক্রমী, সুপুরুষ, নবীন, কুমারদ্বয়ের পরিচয়। এঁদের পিতা কে?
পর্ব-২১: শিষ্য যখন গুরু হয়ে ওঠেন, তাঁর পরিবর্তিত মানসিকতা কী আরও উন্নত করে তোলে শিষ্যকে?
আচার্য আপোদ ধৌম্যের তিনজন শিষ্যের একজন বেদ। শিষ্যের প্রতি গুরু ধৌম্যের আদেশানুসারে শিষ্য বেদ সেবাপরায়ণ হয়ে কিছুকাল গুরুগৃহে অবস্থান করলেন।
পর্ব-২০: অহল্যার শাপমুক্তি ও কিছু প্রশ্ন
দেবী অহল্যার শাপমুক্তির নিয়ামক রামচন্দ্র। ‘রাম’—এই নামটির মহিমা অপার, যিনি সকলকে আনন্দ দান করেন, তিনিই রাম। তাই কী তিনিই মুক্তির আবহ এনে দিলেন অহল্যার জীবনে?
পর্ব-১৯: কুরুপাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু আচার্য দ্রোণ এবং তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদ্বয়, কে মহান? গুরু না শিষ্য?
রাজনীতিতে, যুদ্ধে, অস্তিত্বরক্ষার জীবনসংগ্রামে হৃদয়দৌর্বল্যের কোনও স্থান নেই যে। কুরুকুলের মাননীয় আচার্যেরদের মতোই আধুনিক যুগেও এই লজ্জাজনক পরম্পরা অব্যাহত।
পর্ব-১৮: দেবাসুরের সমুদ্রমন্থন, শুভাশুভের দ্বন্দ্ব — জয় কার? একটি অনন্ত জিজ্ঞাসা
অপারকৌতূহলে জিজ্ঞাসু রামচন্দ্র জানতে চাইলেন, কোন রাজবংশীয় রাজা রাজত্ব করছেন ওই বিশাল নগরীতে? আমার যে ভীষণ কৌতূহল, আমি শুনতে চাই তার কথা।
পর্ব-১৭: শিক্ষায় বা জ্ঞানলাভের ক্ষেত্রে নিষ্ঠা, ত্যাগ সেবার চমৎকারিত্ব কোথায়?
মহাভারতের কাহিনি বর্ণনা প্রসঙ্গে কথকঠাকুর সৌতি উগ্রশ্রবা গুরুর প্রতি শিষ্যের আনুগত্য, নিঃশর্ত বিনয় এবং প্রশ্নাতীত সৌজন্যের উদাহরণ হিসেবে তিনজন শিষ্যের বৃত্তান্ত উপস্থাপিত করেছেন।
পর্ব-১৬: জাহ্নবী, ভাগীরথী, ত্রিপথগা নদী গঙ্গা, লোকজীবনে ‘মা’গঙ্গা হয়েছেন, কেন এই নামের বৈচিত্র্য?
সগররাজা সিদ্ধান্ত নিলেন, পুত্রদের সফল প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় যজ্ঞকর্তা তিনি এবং পৌত্র অংশুমান সেখানেই অবস্থান করবেন। অশ্ব অনুসন্ধানে যাত্রা শুরু করলেন সগরপুত্ররা।
পর্ব-১৫: কুরুপাণ্ডবদের পিতামহ প্রাজ্ঞ শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস, সর্বত্যাগীর কেন এই মায়াবন্ধন?
কুরুপাণ্ডবদের আর এক পিতামহ, যিনি জন্মমাত্রই ঋষিত্ব বরণ করেছেন, গৃহের বন্ধনে ধরা দেননি। কিন্তু গৃহকোণের স্নেহের মায়াডোরটুকু ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেননি।
পর্ব-১৪: অনন্তপ্রবাহিনী গঙ্গা, আকাশগঙ্গা, সুরলোক, হিমালয়— কোনটি তাঁর উৎস?
হিমালয় এবং মেরুদুহিতা মেনার দুই কন্যা। জ্যেষ্ঠা গঙ্গা এবং কনিষ্ঠা পার্বতী। দেবতারা তাঁদের কোন অভীষ্ট কার্যসিদ্ধির জন্যে পর্বতশ্রেষ্ঠ হিমালয়ের কাছে ত্রিপথগামিনী জ্যেষ্ঠা কন্যা গঙ্গাকে চাইলেন।
পর্ব-১৩: কুরুপাণ্ডবদের দুই পিতামহের একজন — ভীষ্ম এবং তাঁর মা গঙ্গা
মহাভারতের পিতামহ দুজন। একজন — দ্রষ্টা, স্রষ্টা, ধর্মোপদেষ্টা, কবি, ক্রান্তদর্শী, তিনি হলেন মহর্ষি বেদব্যাস। আর একজন প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, যিনি গৃহী হয়েও ষড়রিপুর অন্যতম কামকে জয় করে সংযতেন্দ্রিয় তিনি পিতামহ ভীষ্ম।
পর্ব-১২: সিদ্ধাশ্রমে সাফল্য, বিশ্বামিত্রের বংশবর্ণনা এবং নদীকথায় কীসের ইঙ্গিত?
অরণ্য, পাহাড়, ভূমি, নদীর মতোই সত্য যে চিরন্তন।তাই নদীর মতোই যুগে যুগে তার পথপরিক্রমা। বিশ্বামিত্রের। সিদ্ধাশ্রমে গমনের কারণ হল যজ্ঞানুষ্ঠানে সিদ্ধিলাভ। সেই কাজে তিনি সফল।
পর্ব-১১: কুরুপাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু কৃপাচার্য, দ্রোণাচার্য এবং কয়েকটি প্রশ্ন
রুগৃহের অস্ত্রাচার্য্য মহান ঋষি, ভরদ্বাজপুত্র দ্রোণাচার্য্য শৈশবে ঋষি ভরদ্বাজের স্নেহচ্ছায়ায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব বোধ করেননি। পিতার অভিভাবকত্বে তাঁর যথাযথ শিক্ষাও সম্পন্ন হয়েছিল।