রাজা সৈন্যবল দ্বারা দমননীতি অর্থাৎ দণ্ডনীতির প্রয়োগে শত্রুর মোকাবিলায় তৎপর থাকবেন। তিনি হস্তী,অশ্ব,রথ ও পদাতিক সৈন্যবলরূপ বাহিনীকে প্রচ্ছন্ন রাখবেন। নিজের বিবর অর্থাৎ ত্রুটি গোপন রাখবেন।

রাজা সৈন্যবল দ্বারা দমননীতি অর্থাৎ দণ্ডনীতির প্রয়োগে শত্রুর মোকাবিলায় তৎপর থাকবেন। তিনি হস্তী,অশ্ব,রথ ও পদাতিক সৈন্যবলরূপ বাহিনীকে প্রচ্ছন্ন রাখবেন। নিজের বিবর অর্থাৎ ত্রুটি গোপন রাখবেন।
পুত্রবৎসল, পত্নীর অনুগত,প্রজাসহায়, পরাক্রমী, বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর, রাজা দশরথ আজ দ্বন্দ্বদীর্ণ। তিনি এক নারীর কৃপাপ্রার্থী হয়েছেন,যে নারী তার অতি প্রিয়পত্নী। তাঁর দুটি পা ধরে কাতর প্রার্থনা তাঁর, অন্যায় আবদারটি যেন রানি ফিরিয়ে নেন।
ক্ষত্রিয়রাজাদের বংশবৃদ্ধির ইতিহাসে কুরুবংশবৃদ্ধির কাহিনিটি এক অনবদ্য সংযোজন। কুরুবংশরক্ষায় মহাভারতস্রষ্টা মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাসের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
রাজা, রানির ক্রোধোদ্রেকের কারণ এমন কোন কাজতো করেননি।কেন রানির এই অকারণ ক্রোধ? কেউ কী অপবাদ দিয়েছেন তাঁকে? তাহলে কেউ নিশ্চয়ই তাঁর অপমানের কারণ।
ভরতবংশীয় কুরুপাণ্ডবদের অস্ত্রশিক্ষা সম্পন্ন হল। বৎসরকাল পরে, ধৃতরাষ্ট্র, যুধিষ্ঠিরকে, যুবরাজপদে অভিষিক্ত করলেন। ধৃতরাষ্ট্র ছিলেন জন্মান্ধ। তাঁর মায়ের কারণে এই দৃষ্টিহীনতা।
রামের রাজ্যাভিষেকের আনন্দমুখর অযোধ্যা নগরী। নানা দিক থেকে জনসমাগমে পরিপূর্ণ নগরীর রাজপথ। সুসজ্জিতা অযোধ্যা নগরী আনন্দোচ্ছ্বাসে মুখর।
কুরুপাণ্ডবকুমাররা এখন অস্ত্রবিদ্যায় সুশিক্ষিত। অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন যথোপযুক্ত নিষ্ঠায়। এবার গুরুদক্ষিণাদানের সময় আসন্ন। দক্ষিণাপ্রাপ্তির বিষয়ে কী কোন পরিকল্পনা কার্যকর করবার ইচ্ছা ছিল গুরুর মনে?
পুরবাসীরা সানন্দে দশরথপুত্র রামচন্দ্রের যৌবরাজ্যে অভিষেকের প্রস্তাবে অকুন্ঠিতচিত্তে সম্মতি জানালেন। অযোধ্যারাজ দশরথ, তাঁর মনোগত অভিপ্রায়ের সমর্থনে, প্রজারা সহমত জেনে, মন্ত্রীদের পরামর্শক্রমে, সিদ্ধান্তটি বাস্তবে রূপায়ণে মনোযোগী হলেন।
আচার্য দ্রোণের প্রশিক্ষণে কুরুপাণ্ডবরা অস্ত্রবিদ্যায় কুশলী হয়ে উঠলেন। আচার্যের শিক্ষা সার্থক কিনা, এবার পরীক্ষা আবশ্যক। মহারাজা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে আবেদন দ্রোণাচার্যের।
রামচন্দ্র একাধারে রাজগণের দুর্লভ গুণাবলীর আধার আবার লৌকিক প্রসিদ্ধ গুণেও অতুলনীয়। পিতা রাজা দশরথ মন্ত্রীগণের কাছে রামচন্দ্রকে যৌবরাজ্যে অধিষ্ঠিত করবার অভিলাষ ব্যক্ত করলেন।
ভৃগুঋষির অনুপস্থিতিতে তাঁর পত্নী পুলোমা আন্তরিকভাবে অতিথিসৎকারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর আচরণে কোন অসঙ্গতি ছিল না। দুর্বৃত্তের ছলের অভাব হয় না। এর একটি যথার্থ উদাহরণ রাক্ষস পুলোমার আচরণ।
রামচন্দ্রের প্রতি পিতার স্নেহাতিশয্যের কারণ? পিতা দশরথের মতোই বহুগুণের আঁধার তিনি। সর্বদাই শান্ত, সমাহিতচিত্ত, বিনয়ী রামচন্দ্র কখনও কর্কশবাক্যে প্রত্যুত্তরে অভ্যস্ত নন।
একদা রাজা চিত্ররথকে পত্নীর সঙ্গে জলকেলিরত অবস্থায় দেখে মাতা রেণুকা কামার্ত, ভীত, ত্রস্ত অবস্থায় আশ্রমে ফিরে এলেন। মহাতেজা ঋষি জমদগ্নির কাছে স্ত্রীর এই চিত্তবিকার অসহনীয়।
রাজা দশরথের চারপুত্রের বিবাহ সুসম্পন্ন হল। এ বার বরবধূগণ-সহ অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে। ঋষি বিশ্বামিত্রের কর্তব্য সম্পন্ন হয়েছে।
আচার্য দ্রোণের সেরা ছাত্র অর্জুন। ছাত্র অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায়? অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের তত্ত্বাবধানে কুরুপাণ্ডবদের শুরু হল প্রশিক্ষণ।