বারণাবতে কুন্তীসহ পঞ্চপান্ডবকে জতুগৃহে দগ্ধ করতে চেয়েছিলেন কৌরবদের দুষ্ট চক্র। কুরুরাজ ধৃতরাষ্ট্রের পূর্ণ সম্মতি নিয়ে দুর্যোধন, দুঃশাসন, শকুনি, কর্ণ এই চক্রান্তে অংশ নিয়েছিলেন। চক্রান্ত ব্যর্থ হল। বিদুরের সহায়তায় রক্ষা পেলেন পাণ্ডবরা।
মহাকাব্যের কথকতা
পর্ব-৫৪: রাজনীতিতে, যুগান্তরেও স্বার্থচিন্তার আবহমান প্রভাব
রানি কৈকেয়ী মোহবশত নিজের অসৎপথে চালিত করছেন রাজাকে। সুমন্ত্রের বিবেচনায়, প্রচলিত প্রবাদানুসারে ছেলেরা পিতার এবং মেয়েরা মায়ের স্বভাব অনুসরণ করে থাকে। এই প্রবাদ, সত্যে পরিণত হল আজ।
পর্ব-৫৩: ক্রোধ ও ক্ষমা, কোনটির প্রভাব বেশি? হিংসা ও প্রতিহিংসার ফল কী সুদূরপ্রসারী?
দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্র কচ, দানবগুরু শুক্রাচার্যের কাছে সঞ্জীবনী বিদ্যালাভ করে ইন্দ্রভবনে উপস্থিত হলেন। দেবতারা মহানন্দে, কচের কাছে সঞ্জীবনীবিদ্যা শিক্ষা করলেন। তাঁদের লক্ষ্য দানবনিধন। সঞ্জীবনীবিদ্যার প্রয়োগের সময় এ বার। প্রয়োজন দ্বন্দ্বের আবহ।
পর্ব-৫২: রামচন্দ্রের বনবাসগমনের সিদ্ধান্তে নৈতিকতার জয়? নাকি পিতার প্রতি আনুগত্যের জয় ঘোষণা?
রামের চরিত্র পুরুষোচিতগুণগুলিতে সমৃদ্ধ, সেই গুণগুলি হল, অহিংসা, দয়া, শাস্ত্রজ্ঞান, চরিত্রবল, ইন্দ্রিয়সংযম ও প্রশান্তি। প্রজাপুঞ্জের দশা ঠিক যেন গ্রীষ্মে জলের স্বল্পতার দরুণ, পীড়িত জলচর প্রাণীদের তুল্য।
পর্ব-৫১: কচ, দেবযানী ও মহান শুক্রাচার্য— প্রেম, প্রতিহিংসা, উদারতায় অনন্য তিন দৃষ্টান্ত?
আদর্শ শিক্ষাগুরুর দৃষ্টান্ত হলেন দানবগুরু শুক্রাচার্য, যিনি প্রতিপক্ষীয় দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্রকে শিষ্যরূপে গ্রহণ করেছেন নির্দ্বিধায়। বিদ্যাদানের ক্ষেত্রে শত্রু বা মিত্রের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। দেবতাদের কূট চক্রান্তের অন্যতম চাল হলেন কচ।
পর্ব-৫০: লক্ষ্মণ—ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত
সীতা রামচন্দ্রের সঙ্গে বনগমনের সিদ্ধান্তে স্বামীর সম্মতি নিয়ে সহযাত্রিণী হবেন, স্থির হল। বনবাসপ্রসঙ্গে রাম ও সীতার তুমুল বাদানুবাদের সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মণ, যিনি রামের ছায়াসঙ্গী। চোখভরা জল নিয়ে তিনি রামের চরণে লুটিয়ে পড়লেন।
পর্ব-৪৯: মহাকাব্যের রাক্ষস ও মানুষের কাহিনিতে আধুনিক জীবনচিত্রের প্রতিফলন রয়েছে কি?
যুধিষ্ঠির স্থৈর্য, অর্জুন শৌর্য, ভীমসেন যেন গতিময়তার প্রতীক। তিনি যাত্রাপথের চলমান ছন্দ ধরে রেখেছেন। মা কুন্তীসহ চার ভাই পথশ্রমের ক্লান্তিতে নিদ্রিত। অদূরে শালগাছের উপরে হিড়িম্ব নামে এক রাক্ষসের আশ্রয়। কেমন শক্তিমত্তা সেই রাক্ষসের? স্বভাবটিও বা কেমন?
পর্ব-৪৮: রামায়ণে বনবাসযাপন সিদ্ধান্তে অনমনীয়া সীতার কণ্ঠে কী আধুনিকতার সুর?
রাম, স্বামীর আসন্ন বিচ্ছেদবেদনায় সাশ্রুলোচনা স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে, বনবাসজীবনের দুঃখদায়ক কষ্টকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন। সীতাকে বনবাসের সিদ্ধান্ত থেকে নিবৃত্ত করাই তাঁর লক্ষ্য।
পর্ব-৪৭: পলায়নপর পঞ্চপাণ্ডব-ভীমসেনের গতিময়তায় কোন মহাভারতীয় দিগদর্শন?
স্বজন জ্ঞাতিদের প্রাণহরণের চক্রান্ত ব্যর্থ করে গৃহচ্যুত পঞ্চপাণ্ডব, মা কুন্তীকে সঙ্গে নিয়ে, রাতের অন্ধকারে, গোপণে, বারণাবত পরিত্যাগ করে এগিয়ে চললেন। দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীম, চার ভাই ও মাকে বহন করে, বায়ুবেগে, এগিয়ে চললেন। লক্ষ্য হল দূরত্ববৃদ্ধি।
পর্ব-৪৬: যুগান্তরেও সম্মানিতা হন সীতা, তাঁর বনবাস গমনের সিদ্ধান্তে কী তার কোনও প্রভাব আছে?
মাকে প্রণাম জানিয়ে রাম স্ত্রী জানকীর উদ্দেশ্যে গমন করলেন। রামপত্নী সীতা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি রামের যৌবরাজ্যাভিষেকের আনন্দে মাঙ্গলিক দেবার্চনা প্রভৃতি সম্পন্ন করে রামের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন। লজ্জিত রাম, নতমুখে, উৎসবসমারোহে মুখর, সন্তুষ্ট লোকজনে পরিপূর্ণ প্রাসাদের অন্তঃপুরে প্রবেশ করলেন। রামকে দেখে অজানা আশঙ্কায় থরথর করে কেঁপে উঠলেন জানকী? সীতাকে ভয়ে কেঁপে উঠতে দেখে রঘুনন্দন ধার্মিক রাম আর আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তাঁর আকৃতিতে শোকের প্রকাশ, তা আর গোপন রাখা যাবেনা। তাং দৃষ্ট্বা স হি ধর্ম্মাত্মা ন শশাক...
পর্ব-৪৫: প্রতিযোগিতা সর্বদা স্বাস্থ্যকর নয়, কদ্রুবিনতার শত্রুতায় কি তারই ইঙ্গিত?
কশ্যপপত্নী কদ্রু ও বিনতার প্রতিযোগিতার রেষারেষির সূচনা ঠিক কী কারণে হয়েছিল? সত্যযুগে দক্ষ প্রজাপতি দুই স্ত্রী, কদ্রু ও বিনতার প্রতি তুষ্ট হয়ে বর দিতে চাইলেন। কদ্রু স্বামীর কাছে বর চাইলেন।
পর্ব-৪৪: রামচন্দ্রকে ঘিরে যুগান্তরেও কেন উন্মাদনা? একজন কথকঠাকুরানির সাধারণ সমীক্ষা
রাম জানালেন, কোনওদিন তিনি জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে পিতার বা মায়েদের কিছুমাত্র অপছন্দের কোন কাজ করেছেন—এমনটা তাঁর জানা নেই। সত্যবাদী পিতা অসত্য আশ্রয়ের কারণে পরলোকভয়ে ভীত।
পর্ব-৪৩: রাজা জনমেজয়কৃত সর্পমারণযজ্ঞের অবসানে, কোন সদর্থক মহাভারতীয় শিক্ষা লুকিয়ে আছে?
মহাকাব্য মহাভারতের উৎসমুখের কথাসূত্র পাণ্ডবদের বংশধর জনমেজয়কৃত সর্পযজ্ঞ। সেই মারণযজ্ঞের অবসান —কোনও সদর্থকচিন্তা জাগিয়ে তোলে মনে?
পর্ব-৪২: স্নেহ ও ধর্মবোধের টানাপোড়েনে কার জয়?
প্রিয় রামের কাছে দেবী কৌশল্যা তাঁর সমস্ত দুঃখ, ক্ষোভ উজার করে দিলেন। তিনি সেই মুখরা, নিত্য কলহরতা, তিক্তবচনে অভ্যস্তা কৈকেয়ীর মুখোমুখি হবেন কী করে? তিনি রামের সপ্তদশ বছর বয়স অবধি এই দুঃখমুক্তির অপেক্ষায় দিন গুণেছেন এতকাল।
পর্ব-৪১: কুরুপাণ্ডবদের দ্বৈরথ, সেই থেকে ভরতবংশীয়দের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঈর্ষার দহনজ্বালা জ্বলছে, আজও…
পাণ্ডবমাতা কুন্তীর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ছিল ধৃতরাষ্ট্রের উক্তিতে। পরে সেই একই ধৃতরাষ্ট্রের রাতের ঘুম কেড়ে নিল, পঞ্চপাণ্ডবের সাফল্য। সর্বোত্তম বলশালী ভীম এবং সর্বাস্ত্রনিপুণ অর্জুন, দুর্যোধনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠলেন।