পাঞ্চালরাজ্যে দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায় সমবেত রাজাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হলেন ব্রাহ্মণবেশী অর্জুন। ক্ষত্রিয়রাজাদের ঈর্ষাজনিত প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হলেন জিষ্ণু অর্জুন। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীমসেন। দুই ভাই মিলে পরাক্রান্ত ক্ষত্রিয় রাজাদের সঙ্গে যুদ্ধে শৌর্য প্রকাশ করে, রাজাদের পরাজিত করলেন। হতচকিত রাজারা তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলেন।
মহাকাব্যের কথকতা
পর্ব-৮২: রাজা দশরথের মৃত্যু—প্রশাসকের অভাবজনিত অস্তিত্বের সঙ্কট
রাজা দশরথের শব্দবেধী বাণে,বিদ্ধ হয়েছিলেন মুনিপুত্র। রাজার প্রতি, পুত্রশোকে কাতর পিতার অভিশাপ ছিল—রাজা দশরথ, মুনিপুত্রকে হত্যাজনিত কারণে পুত্রশোকহেতু প্রাণত্যাগ করবেন। মুনির এই অভিশাপ ফলপ্রসূ হল। পুত্রশোকে প্রয়াত হলেন রাজা দশরথ।
পর্ব-৮১: তথাকথিত পরিচয়হীন প্রতিভার মূল্যায়ন কী শুধুই সাফল্যের নিরিখে সম্ভব?
দ্রুপদরাজ্যে রাজকন্যা দ্রৌপদীর স্বয়ংবরসভায় কঠোর শর্তসাপেক্ষ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর সম্মান লাভ করলেন তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন। পাঞ্চালরাজকন্যা যাজ্ঞসেনী দ্রৌপদী তাঁকে বরমাল্য অর্পণ করলেন। নববধূকে সঙ্গে নিয়ে প্রস্থানোদ্যত দুই পাণ্ডব ভাই,দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীমসেন ও অর্জুন। পরাজিত রাজারা ভীষণ রাগে পাঞ্চালরাজের সমালোচনায় মুখর হলেন।
পর্ব-৮০: একটি ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং আনুষঙ্গিক আলোচনা
ধর্মাত্মা রাজা দশরথ, স্ত্রী কৌশল্যার কাছে, সত্য স্বীকারোক্তির মাধ্যমে, নিজের অজান্তে কৃত অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছেন। একদা যৌবনে রাজা শব্দবেধী বাণের অপপ্রয়োগ করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল জলপানরত কোন হাতি। ঘট জলপূর্ণ করছিলেন এক ঋষিকুমার।
পর্ব-৭৯: অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও একান্ত অভিনিবেশই সাফল্যের মন্ত্র
দ্রুপদ রাজকন্যা দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায়, রাজপুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন, সমবেত রাজাদের জানিয়ে দিলেন, তাঁর ভগিনীকে জয় করবার শর্তাবলি। বিশেষভাবে নির্মিত ধনুকে গুণ আরোপ করে, শূন্যে অবস্থিত, একটি কৃত্রিম যন্ত্রে স্থিত লক্ষ্যবস্তু বিদ্ধ করতে পারবেন যিনি, তিনিই দ্রৌপদীর বরমাল্য লাভ করবেন।
পর্ব-৭৮: নির্দোষ প্রাণীহত্যা কী সমর্থনযোগ্য?
রামের বনবাসের কারণ রাজা দশরথ। দোষারোপের শেষ নেই রামজননী রানি কৈকেয়ীর। মুহুর্মুহু তিরস্কারে বিদ্ধ রাজা দশরথ অচৈতন্য হয়েও চিন্তার থেকে তাঁর নিস্তার নেই। চিন্তান্বিত রাজা আকুল হয়ে আত্মবিশ্লেষণে মগ্ন হলেন। তাঁর নিজের কী কোন অকাজের ফল ভোগ করছেন রাজা?
পর্ব-৭৭: যাজ্ঞসেনী স্বয়ংবরা দ্রৌপদী কি শুধুই প্রতিহিংসার বাতাবরণ বিনির্মাণ করেন?
রাজকন্যার স্বয়ংবর সভা অনুষ্ঠিত হবে, দ্রুপদরাজ যজ্ঞসেনের কন্যার, যিনি যজ্ঞবেদী থেকে উদ্ভূতা, পদ্মপাতার মতো যাঁর নয়ন, শারীরিক সৌন্দর্যে যিনি অনিন্দিতা এবং দর্শনীয়া, সুকুমারী, উদারমনা, সেই দ্রৌপদী দ্রোণাচার্যের শত্রু ধৃষ্টদ্যুম্নের ভগিনী। তাঁর নীলোৎপলতুল্য অঙ্গের সুগন্ধ এক ক্রোশ দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। এমন কন্যা ও তাঁর বরনির্বাচনের সেই অভাবনীয় মহোৎসব দেখতে চলেছেন ব্রাহ্মণরা।
পর্ব-৭৬: প্রশাসকের প্রাণঘাতী ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিফল ও যুগান্তরেও রামায়ণের অমল মহিমা
রাম অরণ্যবাসে প্রস্থান করেছেন। সারথি সুমন্ত্র, তাঁদের বিদায় জানিয়ে ঘোড়াদের বিপরীতমুখে চালিত করলেন। অবোধ প্রাণীদের চোখেও অশ্রুজল। কোনও মতে বিচ্ছেদবেদনা মনে অবদমিত রেখে শৃঙ্গবেরপুরে নিষাদরাজ গুহের আশ্রয়ে, সুমন্ত্র রামের আবারও আহ্বানের অপেক্ষায়, দীর্ঘ দিন বসবাস করলেন
পর্ব-৭৫: মহাভারতের অন্তর্লোকে কি শুধুই হিংসা ও প্রতিহিংসার ঘৃণা বিদ্বেষ?
ঋষি বশিষ্ঠের ঔরসে ইক্ষ্বাকুবংশের রাজা কল্মাষপাদের বংশরক্ষা হল। মহর্ষি বশিষ্ঠের জ্যেষ্ঠা পুত্রবধূ, শক্ত্রির স্ত্রী অদৃশ্যন্তী শক্ত্রিতুল্য একটি পুত্রের জন্ম দিলেন। শত পুত্র হারিয়েও মহর্ষি বশিষ্ঠের বংশধারা অক্ষুণ্ণ রইল। বংশলোপের আশঙ্কায় মৃতপ্রায় বশিষ্ঠের প্রাণ সঞ্চার করলেন সেই বংশধর। তাই তাঁর নাম হল পরাশর।
পর্ব-৭৪: রাজা দশরথ, রাম, লক্ষ্মণ, সীতা সকলেই কি এক একটি জীবনবোধের প্রতীক?
অরণ্যের যাত্রাপথে, ভরদ্বাজমুনির উপদেশানুসারে সীতা ও লক্ষ্মণ পৌঁছে গেলেন চিত্রকূট পর্বতে। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বসবাসের আদর্শ জায়গাটি ভারি পছন্দ হল রামের। সেখানে বসবাসের উদ্দেশ্যে কুটির নির্মিত হল।
পর্ব-৭৩: দুই মহর্ষির দ্বন্দ্বে কি ‘ইতি ও নেতি’র বিরোধেরই প্রতিফলন?
গন্ধর্বরাজ অঙ্গারপর্ণ, তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের কাছে, মহর্ষি বশিষ্ঠের সঙ্গে রাজা বিশ্বামিত্রের দ্বৈরথ বর্ণনা করলেন। দুই মহর্ষির বিরোধের অবসান হল না। তপঃশক্তিতে ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠের সমকক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে, রাজা বিশ্বামিত্র রাজ্যসুখ ত্যাগ করে কঠোর তপশ্চর্যার মাধ্যমে ব্রাহ্মণত্ব অর্জন করেছিলেন। ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠের সঙ্গে তাঁর সংঘাত শেষ হল না।
পর্ব-৭২: বনবাসজীবনে প্রকৃতির প্রভাব কি রামের দুঃখকে মুছে দিয়েছিল?
রাম, অরণ্যপথে গঙ্গানদী অতিক্রম করে দক্ষিণে গহন অরণ্যে প্রবেশ করলেন। তাঁরা প্রথম নিশি যাপন করলেন একটি বটগাছের তলায়। এর পরে নির্মল সকালে গঙ্গাযমুনার সঙ্গমস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। আসন্ন সন্ধ্যায় প্রয়াগতীর্থের নিকটবর্তী হয়েছেন অনুমান করলেন রাম। কারণ চারিদিকে যেন অগ্নিদেবতার পতাকার মতো ধোঁয়া উঠছে। নিশ্চিতভাবেই মুনিদের উপস্থিতি অনুমান করলেন রাম।
পর্ব-৭১: মহাভারতে বর্ণিত পোষ্যপ্রাণী ও পালকপিতার সম্পর্কের বাঁধন, আজও খুঁজে পাওয়া যায় কী?
ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠ ছিলেন ব্রহ্মার মানসপুত্র। তিনি ব্রহ্মর্ষি।তাঁর স্ত্রী অরুন্ধতী।সমসাময়িক রাজর্ষি বিশ্বামিত্রের সঙ্গে তাঁর শত্রুতার প্রাচীন কাহিনি সকলেই অবগত আছেন। মহাভারতে, অর্জুনের অনুরোধে,গন্ধর্বরাজ অঙ্গারপর্ণ কথিত এই জয়পরাজয়ের আখ্যানটিতে বশিষ্ঠের ঔদার্য এক নতুন মাত্রা যোগ করল।
পর্ব-৭০: পিতার সমালোচক রাম শুধুই মানুষ, তবু তিনি কেন পুরুষোত্তম?
বনবাসের পথে, সারথি সুমন্ত্রকে আশ্বস্ত করে রামের এবার বন্ধুবর নিষাদরাজ গুহর কাছে বিদায় নেবার পালা। গুহকে জানালেন, স্বজনের সান্নিধ্যে বনবাস যথাযথ নয়। বিধিমতে আশ্রমবাস এখন তাঁর কর্তব্য। তাই পিতা, সীতা ও লক্ষ্মণের কল্যাণে নিয়মানুসারে তপস্বিজনের ভূষণ জটাধারী হয়ে অরণ্যে গমন করবেন। তাই বটগাছের ক্ষীর নিয়ে এস।
পর্ব-৬৯: মহাভারতে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য আখ্যান-উপাখ্যান, তেমনই একটি সম্বরণ ও তপতীর কাহিনি
প্রাচীনকালে গঙ্গা হিমালয় হতে বহির্গত হয়ে সাতটি ধারায় সাগরে মিশেছে। সাতটি প্রবাহের নাম —গঙ্গা, যমুনা, প্লক্ষজাতা, সরস্বতী, সরযূ, গোমতী ও গণ্ডকী। এই সাতটি নদীর জল পান করলে পাপমুক্তি হয়। এই পবিত্র গঙ্গা আকাশকে তটরূপে গ্রহণ করায় আকাশগামিনী হয়।