আপাতত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসাবে পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট অন্তর্বর্তিকালীন এই নির্দেশ দিয়েছে।

আপাতত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসাবে পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট অন্তর্বর্তিকালীন এই নির্দেশ দিয়েছে।
পর্ষদের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন। হাইকোর্টের কোন নির্দেশের ভিত্তিতে ১০২ জন শিক্ষকদের চাকরি থেকে সরানো হল বিজ্ঞপ্তিতে তার উল্লেখ করা হয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ববিতা স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। সোমবার ববিতার বিরুদ্ধে মামলার শুনানির কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
মেধাতালিকায় নাম থাকলে, ছাত্রীদের জীবনের কোনও একটি ইচ্ছে পূরণ করবেন শিক্ষক। এমন ঘোষণায় কাজও হল। ফল প্রকাশের পরে দেখা গেল মেধাতালিকায় স্কুলের কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে।
পর্ষদের নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, পর্ষদের পর্যবেক্ষকরা তা খতিয়ে দেখতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।
অনামিকা নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন। তিনি তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ববিতার চাকরি বাতিল করে তাঁকে চাকরিটি দেওয়া হোক।
নির্দেশিকায় পর্ষদ অনুমোদিত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন দ্রুত বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সঙ্গে সব পরীক্ষার্থী যাতে টেস্ট পেপারটি পান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এও জানিয়েছে, কখন, কোথায় ইন্টারভিউয়ের জন্য আসতে হবে, তা প্রত্যেক প্রার্থীকে মেল করে জানানো হবে। ‘কল লেটার’ ডাউনলোড করা যাবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পোর্টাল থেকেও।
মোট পাঁচটি টেবিলে চলছে ইন্টারভিউ পর্ব। প্রতি টেবিলে রয়েছেন তিনজন করে বিশেষজ্ঞ। সবকটি টেবিলের মাথায় বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুলশিক্ষকদের জন্য কড় নির্দেশিকা জারি করেছে। সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের সেই নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের যুগ্ম উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে একটি অন্য মাত্রা দিয়েছিল। প্রবীণ প্রাক্তনীরা স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়ছিলেন তাঁদের সময়ের স্মৃতিচারণে।
ইন্টারভিউয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থী ‘অযোগ্য’ হলে তাঁকে ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়া হবে না।
নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সিসিটিভি, নিরাপত্তা ব্যবস্থাই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় কলেজ সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি ইউজিসিরও পর্যবেক্ষক থাকবেন।
স্কুলের নিরাপত্তা কমিটিতে থাকবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কিংবা চেয়ারম্যান, একজন মহিলা শিক্ষক, যদি মহিলা শিক্ষক না থাকেন তাহলে পুরুষ শিক্ষক সেই দায়িত্বে সামলাবেন।
টেটের প্রশ্নফাঁস রুখতে ৭ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।