সেই রাতটা আজও মনে আছে। সালটা ছিল ২০০৩। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ। রাত প্রায় দশটা। চেম্বারে রোগী দেখা শেষ গোছগাছ করছি। এমন সময় লাঠি টুকটুক করতে করতে আমার ৮৫ বছর বয়স্ক বাবার চেম্বারে প্রবেশ।
ডাক্তারের ডায়েরি
পর্ব-২৯: সাফল্যে মাথা ঘোরেনি পরান বাড়ুজ্যের
‘টনিক’-এর সাফল্যের পর পরানদাকে বলেছিলাম, ‘তোমার জীবনে আর কি চাই! তুমি ‘সিনেমাওয়ালা’র মতো অন্য ঘরানার ছবি করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছ। আবার বাণিজ্যিক ছবি ‘টনিক’ করে তো সাফল্যের আইফেল টাওয়ার ছুঁয়ে ফেললে।
পর্ব-২৮: পরান বাড়ুজ্যে মানেই এনার্জি টনিক
পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের সবার প্রিয় পরানদা। আমাদের সবার এনার্জি টনিক। জীবনের ৮৩টি বসন্ত পার করেও প্রাণচাঞ্চল্যে এখনও টগবগে তরুণ।
পর্ব-২৭: বুম্বাদা, আমি, একজন পেশেন্ট এবং সুচিত্রা সেন
ছুটি পাওয়ার আশা নেই দেখে, একবার ভাবলাম কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যাই। পেশাগত দায়বদ্ধতা তো আগে। না হয় এই ইন্ডাস্ট্রির দরজা আমার জন্য চিরতরে বন্ধই হয়ে যাবে! আগে তো পেশেন্টকে বাঁচাই, নিজেও বাঁচি।
পর্ব-২৬: সিনেমায় ডাক্তারি
সিনেমার ডাক্তারবাবুরা মনে হয় অন্য গ্রহের জীব। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তারা আবির্ভূত হন ঠিকই, কিন্তু বড় অস্বাভাবিক আচরণ করেন পর্দা জুড়ে। সিনেমা বাস্তবের ট্রু কপি হতে হবে, এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি।
পর্ব-২৫: বাঘা আমায় এঁকে দিয়েছিলেন ছবি, গুপি ঠেলেছিলেন আমার গাড়ি
বাঘা দা মানে রবিদা অর্থাৎ রবি ঘোষের সঙ্গে আমার আগে থেকেই পরিচয় ছিল, যখন আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটক দেখতে যেতাম।
পর্ব-২৪: অবশেষে সুযোগ হল তরুণ মজুমদারের সঙ্গে কাজ করার
হেমন্ত এবং তরুণ জুটি একসঙ্গে কাজ করেছেন টানা ২৫ বছর ২৫টি ছবিতে। তরুণ মজুমদারের ভাষায় বলি: ‘জানি না পৃথিবীর ইতিহাসে পরিচালক-সুরকারের এমন লম্বা যুগলবন্দির আর কোনও নজির আছে কিনা।
পর্ব-২৩: তরুণ মজুমদার মানেই ষোলো আনা বাঙালিয়ানা
মাটির গন্ধ মাখা মিষ্টি প্রেমের একের পর এক ছবি করেছেন আমাদের সবার প্রিয় পরিচালক তরুণ মজুমদার। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তনুবাবু বলেই যাকে জানেন।
পর্ব-২২: আমার কাহিনী ও চিত্রনাট্যে একটি টেলিফিল্ম করেছিলেন সৌমিত্র দা
নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় আমার। এক জীবনের মধ্যে তিন তিনটি জীবন পেয়েছি আমি। চেটেপুটে তাকে উপভোগ করেছি, এখনও করছি।
পর্ব-২১: দূরদর্শনে কাজ করলাম সৌমিত্র-সুপ্রিয়াকে নিয়ে
২০১৬ সালের আগস্ট মাসের কোনও একদিন প্রচন্ড ভিড় সেদিন নন্দন চত্বর জুড়ে। দে'জ পাবলিশিং-এর পক্ষ থেকে আমি সপরিবারে আমন্ত্রিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে। সৌমিত্রদা ছাড়াও অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন সবার প্রিয় অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। এছাড়া কবি শঙ্খ ঘোষ, পবিত্র সরকার এবং শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে আরও উজ্জ্বল করেছিল। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দাদাকে নিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শঙ্খ ঘোষ নন্দন ২-এ। ভিড় ঠেলে কোনওমতে সেই ঘরে গিয়ে দাঁড়ালাম। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান শেষে...
পর্ব-২০: প্রায় চার দশকের সম্পর্ক ছিল সৌমিত্রদার সঙ্গে
চার দশকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বহুমুখী প্রতিভার সঙ্গে কাটানো অসংখ্য স্বর্ণালি মুহূর্তগুলোর কথা সবার সঙ্গে একটু ভাগ করে নিতে চাই, এই লেখার মাধ্যমে। দাদার প্রতি এটাই আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।
পর্ব-১৯: মাধবীদি শুধু ভালো অভিনেত্রী নন, একজন ভালো মানুষও
মাধবীদির চালচলন এবং কথাবার্তায় ভীষণ ঘরোয়া একটা ব্যাপার আছে। খুব সহজেই অপরকে আপন করে নিতে পারেন। প্রথম দিনের পরিচয়েই মনে হল, উনি যেন আমার কতদিনের চেনা।
পর্ব-১৮: বিশ্বাস করুন, আমি কানন দেবীর ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম
আমার কাছেই ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হয়। আমি কিনা, নিয়েছিলাম কানন দেবীর ইন্টারভিউ, তাঁর বাড়িতে গিয়ে, তাঁর পদতলে বসে! এমনকী একসঙ্গে ছবিও তুলেছিলাম।
পর্ব-১৭: বাচিক দম্পতি: পার্থ-গৌরী, নীলাদ্রিশেখর-শুভ্রা, জগন্নাথ-ঊর্মিমালা এবং আমি
বাচিক শব্দটি বহু পুরনো। কিন্তু আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক শিল্প মাধ্যমে এই বাচিক শব্দটির ব্যবহার খুব বেশিদিনের নয়। এই যে এখন অনেককে বলা হচ্ছে বাচিক শিল্পী, স্বামী-স্ত্রীকে বলা হচ্ছে বাচিক দম্পতি, এটা কিন্তু তিন দশক আগে ছিল না।
পর্ব-১৬: দুলেন্দ্র ভৌমিক এবং সত্যজিৎ, মৃণাল ও তপন সিংহ
সিনেমায় একজন ডাক্তারের আচার-আচরণ, ডাক্তারি ব্যাপার-স্যাপার, সবটাই ভীষণ অবাস্তব এবং হাস্যকর লাগে। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। কিছু বড় পরিচালকের ছবিতে মৃত্যু দৃশ্য অসাধারণ এক ব্যঞ্জনা তৈরি করে। সিনেমার ডাক্তারকে রক্তমাংসে গড়া বাস্তবের ডাক্তার বলেই মনে হয়।