সুধাংশু শেখর দে। আইকনিক পাবলিশার অফ বেঙ্গল। দে’জ পাবলিশিং-এর কর্ণধার সুধাংশুবাবুর সাফল্যের মুকুটে আরেকটি নতুন পালক সংযোজিত হল সম্প্রতি।
![পর্ব-৪৫: একটি বটবৃক্ষ এবং দে’জ পাবলিশিং-এর নয়া ব্রিগেড](https://samayupdates.in/wp-content/uploads/2022/11/samayupdates_4-3.jpg)
সুধাংশু শেখর দে। আইকনিক পাবলিশার অফ বেঙ্গল। দে’জ পাবলিশিং-এর কর্ণধার সুধাংশুবাবুর সাফল্যের মুকুটে আরেকটি নতুন পালক সংযোজিত হল সম্প্রতি।
আমার সৌভাগ্য যে রঞ্জিত মল্লিক এবং দীপঙ্কর দে-র মতো দু’জন প্রাজ্ঞ অভিনেতার সঙ্গেই আমি সিনেমাতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, ব্যক্তিগত স্নেহ সান্নিধ্যও পেয়েছি। সম্পর্ক আজও রয়ে গিয়েছে এঁদের সঙ্গে।
অমলদার মৃত্যুর পর একটা কথা আমার বারবার মনে হয়েছে, এই মানুষটি তো আমাকে ভালোবেসে এত কিছু করেছেন আমার জন্য, কিন্তু আমি কি করেছি তার জন্য!
অবিচল মৃণালবাবু বললেন, আমার দেখা সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম সেরা ছবি ‘অপরাজিত’। যে ছবির প্রতিটি দৃশ্যই আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়, শুধু একটি দৃশ্য ছাড়া। সেটি হল হরিহরের মৃত্যু দৃশ্য।
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আপনার প্রিয়জনকে কিন্তু মৃত্যুর মুখ থেকেও ফিরিয়ে আনতে পারে, যেটা আমরা বাসুর বেলায় পারিনি। এই আক্ষেপটা কিন্তু আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে বাকি জীবন।
তুমি কি এখন, দেখিছ স্বপন, আমারে আমারে আমারে…। প্রায় ৭০ বছর আগের গান। আমার মায়ের গলায় প্রায় ৫০ বছর আগে এই গান যখন শুনেছিলাম, তখন আমি খুবই ছোট।
সুদীর্ঘ এই জীবনের চলার পথের আঁকে বাঁকে এমন কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায়, তার স্থায়ীত্ব হয়তো খুব অল্প সময়ের জন্য, কিন্তু স্মৃতিতে তা অমলিন থাকে আজীবন।
থিয়েটার কোরাম পরিচালনা করার সময় আমার মনে হতো, নাটকের আমি কিছুই বুঝি না। অন্য নাট্য দলে যোগ্য গুরুর অধীনে কাজ করা উচিত। এমন সময় যোগাযোগ হয় নাট্যকার-পরিচালক পূর্ণেন্দু হালদারের সঙ্গে।
ডাক্তারবাবুদের আবার পুজো! এই সমাজে এমন কিছু পেশা আছে যেখানে জরুরি ভিত্তিক কাজটাই আগে প্রাধান্য পায়, আনন্দ-বিনোদন নয়।
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম, ক্যামেরা গুটিয়ে সবাই লোকেশন ছেড়ে যাবার জন্য প্রস্তুত। আমরা ব্যাক করতেই ইউনিট জুড়ে হাসির রোল উঠলো। পরে জানলাম পুরো প্ল্যানটি ছিল স্বয়ং বেনুদার।
ফলকনামা এক্সপ্রেসে একটি বড় দল গিয়েছিলাম ‘মা মনসা’য় কাজ করার জন্য। সকাল আটটায় যাত্রা শুরু করে পরের দিন দুপুর বারোটায় নামলাম সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে। স্টেশনের বাইরেই রাখা প্রোডাকশনের ভ্যান।
স্বাস্থ্য নিয়ে পদযাত্রায় ডাঃ আরএন চট্টোপাধ্যায়।এসেছেন, তেমনি এসেছেন সান্ধ্যকালীন বিনোদন অনুষ্ঠানের দর্শক হয়েও। স্যার শুধু সাহিত্যানুরাগী ছিলেন না, ছিলেন নাট্যানুরাগীও।
আবিরলাল মুখোপাধ্যায়। তারকা ডাক্তার। ছিলেন কান নাক গলা বিশেষজ্ঞ। অর্থাৎ আমার বিভাগের ডাক্তার। আর জি কর-এ পড়ার সময় ওঁর নাম এত শুনেছি যে, মনে হতো মানুষটিকে একবার চাক্ষুষ দেখা দরকার
বিমল করের লেখা ‘আমি ও আমার তরুণ বন্ধুরা’ বইটিতে এগুলো বিস্তারিতভাবে বলা আছে। সাহিত্যিক হিসেবে এই মানুষটিকে আমি চিনতাম, কারণ ততদিনে আমার ‘অসময়’ ও ‘খড়কুটো’ উপন্যাস পড়া হয়ে গিয়েছে।
অত বড় একজন লেখকের সামনে নিজের বইয়ে সই করব কিনা! ব্যাপারটা লালাদার দৃষ্টি এড়ায়নি। মৃদু ধমক দিয়ে বললেন, ‘ন্যাকামি না করে অটোগ্রাফটা দাও। দিন তোমারও আসবে। শুধু লেখাটা চালিয়ে যাও।’