শংকরবাবু ও স্নান উৎসব কমিটির অন্য পদাধিকারীরা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আসন্ন লাঙ্গলবন্দ উৎসবের ব্যবস্থাদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন৷ বিকেলের দিকে নির্মলেন্দু ও আমি বারদী যাব৷

শংকরবাবু ও স্নান উৎসব কমিটির অন্য পদাধিকারীরা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আসন্ন লাঙ্গলবন্দ উৎসবের ব্যবস্থাদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন৷ বিকেলের দিকে নির্মলেন্দু ও আমি বারদী যাব৷
বগুড়া থেকে বাসে পঞ্চগড় জেলার বোদা বন্দর অভিমুখে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়৷ রংপুর, সৈয়দপুর, ঠাকুরগাঁও হয়ে বোদা বাসস্ট্যান্ড৷ বোদা থানার অন্তর্গত করতোয়া নদীর তীরে বদেশ্বরী বা শালবাড়ি গ্রাম৷
সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রায় ৫৭ কিমি উত্তর-পূর্বে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এক মনোরম জায়গায় এই সতীপীঠ৷ দেবীর নামানুসারে এই অঞ্চলের নাম জয়ন্তী বা জয়ন্তীয়া৷ সুরাইঘাট বাজারে এসে আমাদের গাড়িদুটো দাঁড়িয়ে পড়ল৷
কয়েক একর জায়গা নিয়ে মাস্টারদার পৈতৃক বাড়ি৷ তাঁদের জমিদার পরিবার৷ পরে এই বাড়িতে সূর্য সেনের এক কাকা মোহিত সেন থাকতেন৷
চট্টগ্রাম এক ঐতিহাসিক শহর৷ পরাধীন ভারতে এই জেলা থেকে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা গর্জে উঠেছিলেন৷ বিপ্লবীদের অসীম সাহসিকতা ব্রিটিশ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দেয়৷
আগে যেখানে সীতাকুণ্ড ছিল তা এখন প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে৷ এখানেই রাম-সীতার মন্দির৷ পর্বতের এক সু-উচ্চ স্থান থেকে জলধারা নেমে আসে৷
কৈবল্যধাম আশ্রম পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন হইতে মাত্র ১১/৪ মাইল দূরে অবস্থিত এবং রেল রাস্তা আশ্রমের জমির সংলগ্ণ পশ্চিম দিক দিয়া উত্তর দক্ষিণে চলিয়া গিয়াছে৷
চাঁদপুরের পর বড় স্টেশন ফেনি জংশন৷ ভালোই গতি ট্রেনের৷ হকার, ভিখারি সবই আছে৷ ফেনির পর সীতাকুণ্ড, কৈবল্যধাম, পাহাড়তলি প্রভৃতি স্টেশন পেরিয়ে বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছলাম৷
বড় কালীমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা ১২৮৫-তে৷ পুনর্র্নির্মাণ ১৪০০ বাংলা৷ পয়লা বৈশাখে চাঁদপুর বড় রেল স্টেশনে তিনদিন ধরে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান হয়৷
সকাল ১০টা৷ রাতে জোর এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় রোদের তাপ তেমন মালুম হচ্ছে না৷ বিকাশ সূত্রধর আমার সঙ্গী৷ ওর বাড়ি চাঁদপুর থেকে ১০ কিমি উত্তর-পূর্বে রাজারগাঁও নামে এক জায়গায়৷
বাংলাদেশ সরকার স্থলপথের পাশাপাশি জলপথকেও সুন্দরভাবে ব্যবহার করেছে৷ বর্ষার সময়টা ছাড়া বছরের অন্য সময়ে নাইট সার্ভিস স্টিমারের টিকিটের চাহিদা প্রচণ্ড৷
অনিমেষ সু-পরামর্শই দিল৷ আমরা রামকৃষ্ণ মিশনে ঢোকার আগে মুকুন্দ দাসের কালীমন্দির দেখে নেব৷ মন্দিরের মূল গেটে চারণকবি রচিত দুটো দেশাত্মবোধক গানের একাংশ৷
সকাল সকালই বেরলাম ৫১ পীঠের অন্যতম উগ্রতারা মন্দিরের উদ্দেশে৷ বরিশাল শহর থেকে বাসে ১৩ কিমি উত্তরে এই মন্দির৷ আমার সঙ্গে অনিমেষ৷ যেতে যেতে আলাপ হল, আবদুল রজ্জাকের সঙ্গে৷ বাংলাদেশের ল্যান্ড রেভিনিউ বিভাগে চাকরি করেন৷ ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য একসময় তাঁকে কিছুদিন কলকাতার ঠাকুরপুকুরে থাকতে হয়েছিল৷ আমি সাতক্ষীরায় গিয়েছি শুনে বললেন, ‘ওইখানে তো জামাত-ই-ইসলাম-এর বিরাট প্রতাপ! সোনার বাংলা সত্যই সোনার বাংলা হইতে পারত৷ কিন্তু এইরকম কিছু সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের লাইগ্যাই আমাগো দ্যাশ ছারখার হইয়া যাইতাছে৷’ আবার গতকাল রাতেই বরিশাল...
চারণকবি মুকুন্দ দাস প্রায় ১০৬ বছর আগে ১৯১৬ সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ এরপর দু-বার মন্দিরটির সংস্কার করা হয় যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ২০০৯ সালে৷
আচার্যদেবকে একবার এক ছাত্র প্রশ্ন করিয়াছিল—রাত্রে অনেক সময় নানারকম ভয়ের স্বপ্ণ এবং অন্যান্য দুঃস্বপ্ণ দেখি৷ এইগুলি কিভাবে দূর হয়?