শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


“বাবা-মাকে কাছে আনতে তাকে এতদূর চলে যেতে হল কেন?”— উপন্যাসের শেষ থেকে শুরু করি। কেন? এই কেন’র উত্তর খোঁজা হয়েছে কাহিনিতে। কিন্তু সত্যি কি উত্তর জানা আছে কারও! থাকলে তো দূরে যেতেই হয় না।
নিজের কর্মজগতে সফল একজন মানুষ দেবাঞ্জন। অনেক সাধনা, একাগ্রতা দিয়ে সেই সাফল্যকে সে অর্জন করেছে। কিন্তু ব্যক্তিজীবনের সুখ বিঘ্নিত হয়েছে তার জন্য। স্ত্রী মল্লিকার বুকে পাহাড়প্রমাণ অভিমান। দেবাঞ্জন পারেনি কাঙ্খিত সাহচর্য দিতে তার স্ত্রীকে। আর দাম্পত্যের এই দূরত্বে বলি হয়েছে তাদের মেয়ে পূর্বা। বাবা-মা দু’জনেই তার বড় প্রিয়, খুব কাছের। ছোট্ট মেয়েটা তাই দু’জনের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেল। কিন্তু সত্যিই কি গেল? দেবাঞ্জন-মল্লিকার জীবনে সে যে ফিরে এলো আরও বড় পরিসরে।
আরও পড়ুন:

দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং..., পর্ব-৫০

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৫: রবীন্দ্রনাথ নিজের ডাক্তারি নিজেও করেছেন

মানবিক সম্পর্কের এক বিচিত্র গতিপথকে অপূর্ব দক্ষতায় রূপায়িত করেছেন কাহিনিকার এই ‘পূর্বা আসছে’ উপন্যাসে। আজকের সমাজের ইঁদুর দৌড়ে বা তথাকথিত অন্তঃসারশূন্য আভিজাত্যের মোহে মানুষ হারিয়ে ফেলেছে তার আবেগ, তার মূল্যবোধ সবকিছু। আর পরিণামে এক নিষ্ঠুর বাস্তব দেবাঞ্জন-মল্লিকার জীবনে চরম অভিঘাত আনে। হয়তো ফিরে পায় তারা নিজেদের, কিন্তু তার জন্য পেতে হয় নিদারুণ শাস্তি।

ছবির সম্পাদনার মূহুর্তে সত্যজিৎ রায় সন্দীপ রায় ও চিত্রসম্পাদক দুলাল দত্ত। ছবি প্রতীকী: সংগৃহীত।

জিৎ সত্রাগ্নি টানটান এক গল্পের বুনোটে তার উপন্যাসটিকে বেঁধেছেন। তার সঙ্গে উপরি পাওনা হয়েছে তথ্যসমৃদ্ধ অজানা এক নতুন দিক। ছবির জগতে যেসব কাজ চলে তার যে অধ্যাবসায়—তার অনেক কিছু জানা হয়ে যায় আমাদের। প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজের নিজের উপলব্ধি নিয়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে যেটি অভিনব তা হল উপন্যাসের নামকরণ। “পূর্বা আসছে!” হ্যাঁ, পূর্বা এল এক বিরাট অপ্রত্যাশিত চমক নিয়ে, যার জন্য উপন্যাসটি শেষ পর্যন্ত পড়ার আগ্রহ থেকেই যায়।

একঝলকে ‘পূর্বা আসছে’

“দেবাঞ্জন এডিটর … কম কথা বলে, হাসে না। ফলে সে কোনওভাবেই জমাটি নয়। এটা বলা হয় যে, শান্ত চুপচাপ ইনট্রোভার্ট মানুষ ভালো এডিটর হয়। দেবাঞ্জন প্রায়ই বলে, যদি ঠিকঠাক এডিটিং হয় তাহলে মানুষ ভুলে যাবে এটা কোন ছবি দেখছে… উঁচুমানের এডিটিং দেখলে মনে হবে, ছবিতে কোনও কিছু ডিরেকশন দেওয়াই হয়নি। দেবাঞ্জন রোজ ঘড়ি ধরে দুপুর ১টায় এডিটিং স্টুডিও ছেড়ে যায়। যারা ওর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করে…তারা কখনও প্রশ্ন করে না…”

সার্থক ফিল্ম এডিটর হলেও নিজের জীবনটা পিকচার পারফেক্ট করে গড়ে তুলতে পারেনি দেবাঞ্জন। অর্থ, সম্মান, খ্যাতি, যশ সব থাকা সত্ত্বেও সুখ-শান্তি কেন কীভাবে কোথায় হারিয়ে গেল? রোজ কোথায় যায়সে? কার কাছে? কেন যায় দেবাঞ্জন?… সেই নিয়েই জিৎ সত্রাগ্নি’র নতুন উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’। টানটান নাটকীয়তায় ভরা।

“তালা ভাঙার শব্দটা বাড়বে, ফুল ফেড ইন! ডায়লগ চ্যানেল ব্ল্যাঙ্ক থাকবে। কেকের দোকানের টুকরো শটটা বার কর বিদ্যুৎ! এখানে শুধু ভিস্যুয়াল যাবে। হ্যাঁ, আর— এখানে আবার কোন মিউজিক না ফেলে দেয়, খেয়াল রাখবি দেবা। দেবাঞ্জন চোখ বুজিয়ে আছে, দেওয়ালে পিঠ। দু’হাতে পুর্বার জন্মদিনের কেক ফুল। দেওয়াল ঘষটে নেমে যাচ্ছে দেবাঞ্জন।”

 

কোথায় পাওয়া যাবে

‘পূর্বা আসছে!’ ব্লু-রোজ পাব্লিশার্স কর্তৃক প্রকাশিত। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ও ব্লু রোজ স্টোর্স-এ পাওয়া যাচ্ছে। কেনার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লি করতে পারেন।

https://blueroseone.com/store/product/purba-aaschhe

https://amzn.eu/d/iUtUI3o

https://dl.flipkart.com/s/XMxmJDNNNN

রুমকি চট্টোপাধ্যায় থিয়েটার, টেলিভিশন ও সিনেমার অত্যন্ত গুণী অভিনেত্রী এবং প্রখ্যাতনাট্য পরিচালক ও অভিনেতা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। এঁদেরই সন্তান চলচ্চিত্রের ব্যতিক্রমী অভিনেতা জনপ্রিয় নায়ক সকলের প্রিয় আবির চট্টোপাধ্যায়। সময় আপডেটস-কে অভিনেত্রী জানালেন তাঁর কেমন লাগল – জিৎ-সত্রাগ্নি’র সাম্প্রতিক উপন্যাস “পূর্বা আসছে!”

Skip to content