মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ঠাকুর পরিবার নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই পরিবারটির কথা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে সতত স্মরণ করি। পরিবারের অনেকেরই রয়েছে অবিস্মরণীয় ভূমিকা। সকলে যে আলোকিত হয়েছেন, তা নয়। আজও অন্তরালে রয়েছেন কেউ কেউ। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্রবধূ হেমলতা দেবীকে আমরা ক-জন মনে রেখেছি! রবীন্দ্রনাথও তাঁকে স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তাঁর গল্পগ্রন্থের ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন।
শান্তিনিকেতনের আশ্রম-বিদ্যালয়ের উন্নতি-সাধনের হেমলতার ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হয়। তিনি একটি পত্রিকাও দু’ দশকের বেশি সময়কাল ধরে সম্পাদনা করেছিলেন। সে পত্রিকার নাম ‘বঙ্গলক্ষ্মী’। পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল গুরুসদয় দত্তের অর্থানুকূল্যে। গুরুসদয় তাঁর অকালপ্রয়াতা স্ত্রী সরোজনলিনী দেবীর স্মৃতি-রক্ষার্থে এই পত্রিকাটি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রথম দেড় বছর কুমুদিনী বসু সম্পাদনা করার পর সম্পাদনাকর্মের দায়িত্বভার পুরোপুরি ঠাকুরবাড়ির বধূমাতার উপর অর্পিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৮: রবীন্দ্রনাথ সাঁতার কাটতেন, সাঁতার শেখাতেন

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫১: সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার প্রয়োজন, তবেই বাড়বে মাছ নিয়ে সচেতনতা, উপকৃত হবে আমজনতা

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৫: সারদা দাদার থেকে চিল্পিঘাটি

‘বঙ্গলক্ষ্মী’ পেয়েছিল রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ ও সমর্থন। কবি নিজে তো লিখেছেনই, ঠাকুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই পত্রিকায় লিখেছেন। সমসাময়িক প্রথিতযশা কবি-লেখকরা প্রায় সকলেই ‘বঙ্গলক্ষ্মী’তে লিখেছেন।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৭: পঞ্চমের কথা মতো ড্রাম ছেড়ে অমরুতের পিঠের উপর স্যাম্পল রিদম বাজাতে শুরু করলেন ফ্রাঙ্কো!

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৫: শরীর ফিট রাখতে রোজ ভিটামিন টনিক খাচ্ছেন?

জীর্ণ পত্রিকা-পৃষ্ঠায় সেসব মহামূল্যবান রচনা হারাতে বসেছিল। মণি-মুক্তোর মতো উজ্জ্বল রচনামালা অকাতরে হারিয়ে যাবে, তা তো হতে পারে না। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন গবেষক ও শিশুসাহিত্যিক ‌ড. পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘বঙ্গলক্ষ্মী’ পত্রিকায় প্রকাশিত নির্বাচিত রচনা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হল বর্ষ-শুরুর প্রথম দিনটিতে, কফি হাউসের ওপরে দীপ প্রকাশনের প্রশস্ত বিপণিতে। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই মূল্যবান গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করলেন ঠাকুরবাড়ির বধূ ও বিশিষ্টবাচিক শিল্পী প্রণতি ঠাকুর।
এই অনুষ্ঠানে বহু পাঠক ও উৎসাহী মানুষের সমাগম হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিশুসাহিত্যিক ও গবেষক ড. পার্থজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও দীপ প্রকাশনের কর্ণধার দীপ্তাংশু মণ্ডল। মহামূল্যবান এই গ্রন্থে সংযোজিত হয়েছে সুদীর্ঘ ভূমিকা ও লেখকদের সম্পর্কে যাবতীয় প্রাসঙ্গিক তথ্য। প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছেন সুব্রত মাজী। প্রকাশক দীপ্তাংশু মণ্ডল জানালেন, কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের ত্রিতলে অবস্থিত দীপ প্রকাশনের নতুন বিপণিতে, বঙ্কিম চ্যাটার্জির স্ট্রিটের পুরোনো বিপণিতে বইটি যাবে। এ ছাড়াও পাওয়া যাবে ই-কমার্স প্লাটফর্মে।

Skip to content