
পাহাড়ি সান্যাল বাংলা ছবি স্বর্ণযুগের এক স্মরণীয় শিল্পী। নানান ধরনের চরিত্রে তিনি আমাদের মুগ্ধ করেছেন। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পেল দেবকীকুমার বসু পরিচালিত ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য’ ছবিটি। নাম ভুমিকায় বসন্ত চৌধুরি। বিষ্ণুপ্রিয়া চরিত্রে বিশ্ববন্দিতা সুচিত্রা সেন। কিন্তু এর পাশাপাশি দর্শকদের মাতিয়ে দিলেন নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর চরিত্রের শিল্পী পাহাড়ি সান্যাল। এই ছবি থেকে তাঁর দর্শক অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই গেল। কারণ গানে অভিনয়ে তিনি মাতিয়ে দিয়েছিলেন।
তেমন এক ভক্ত আজকের ভাষায় যাকে বলা যায় ফ্যান, তিনি পাহাড়ি সান্যাল এর জন্য সিল্কের রঙিন নামাবলী উপহার নিয়ে এসেছেন ভারত লক্ষ্মী স্টুডিয়োতে। সেখানে একটি ছবির শ্যুটিং করছিলেন পাহাড়ি সান্যাল। ওই ছবিতে বাংলা ছবির আরও দুই ডাকসাইটে অভিনেতা কাজ করছেন। একজন কমল মিত্র, অপরজন বিকাশ রায়। ভক্ত যখন শুনলেন পাহাড়ি সান্যালের শ্যুটিংয়ে আসতে দেরি আছে তখন মেকআপ রুমে কমল মিত্র ও বিকাশের কাছে ওই রঙিন সিল্কের নামাবলী রেখে চলে এলেন ভক্তটি।
পাহাড়ি সান্যাল আসার আগেই মেকআপ রুমের এক কোণে আসন পেতে কোশাকুশি দিয়ে পূজার জোগাড় করে রাখলেন ওই দুই শিল্পী। কমল মিত্র খরচ করে একটা গরদের ধুতি আনালেন। পাহাড়ি সান্যাল সময় মতো মেকআপ রুমে এসে ঢুকতেই দেখলেন পূজার জোগাড় করা হয়েছে। কমল মিত্র ও বিকাশ রায় জানেন পাহাড়ি সান্যাল পাকা কালাপাহাড়। পূজার ধার ধারেন না। ফলে তিনি প্রথমেই বাংলা ইংরেজি হিন্দিতে ওদের অজস্র কটুবাক্য শোনালেন। ‘পুজোর কাপড়’, ‘পুজোর কাপড়’ বলে কমল মিত্র ধুতিটি নিজের ব্যাগে ভরে নিলেন।
তেমন এক ভক্ত আজকের ভাষায় যাকে বলা যায় ফ্যান, তিনি পাহাড়ি সান্যাল এর জন্য সিল্কের রঙিন নামাবলী উপহার নিয়ে এসেছেন ভারত লক্ষ্মী স্টুডিয়োতে। সেখানে একটি ছবির শ্যুটিং করছিলেন পাহাড়ি সান্যাল। ওই ছবিতে বাংলা ছবির আরও দুই ডাকসাইটে অভিনেতা কাজ করছেন। একজন কমল মিত্র, অপরজন বিকাশ রায়। ভক্ত যখন শুনলেন পাহাড়ি সান্যালের শ্যুটিংয়ে আসতে দেরি আছে তখন মেকআপ রুমে কমল মিত্র ও বিকাশের কাছে ওই রঙিন সিল্কের নামাবলী রেখে চলে এলেন ভক্তটি।
পাহাড়ি সান্যাল আসার আগেই মেকআপ রুমের এক কোণে আসন পেতে কোশাকুশি দিয়ে পূজার জোগাড় করে রাখলেন ওই দুই শিল্পী। কমল মিত্র খরচ করে একটা গরদের ধুতি আনালেন। পাহাড়ি সান্যাল সময় মতো মেকআপ রুমে এসে ঢুকতেই দেখলেন পূজার জোগাড় করা হয়েছে। কমল মিত্র ও বিকাশ রায় জানেন পাহাড়ি সান্যাল পাকা কালাপাহাড়। পূজার ধার ধারেন না। ফলে তিনি প্রথমেই বাংলা ইংরেজি হিন্দিতে ওদের অজস্র কটুবাক্য শোনালেন। ‘পুজোর কাপড়’, ‘পুজোর কাপড়’ বলে কমল মিত্র ধুতিটি নিজের ব্যাগে ভরে নিলেন।
কমল মিত্র ও বিকাশ রায় বললেন; ‘অত হাঁকাহাঁকির আছে কি মশাই। যে দিয়েছিল সে আপনাকে পুজো করার জন্যই দিয়েছিল। পুজো করাটা তো আপনার কুষ্টিতে নেই। নামাবলিটা আমাদের দিন। আমরা কোন পুরুত ঠাকুরকে দিয়ে দেব। ‘পাহাড়ি সান্যাল একথা শুনে গম্ভীরভাবে বললেন, ‘তোদের তো ফ্যান নেই। আমার ফ্যান আছে। আমাকে ফ্যান নামাবলিটা দিয়েছে। আমি ওটা গায়ে দেব।’

কমল মিত্র, বিকাশ রায় ও পাহাড়ি সান্যাল
কমল মিত্র ও বিকাশ রায় বললেন, ‘আপনি পাগল জানি কিন্তু বদ্ধ পাগল তাতো জানতাম না। পেন্টুল পরে নামাবলী জড়িয়ে ঘুরে বেড়াবেন?’ পাহাড়ি সান্যাল বললেন, ‘আলবাত’। কমল মিত্র ও বিকাশ রায় একসঙ্গে বললেন ‘পারবেন না’। পাহাড়ি সান্যাল বললেন, ‘বাজি?’ কমল মিত্র বিকাশ রায় দু’জনেই মুখটা উঁচু করে বললেন, ‘১০ টাকা’। পাহাড়ি সান্যাল বললেন, ‘১০ টাকা? ঠিক আছে তাই সই ১০ টাকার বাজি’। দিন সাতেক বাদে কমল মিত্র ও বিকাশ রায় দেখেন পাহাড়ি সান্যাল নামাবলিটি হাওয়াই শার্ট বানিয়ে পড়ে স্টুডিওতে ঢুকেছেন। সঙ্গে এক সাহেব। তাঁর সঙ্গে ফরাসি ভাষায় কথা বলতে বলতেই ঢুকেছেন। বাজিতে বিকাশ রায় কমল মিত্র হারলেন। তাঁরা ১০ টাকা তুলে দিলেন পাহাড়ি সান্যালের হাতে।