বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

গতকাল সারাদিন একটানা ঘোরাঘুরির ফলে ইচ্ছা থাকলেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারিনি৷ দোতলার খোলা জানালা দিয়ে একঝলক রোদ্দুর চোখে পড়তেই ঘুম ভাঙল৷ সকাল সাড়ে সাতটা৷ জানালার সামনে দাঁড়ালে আশ্রমের মন্দির অনেকটাই দেখা যায়৷
মন্দিরের একপাশে সবুজ লন৷ প্রতি বছর এই মাঠে ম্যারাপ বেঁধে খুব বড় করে দুর্গাপুজো হয়৷ কুমারীপুজো দেখার জন্য ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আশ্রমে আসেন৷ প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন৷ বেলুড় মঠের অনুমোদন পায় ১৯১৪ সালে৷ দেখতে দেখতে একশো বছর হয়ে গেল৷ অবশ্য পুরোনো ঢাকার ফরাসগঞ্জে ঊনবিংশ শতকের শেষাশেষি এই আশ্রমের শুরু৷

স্বামী বিবেকানন্দ ফরাসগঞ্জের ওই আশ্রমে এসেছিলেন৷ তারপরই আশ্রমের কর্ম পরিধি ক্রমশ বিস্তারলাভ করে৷ স্বামীজির পূর্ববঙ্গ সফর নিয়ে আরও তথ্য এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন৷ ১৯০১ সালের ২৪ জানুয়ারি৷ স্বামীজি মায়াবতী আশ্রম থেকে কলকাতায় ফেরেন৷ সেই সময় তিনি দু’সপ্তাহের ওপর বেলুড় মঠে ছিলেন৷ তাঁর শরীর বিশেষ ভালো ছিল না৷ হাঁপানি ছাড়া অন্যান্য শারীরিক উপসর্গও ছিল৷ মা-কে সঙ্গে নিয়ে পূর্ববঙ্গের কয়েকটি তীর্থস্থান দর্শনের সিদ্ধান্ত নেন স্বামীজি৷ ২৬ জানুয়ারি তাঁর পূর্ববঙ্গ ও অসম সফরের কথা চিঠিতে সারা বুলকে জানান যে, আগামী সপ্তাহে তিনি মা-কে নিয়ে তীর্থে যাচ্ছেন৷ তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করতে হয়তো মাসকয়েক লাগবে৷ তীর্থদর্শন যে হিন্দুবিধবার প্রাণের সাধ সেকথাও চিঠিতে লেখেন৷ স্বামীজি মহামানব বলেই আত্মসমালোচনা পর্যন্ত করে বলেছেন, সারাজীবন আত্মীয়-স্বজনদের শুধু দুঃখ দিয়েছি৷ তাঁদের এই একটা ইচ্ছা অন্তত পূর্ণ করতে চেষ্টা করছি৷

বছর তিনেক আগের কথা৷ ১৮৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর স্বামীজিকে পূর্ববঙ্গ পরিভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন যতীন্দ্রমোহন দাস৷ অবশ্য ব্যস্ততার জন্য স্বামীজির পক্ষে ওই আমন্ত্রণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷ এরপর তাঁকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানান ঢাকার দুই বিশিষ্ট আইনজীবী ঈশ্বরচন্দ্র ঘোষ এবং গগনচন্দ্র ঘোষ৷ কিন্তু সেবারও অসুস্থতার জন্য পূর্ববঙ্গে যেতে পারলেন না স্বামীজি৷ দুটো চিঠিরই বক্তব্য প্রায় একরকম: ঢাকার জনগণ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ স্বামীজিকে সামনাসামনি দেখতে চায়৷ তাঁর মূল্যবান বক্তৃতা শুনতে চায়৷

অবশেষে পূর্ববঙ্গবাসীকে আর অপেক্ষা করে থাকতে হয়নি৷ ১৯০১ সাল, ১৮ মার্চ৷ স্বামীজি তাঁর নয়জন ভক্ত সন্ন্যাসীকে নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন৷ ২৪ মার্চ স্বামীজির মা, মাসি ও বোন কলকাতা থেকে রওনা হয়ে ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জে স্বামীজিদের সঙ্গে মিলিত হন৷

স্বামীজি প্রথমে ঢাকা যান৷ কলকাতা থেকে ট্রেনে গোয়ালন্দে পৌঁছন৷ ১৯ মার্চ স্টিমার গোয়ালন্দ থেকে ছাড়ে৷ পদ্মার বুক চিরে স্টিমার চলেছে৷ সেই যাত্রার বর্ণনা মন্মথ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখায় রয়েছে—‘বিশাল পদ্মাবক্ষে স্টিমার চলিতেছে, স্বামীজি দেখিলেন, জেলেরা নদীতে ইলিশ মাছ ধরিতেছে৷ …এক আনায় একটা মাছ পাওয়া যায়, …স্বামীজি অমনি হুকুম করিলেন, তবে এক টাকার কেন৷’ স্বামীজি আসলে স্টিমারের গরিব মুসলমান খালাসিদের ও অন্যদের খাওয়ানোর জন্যই অতগুলো মাছ কেনার কথা বলেছিলেন৷
স্বামীজির স্টিমার যথাসময়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছয়৷ ঢাকা থেকে এসেছিল ‘ঢাকা অভ্যর্থনা সমিতি’-র সদস্যরা৷ স্বামীজি ও সন্ন্যাসীদের সাদর সম্ভাষণ জানালেন তাঁরা৷ নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রেনে ঢাকায় বিকেলের দিকে এসে পৌঁছন স্বামীজি৷ স্টেশনে বহু গণ্যমান্য লোক ও স্কুল-কলেজের ছাত্র সমবেত হয়েছিলেন৷

স্বামীজিকে ঢাকা নগরবাসীর পক্ষ থেকে দুই আইনজীবী ঈশ্বরচন্দ্র ঘোষ ও গগনচন্দ্র ঘোষ বিপুল অভ্যর্থনা জানান৷ স্বামীজির রাত্রিবাসের ব্যবস্থা হয় ফরাসগঞ্জে জমিদার মোহিনীমোহন দাসের বাড়িতে৷ ছাত্ররা ‘জয় রামকৃষ্ণদেব কি জয়’ ধ্বনি দিতে লাগল৷ সেই ধ্বনিতে চারদিক মুখরিত হল৷ জমিদার বাড়িতে তাঁর আসার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে ছিল বহু মানুষ৷ স্বামীজি উপস্থিত হলে তাঁকে দর্শন করে সকলেই খুশি হল৷

স্বামীজি ঢাকায় পৌঁছে কিন্তু প্রকাশ্য বক্তৃতা করেননি৷ তিনদিন ঢাকায় কাটানোর পর লাঙ্গলবন্দে তীর্থস্নান করতে গিয়েছিলেন৷ এই কদিন বিকেলে প্রায় ঘণ্টা তিনেক জ্ঞান, ভক্তি, বিশ্বাস, ত্যাগ, বিবেক, বৈরাগ্য, কর্ম প্রভৃতি আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করতেন৷ সেই আলোচনা-পর্যালোচনা শুনতে বহু লোকের সমাগম হত৷

স্বামীজির মা, মাসি, বোন ও তাঁদের কয়েকজন সঙ্গী ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জে এসে উপস্থিত হন৷ সেখানে স্বামীজি ও অন্য সন্ন্যাসীরা উপস্থিত ছিলেন৷ বুধাষ্টমীতে (অশোকাষ্টমী) ব্রহ্মপুত্রে স্নান করবেন সকলে৷ স্বামীজি ওই রাতটি শীতলক্ষ্যা নদীর বুকে একটা হাউসবোটে কাটান৷ কয়েক দশক পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এই শীতলক্ষ্যার জল হিন্দুদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল৷ সেই ঘটনার কথা যথাসময়ে বলব৷

পরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ স্বামীজি আরেকটি নৌকায় চড়ে লাঙ্গলবন্দের উদ্দেশে রওনা হন৷ ২৭ মার্চ লাঙ্গলবন্দে পৌঁছন৷ প্রবাদ আছে, ব্রহ্মপুত্রের তীরে এই পুণ্য তীর্থে অবগাহন করে পরশুরাম মাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্তিলাভ করেন৷ তখন থেকে এই স্থানটি হিন্দু নরনারীদের কাছে এক মহাতীর্থ৷ স্বামীজি ২৭ মার্চ লাঙ্গলবন্দে যখন পৌঁছলেন, সেদিনও প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল৷ সারিবদ্ধ নৌকাগুলোর যাত্রীদের মধ্যে থেকে মুহুর্মুহু আনন্দধ্বনি ওঠে৷ হরিনাম সংকীর্তন ও উলুধ্বনি উঠেছিল৷ স্বামী গম্ভীরানন্দের ‘যুগনায়ক বিবেকানন্দ’ গ্রন্থে এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে৷

পূর্ববঙ্গের মাটিতে পা দিয়ে স্বামীজিও খুব খুশি হন৷ এই প্রসঙ্গে তিনি শ্রীমতী বুলকে লিখেছিলেন, শেষ পর্যন্ত আমি পূর্ববঙ্গে এসেছি৷ এই প্রথম এখানে আসলাম৷ আগে জানতাম না বাংলা এত সুন্দর৷ ২৭ মার্চ বুধাষ্টমীতে পুণ্যস্নান সেরে স্বামীজি সঙ্গীদের নিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে যান৷ ঢাকায় পরপর দুদিন ৩০ ও ৩১ মার্চ তিনি দুটো বক্তৃতা করেন৷ প্রথম দিনের বক্তৃতার বিষয় ছিল—‘আমি কী শিখিয়াছি৷’ জগন্নাথ কলেজে আয়োজিত এক সভায় প্রায় দু’হাজার লোকের সামনে স্বামীজি ইংরেজিতে এক ঘণ্টা বক্তৃতা দেন৷ ওই দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকার প্রখ্যাত আইনজীবী রমাকান্ত নন্দী৷

৩১ মার্চ স্বামীজি ঢাকার পোগোজ স্কুলের খোলা মাঠে প্রায় তিন হাজার শ্রোতার সামনে ইংরেজিতে দু’ঘণ্টা বক্তৃতা দেন৷ বিষয় ছিল—‘আমাদের জন্মপ্রাপ্ত ধর্ম৷’ স্বামীজির বক্তব্য শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনেন৷ তাঁর উপস্থিতি পূর্ববঙ্গের আপামর মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে৷ গোটা পূর্ববঙ্গ জুড়ে কিছুদিনের মধ্যে যে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হয় তার বীজ স্বামীজির দেশপ্রেম ভাবনার মধ্যেই নিহিত ছিল৷

স্বামীজি ঢাকায় থাকাকালীন দেওভোগে সাধু নাগ মহাশয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ এই প্রসঙ্গে ‘স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা’-য় (৯ম খণ্ড) একটি আকর্ষণীয় চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়৷ বেলুড় মঠে ফিরে শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে স্বামীজি বলেছিলেন, ‘নাগ মহাশয়ের স্ত্রী আমায় কত রেঁধে খাওয়ালেন৷ বাড়িখানি কি মনোরম—যেন শান্তি আশ্রম! ওখানে গিয়ে এক পুকুরে সাঁতার কেটে নিয়েছিলুম৷ তারপর এসে এমন নিদ্রা দিলুম যে, বেলা আড়াইটা! আমার জীবনে যে কয়দিন সুনিদ্রা হয়েছে, নাগ মহাশয়ের বাড়ির নিদ্রা তার মধ্যে একদিন৷ তারপর উঠে প্রচুর আহার৷ নাগ মহাশয়ের স্ত্রী একখানা কাপড় দিয়েছিলেন৷ সেইখানি মাথায় বেঁধে ঢাকায় রওনা হলুম৷ নাগ মহাশয়ের ফটো পূজা হয় দেখলুম৷ তাঁর সমাধিস্থানটি বেশ ভালো করে রাখা উচিত৷ এখনও—যেমন হওয়া উচিত, তেমনটি৷’

পূর্ববঙ্গের লোকেদের ধর্মভাব সম্বন্ধে স্বামীজির মতামত ছিল এরকম, ‘ধর্মভাব সম্বন্ধে দেখলুম—দেশের লোকগুলো বড় conservative. উদারভাবে ধর্ম করতে গিয়ে আবার অনেকে fanatic হয়ে পড়েছে৷’ স্বামীজি এ কথাও বলেন, ‘বৈষ্ণবভাবটা ঢাকায় বেশি দেখলুম৷… ওদেশে আমার খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বড় গোল করত৷ বলত—ওটা কেন খাবেন, ওর হাতে কেন খাবেন, ইত্যাদি৷ তাই বলতে হত—আমি তো সন্ন্যাসী—ফকির লোক; আমার আবার আচার কি? তোদের শাস্ত্রেই না বলেছে—চরেন্মাধুকরীং বৃত্তিমপি ম্লেচ্ছকুলাদপি’ (মাধুকরী ভিক্ষা ম্লেচ্ছজাতি থেকেও গ্রহণ করবে)৷

স্বামীজি শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে বলেছিলেন, ‘আমাদের এদিকের (পশ্চিমবঙ্গের) চেয়ে লোকগুলো কিছু মজবুত ও কর্মঠ৷ তার কারণ বোধহয় মাছ-মাংসটা খুব খায়; যা করে খুব গোঁয়ে করে৷ আমায় বুঝুক আর নাই বুঝুক—এ অঞ্চলের (পশ্চিমবঙ্গের) লোকের চেয়ে কিন্তু রজোগুণ প্রবল৷ কালে সেটার আরো বিকাশ হবে৷’

স্বামীজি ঢাকায় থাকাকালীন একদিন এক বারবণিতা ও তাঁর মা মহাপুরুষের দর্শনলাভে এলেন৷ গৃহস্বামীর আত্মীয় যতীনবাবু এবং স্বামীজির ভক্তগণ তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিতে ইতস্তত করেন৷ এই সংবাদ স্বামীজির শ্রুতিগোচর হলে তাঁদের ভেতরে নিয়ে আসার জন্য অনুমতি দেন৷ বারবণিতাটি স্বামীজিকে প্রণাম করে অত্যন্ত অসহায়ভাবে বলেন যে, তিনি হাঁপানি রোগে ভুগছেন৷ এর হাত থেকে মুক্তি পেতে স্বামীজির আশীর্বাদ তাঁর প্রয়োজন৷ তিনি আশীর্বাদ করলে অবশ্যই রোগমুক্তি ঘটবে৷

স্বামীজি স্মিত হেসে তাঁকে বলেন, ‘এই দেখ, মা! আমি নিজেই হাঁপানির যন্ত্রণায় অস্থির, কিছুই করিতে পারিতেছি না৷ যদি ব্যাধি আরোগ্য করিবার ক্ষমতা আমার থাকিত, তাহা হইলে কি আর এরূপ দশা হয়৷’ (সূত্র: স্বামী গম্ভীরানন্দের ‘যুগনায়ক বিবেকানন্দ’ ৩য় খণ্ড)৷ স্বামীজির শিশুসুলভ অভিব্যক্তি ও দয়ালু বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হয়েছিলেন৷

‘যুগনায়ক বিবেকানন্দ’ গ্রন্থের সূত্র ধরে বলি, ঢাকা থেকে ৪ এপ্রিল স্বামীজি ভগিনী নিবেদিতাকে লেখেন : ‘এইমাত্র মিস্টার আর দত্তের চিঠি পেলাম৷ তিনি ইংল্যান্ডে তোমার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷…আমি অবশেষে ঢাকায় এসেছি এবং কিছু বক্তৃতা দিয়েছি৷ কাল চন্দ্রনাথের উদ্দেশে রওনা হব৷’

একথা অদ্ভুত মনে হলেও স্বামীজি ঢাকাতে নিজের মৃত্যু সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন৷ একদিন প্রকাশ্য বক্তৃতার পর তিনি হঠাৎ কী মনে করে শিষ্যদের কাছে গম্ভীর মুখে স্থির স্পষ্ট গলায় বলেন, ‘আমি বড়জোর আর এক বছর আছি৷ মা যেসব তীর্থ করতে চান, সেগুলি তাঁকে দেখানো আমার কর্তব্য৷ তাই চন্দ্রনাথ ও কামাখ্যা যাচ্ছি৷ যারা আমার সঙ্গে যাবে, তারা যেন নারীর প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধাভক্তিসম্পন্ন হয়৷ কে আমার সঙ্গে যাবে বলো?’ (সূত্র: শঙ্করীপ্রসাদ বসুর ‘বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ’ ৫ম খণ্ড)৷
স্বামীজি ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত ৫১ পীঠের অন্যতম চন্দ্রনাথ তীর্থ দর্শনে যান৷ সঙ্গে তাঁর মা এবং সঙ্গীরা৷ চন্দ্রনাথ দর্শন করে স্বামীজি তাঁর মা-কে নিয়ে কামাখ্যায় যান৷ সম্ভবত ট্রেনে ও স্টিমারে ধুবড়ি হয়ে তাঁরা গুয়াহাটি গিয়েছিলেন৷ কারণ, তখনও অসমের পার্বত্য অংশে রেললাইন হয়নি৷—চলবে

সৌজন্যে দীপ প্রকাশন

Skip to content