বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ঢাকার জগদ্বিখ্যাত শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরী৷

সাহিত্য, সংস্কৃতি, রুচি, ঐতিহ্যবোধ—এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বৈচিত্রময় পারস্পরিক সম্মেলন সমস্ত ক্ষেত্রেই অটুট। বৈচিত্রময় ওপার বাংলায় অসংখ্য মসজিদ এবং মাজারের পাশাপাশি কিন্তু ইতিহাসপ্রসিদ্ধ কিছু ঐতিহ্যবাহী মন্দির এবং দেবী সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম কয়েকটি পীঠও পড়ছে এখানকার কিছু অঞ্চলে। এই তীর্থক্ষেত্রগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মধ্যেকার পারস্পরিক ধর্মীয় বিশ্বাসের আদানপ্রদানগত সম্পর্কের বৈচিত্রময় কাহিনিই এবার উঠে আসবে পরিব্রাজক লেখক ও সাংবাদিক সুমন গুপ্ত-র কলমে। তার ধারাবাহিক ‘বাংলাদেশের জাগ্রত মন্দিরে মন্দিরে’র মধ্য দিয়ে।

পর্ব-১

শস্যশ্যামলা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জগদ্বিখ্যাত শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরী মন্দির৷
সূর্য তখন অস্তাচলে৷ প্রশস্ত মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুখেই বড় একটি শিবমন্দির৷ এই শিবমন্দিরের একপাশে দু-বিঘা পুষ্করিণীর এক কোণে প্রায় একশো বছরের পূর্ণবয়স্ক এক অশ্বত্থগাছের ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি দেয় বিদায়ী সূর্য৷ বিদায়বেলায় দিনমণির রাঙা নরম আলোয় প্রাচীন জাগ্রত এই দুর্গামন্দিরের গোলাপি রঙের মূল গর্ভদেউল অবর্ণনীয় এক মায়াবী আলোয় উদ্ভাসিত৷ লতাপাতা ও নানা কারুকার্যে সজ্জিত গর্ভদেউলের লাগোয়া বড়সড় নাটমন্দিরের কোথাও কোথাও ওই মায়াবী আলোর খানিকটা তখন চুঁইয়ে পড়ছে৷ আকাশ পরিষ্কার থাকলে সূর্যাস্তের ঢাকেশ্বরী মন্দির দেখে দু-চোখ ভরে ওঠে৷ ঢাকার ঈশ্বরী এই দুর্গা মাতা৷ শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরী নামে তিনি পূজিতা৷

সেই মুহূর্তে নাটমন্দিরে তেমন ভিড় নেই৷ ভিড় বাড়বে সন্ধ্যার পর৷ সন্ধ্যারতির সময়৷ নাটমন্দিরে মহিলা ভক্তের ভিড় তখন চোখে পড়ার মতো৷ হঠাৎই গোধূলিবেলায় শ্রীমতী অঞ্জলি রানি দত্তের সঙ্গে লেখকের পরিচয়৷ যিনি গর্ভদেউলের ছিমছাম বারান্দায় বসে দু-চোখ বুজে অস্ফুটে দুর্গানাম জপ করছিলেন৷ শীর্ণকায়া ভদ্রমহিলার দুটো হাত কোলের কাছে জড়ো করা৷ সেই মুহূর্তে শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরী মা-কে দর্শনের জন্য আমিও এসেছিলাম৷

গর্ভগৃহের সেগুন কাঠের কারুকার্য করা দুটো বড় কাঠের দরজা খোলা৷ ভেতরে কয়েক হাত দূরে রুপোর সুবৃহৎ সিংহাসনে একচালা অষ্টধাতুর অনিন্দ্যসুন্দর অসুরদলনী দশভুজা সিংহবাহিনী মা দুর্গা৷ সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও সিদ্ধিদাতা গণেশ৷ পদ্মফুল ও বিচিত্র কারুকার্যে সমৃদ্ধ পিতলের চকচকে চালচিত্রটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷

চালচিত্রের একদম উপরিভাগে ঠিক মাঝখানে ধ্যানমগ্ন মহাদেবের একটি ছোট বিগ্রহ৷ চালচিত্রের পিছনদিকে দামি ভেলভেটের কাপড় টাঙানো৷

সিংহাসনের পাশে বসে রয়েছেন এই মন্দিরেরই এক পূজারি৷ যাঁরা পুজো দিতে আসছেন, নাম-গোত্র জেনে তাঁদের পুজো করিয়ে দিচ্ছেন তিনি৷ মাতৃদর্শনের পর কোনও কোনও ভক্ত সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করছেন৷

নানা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিতা দক্ষিণমুখী দুর্গামূর্তির উচ্চতা বেশি নয়, প্রায় আড়াই ফুট৷ পরনে লাল রেশম বস্ত্র৷ নানা রত্নালংকারে সুশোভিতা৷ আলুলায়িত কেশরাশি৷ মাথায় বহুমূল্য স্বর্ণমুকুট৷ স্বর্ণমুকুটের ওপরে রুপোর ছত্র৷ অসুরদলনী হলেও মায়ের মুখমণ্ডলে ক্রোধের প্রকাশ নেই৷ বরং জগজ্জননীরূপে তিনি পরম করুণাময়ী৷

গর্ভগৃহের সামনে দু-দণ্ড করজোড়ে দাঁড়ালেই ত্রিনয়নী শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরী মাতার করুণার স্পর্শ বুঝি অনুভব করা যায়৷ ভক্তমন অজান্তেই গুনগুনিয়ে ওঠে—‘ত্রিনয়নী দুর্গা, তোর রূপের সীমা পাই না খুঁজে…৷’

মায়ের ডানদিকের ত্রিশূলধরা হাতে একজোড়া শাঁখা পরানো৷ লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক এবং গণেশের মাথায় স্বর্ণমুকুট৷ প্রচুর পদ্মফুল, জবাফুল ও গাঁদাফুলে ঢাকা রয়েছে শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরীর বেদিতল৷ সিংহাসনের ভেতরেই দু-পাশে ভাঁজ করা অনেকগুলো তাঁতের শাড়ি৷ সিল্কের শাড়িও কয়েকটা৷ মাকে পুজো দিতে এসে অনেক ভক্তই সঙ্গে করে শাড়িগুলো আনেন৷ আলতা-সিঁদুরও দেন৷ পরে শাড়ি ও আলতা-সিঁদুর ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়৷ অবশ্য ঢাকেশ্বরী মা-কে নিবেদন করা কোনও শাড়ি পেতে হলে মোটামুটি একটা দাম দিয়ে ভক্তকে তা কিনে নিতে হয়৷

শ্রীশ্রীঢাকেশ্বরীকে পুজো দেওয়ার পর গর্ভদেউলের বারান্দায় বসেছিলাম৷ দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়ার বিরাম নেই৷ তবে এই সময় ভিড় একটু কম বলে পুজো দিতে কারও অসুবিধা হচ্ছে না৷

এক বিবাহিত ভদ্রমহিলা পুজো দেওয়ার পর মায়ের কাপড় নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন৷ একটা ঢাকাই শাড়ি তাঁর পছন্দ৷ পূজারি ভদ্রমহিলাকে বললেন, ‘শাড়িটার দাম আড়াই হাজার টাকা (বাংলাদেশি টাকা) পড়বে৷ দামি শাড়িও অনেক কম দামে দিয়ে দিই৷ তবে ছাপা বা কম কাজ করা সুতির শাড়ি হলে তার দাম অনেকটাই কম হবে৷’ আড়াই হাজার টাকায় ঢাকাই শাড়িটি সংগ্রহ করে ভক্তিভরে সেটি মাথায় ঠেকিয়ে ভদ্রমহিলা প্রফুল্ল মনে প্রস্থান করলেন৷

এই মন্দিরে পুজোর পর পূজারির দক্ষিণার টাকা গর্ভগৃহের দরজায় রাখা প্রণামির বাক্সে দেওয়ার নিয়ম৷ এখানকার কোনও পূজারিই ভক্তদের কাছ থেকে সরাসরি দক্ষিণা নিতে পারেন না৷ কারণ, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান হলেন এক সেবাইত৷ তিনিই মন্দিরের সমস্ত আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করেন৷ পূজারিরা সেবাইতের বেতনভুক কর্মী৷ প্রণামির বাক্সের সামনে মায়ের চরণামৃত রয়েছে একটি তামার পাত্রে৷ তাতে একটি ছোট তামার চামচ৷ যে কেউ ইচ্ছামতো নিতে পারেন এই চরণামৃত৷

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পাণ্ডাপ্রথা বলে কিছু নেই৷ তার ফলে পুজো দিতে গিয়ে পাণ্ডাদের জন্য অযথা হয়রানির শিকার হতে হয় না দর্শনার্থীদের৷ শুধু ঢাকেশ্বরী নয়, প্রায় একমাস ধরে কয়েকটি ৫১ পীঠসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যেসব মন্দির দর্শন করেছিলাম, কোথাও পাণ্ডাদের উপস্থিতি বা উপদ্রব আমার চোখে পড়েনি৷

হঠাৎ লক্ষ করলাম, দুর্গানাম যিনি জপ করেছিলেন তিনি চোখ খুলে পাশে রাখা একটা থলে থেকে একটুকরো লাল কাপড়ে জড়ানো কিছু একটা বার করলেন৷ বেশ যত্ন করে জড়ানো কাপড়টা খুলতেই দেখলাম, একটা বই৷ বইটা খুলে এবার অস্ফুটে নয়, বরং একটু জোরেই দুর্গাস্তব পাঠ করতে লাগলেন—

‘নমস্তে শরণ্যে শিবে সানুকল্পে,
নমস্তে জগদ্ব্যাপিকে বিশ্বরূপে৷
নমস্তে জগদ্বন্দ্যপাদারবিন্দে,
নমস্তে জগত্তারিণি ত্রাহি দুর্গে৷৷
নমস্তে জগচ্চিন্ত্যমানস্বরূপে,
নমস্তে মহাযোগিনী জ্ঞানরূপে৷
নমস্তে সদানন্দনন্দস্বরূপে,
নমস্তে জগত্তারিণি ত্রাহি দুর্গে৷৷’
একসময় তাঁর পাঠ শেষ হতেই ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘মাসিমা আপনি বোধহয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মাঝে মাঝেই আসেন? কী সুন্দর দুর্গাস্তব পাঠ করলেন!’
তিনি স্মিত হেসে বললেন, ‘না বাছা, এ আইর এমন কী৷ এ নিয়া তৃতীয় দফা আইলাম এহানে৷’

বরিশাল জেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি৷ বাড়ি বরিশালে হলেও ভদ্রমহিলার উচ্চারণে বরিশালের তেমন টান নেই৷ আমার কথাবার্তা শুনে সম্ভবত বাংলাদেশি নই তা আন্দাজ করতে পেরেই বইটা বন্ধ করে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কোথা হইতে আসছ বাছা?’ বললাম, ‘কলকাতা৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন জাগ্রত মন্দির নিয়ে বিস্তারিত লেখালেখির জন্য এসেছি৷ আপনাদের দেশের অনেকগুলো জায়গায় ঘুরে দিনকয়েক হল ঢাকায় এসেছি৷ এখান থেকে কলকাতায় ফিরব৷’

এবার ভদ্রমহিলা খুব খুশি হয়ে বললেন, ‘লিখো বাছা, আমাদের সব মন্দির নিয়া হাত খুইল্যা লিখো৷ এদেশের হিন্দুরা কেমন আছে নিজের চক্ষে সব দেইখ্যা যাও৷ আমাগো দুঃখকষ্টের কথা লিখতে কিন্তু ভুইল্যো না৷ ঢাকেশ্বরী মায়ের আশীর্বাদে ঠেকবা না কিছুতে৷’

ইতিমধ্যে ভদ্রমহিলার নামও আমার জানা হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু তাঁর বয়স জানতে গিয়ে রীতিমতো হোঁচট খেলাম৷ তিনি কৌতুকমিশ্রিত স্বরে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কত হইতে পারে কও তো?’

বললাম, ‘আপনার বয়স আর কত হবে, বড়জোর সত্তর-বাহাত্তর৷’ ভদ্রমহিলা একগাল হেসে বললেন, ‘একদম হইল না৷ সঠিক কইলা না৷ আমার বয়সখানি বাছা একশো হইতে মাত্তর পাঁচটা বচ্ছর কম৷’

তাঁর কথা শুনে আমি থ! পঁচানব্বই বছরের এক বৃদ্ধার মাথায় কাঁচা-পাকা চুলই বেশি৷ চোখে চশমা নেই৷ দুর্গাস্তব যে পাঠ করলেন কোনও জড়তা নেই পাঠে৷ বেশ গল্প করতে পারেন অঞ্জলিদেবী৷ শুনলাম, গত ৬০ বছর ধরে তিনি মাছ-মাংস খান না৷ দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে৷ বড় মেয়ের ঘরের পুতি সুস্মিতা এবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবে৷ খুলনায় থাকেন৷ ঢাকা শহরে ছোট মেয়ে নমিতা দাসের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন অঞ্জলিদেবী৷ জামাই সুজন দাসের ছাপাখানার ব্যবসা ঢাকা শহরেই৷ সচ্ছল অবস্থা৷

অঞ্জলিদেবী এবার দু’-হাত কপালে ঠেকিয়ে ঢাকেশ্বরী দেবীর উদ্দেশে প্রণাম জানিয়ে বললেন, ‘মা আমাগো খুবই জাগ্রতা৷ বিয়ার পর আমার ছোট মাইয়াটার আর সন্তান হয় না৷ কেবলই চোখের জলে বুক ভাসায়৷ এখানে সেখানে কত যে গ্যাছি৷ মাথা খুঁইড়্যা মরছি৷ অবশেষে আমাগোরই এক আত্মীয়া কইলেন যে, ঢাকেশ্বরী মায়ের কাছে আঁচল ফেইল্যা মাইয়ার জন্য সন্তান চাইয়া মানত করেন৷ তারপরেই এই মন্দিরে আইস্যা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম জানাইয়া মানত কইরলাম৷’

ছেলে বা মেয়ে যা-ই হোক, ছোট মেয়ে মা হলে ঢাকেশ্বরী দেবীকে শাড়ি ও শাঁখা দেবেন অঞ্জলিদেবী৷ সেবারই এই মন্দিরে তিনি প্রথম এলেন৷ মানতের দিন ছোট মেয়েও মায়ের সঙ্গে৷ নির্জলা উপবাসের পর মা ও মেয়ে পুজো দেন৷ প্রায় সারাটা দিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কাটিয়ে সন্ধ্যারতি দেখে তাঁরা বাড়ি ফেরেন৷

অলৌকিক ব্যাপার! অঞ্জলিদেবীর মানত পূরণ হল৷ নমিতা দাস এক কন্যাসন্তানের মা হলেন৷ মানত পূরণের পরেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এসেছিলেন অঞ্জলিদেবী৷ ঢাকেশ্বরী দেবীকে ঢাকাই শাড়ি ও একজোড়া শাঁখা দিয়ে যান৷ অনেকদিন পর আবার ঢাকায় এসেছেন৷ তাই সুযোগ পেয়েই মেয়ে, জামাই ও নাতনি নন্দিতাকে নিয়ে মন্দিরে চলে এসেছেন৷

আমাদের কথাবার্তার মাঝে এক সুন্দরী সুবেশা ভদ্রমহিলা অঞ্জলিদেবীর পাশে এসে দাঁড়ালেন৷ সঙ্গে সতেরো-আঠারো বছরের সপ্রতিভ চেহারার একটি মেয়ে৷ ওঁদের দেখে অঞ্জলিদেবীর মুখে হাসি৷ দু’জনের গায়ে একটু হাত বুলিয়ে আদর করে বললেন, ‘এই হইল গিয়া আমার ছোট মাইয়া আর নাতনি৷ মা ঢাকেশ্বরীর দয়াতেই যে ওরে পাইছি নন্দিতাও তা জানে৷’

গর্ভগৃহে ঢাকেশ্বরী দেবীর ডানদিকে সেগুন কাঠের সুদৃশ্য সিংহাসনে আসীন ভোলা মহেশ্বর৷ মাথার ওপর সেগুন কাঠের ছত্র৷ অষ্টধাতুর মূর্তিটি এককথায় চমৎকার৷ ২০০৫ সালে শিবমূর্তিটি স্থাপিত হয়৷ আগে মায়ের পাশে সুউচ্চ শিবলিঙ্গ ছিল৷ ঢাকেশ্বরী দেবীর বাঁদিকে একইরকম কাঠের সিংহাসনে কাঠের ছত্রের নীচে শোভা পাচ্ছে শ্রীবাসুদেব মূর্তি৷ এই মূর্তিটিও অষ্টধাতুর৷ আগে শালগ্রাম শিলা পূজিত হত৷ শিব ও বাসুদেবের পাশে অন্য দুটো প্রকোষ্ঠে শিবলিঙ্গ রয়েছে৷ একটি প্রকোষ্ঠে শিবলিঙ্গের পাশেই শ্রীশ্রীসন্তোষী মাতার ছবি৷ প্রতি শুক্রবার সকাল দশটায় সন্তোষী মাতার পুজো হয়৷

গর্ভদেউলের বারান্দার ডানদিকে লম্বা কাচের বাক্সে ধনুর্ধারী শ্রীরামচন্দ্রের পূর্ণাবয়ব মূর্তি৷ বাঁদিকে আরেকটি সম-আকৃতির কাচের বাক্সে পবনপুত্র শ্রীহনুমানজি৷ গর্ভদেউলের বারান্দায় দেব-দেবীর উদ্দেশে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেলেন অঞ্জলিদেবী৷ —চলবে

সৌজন্যে দীপ প্রকাশন

 


Skip to content