রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


নন্দনে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বাংলাদেশি ব্লকবাস্টার ‘হাওয়া’ সিনেমার শো শুরু হবে দুপুর ১.৩০টা নাগাদ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল বেলা ১১.১৫-এ দর্শকদের লম্বা লাইন নন্দন ছাড়িয়ে গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শনশালার সামনে দিয়ে ঘুরে গিয়েছে। এই ছবি দেখার জন্য উদগ্রীব কলকাতার দর্শক।
শুধু কলকাতা নয়, দমকা ‘হাওয়া’ ঝড় তুলেছিল বাংলাদেশেও। চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত, মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালিত এই ছবি চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। বক্স অফিসে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ছবির একটি গানও (‘সাদা সাদা কালা কালা…’)। সেই গান অপার বাংলার মানুষের সঙ্গে সঙ্গে এপার বাংলার দর্শকের হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টা-রিলেও। তাই সেই ছবি দেখার সুযোগ পেলে যে শহরবাসী ছাড়বেন না, তা তো বলা বাহুল্য।
আর বাস্তবে তাই ঘটলও। চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ‘হাওয়া’র দু’টি শো। দুপুরের শোয়ের জন্য লাইন পড়েছিল বেলা ১১টা থেকে। সন্ধ্যা ৬টার শো-এ এমন ভিড় হল যে, নন্দনের মূল গেট বন্ধ করে দেওয়া হল। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতে চঞ্চল চৌধুরী এখন ভালোই পরিচিত এখানকার দর্শকমহলে। ‘কারাগার’ দেখার পর তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা টলিউডও। তাই তাঁর অভিনীত সুপারহিট ছবি নিয়ে যে উৎসাহ থাকবেই, ভিড় হবেই তা সকলেরই জানা। বেহালা থেকে বারাসত— শহরের সব অঞ্চল থেকেই দর্শক ছুটে এসেছেন এই ছবি দেখতে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৮: মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্বে ‘বসু পরিবার’ [১১/০৪/১৯৫২]

ছোটদের যত্নে: শিশু পেটের ব্যথায় ভুগছে? তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি মেনে চলুন

দুপুরের শো দেখতে হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। ছবি শেষে মঞ্চে উঠে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন উপস্থিত চঞ্চল চৌধুরীকে। চঞ্চলও এপার বাংলার দর্শকের কাছ থেকে এমন সাড়া পেয়ে উচ্ছসিত।
সন্ধ্যার শো-তেও নন্দনের সামনে বহু তারকাকে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেল। ফের লাইন গরাল বাংলা আকাদেমি পর্যন্ত। কিছু ক্ষণের মধ্যে ভরে যায় সব আসন। তবে শনিবারই শেষ নয়। একটি করে শোয়ে ‘হাওয়া’ দেখানোর কথাই ছিল আগামী ৩১ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর নন্দন ২-এ। তবে দর্শকের এমন উৎসাহ দেখে নন্দনে সোমবার, ৩১ তারিখ সকাল ১০টায় আরও একটি শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। নন্দন কর্তৃপক্ষ যখন এই ঘোষণাটি করছেন, তখনও বাইরে প্রায় ২০০-২৫০ দর্শক অপেক্ষা করছেন, যদি প্রেক্ষাগৃহে কোনও ভাবে ঢোকা যায়।

Skip to content