শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সেই কন্টেনার ডিপো এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুনের মূল উৎসস্থলের ধারে কাছেই পৌঁছতেই পারেনি বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সেনা। চতুর্দিকে শুধু স্বজন হারানোর আর্তনাদ। ঘটনাস্থল থেকে শুধু একের পর ঝলসানো দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। বন্দর এলাকায় বিএম কন্টেনারের ডিপোয় আগুন লাগে শনিবার রাতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুনের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় আড়াই বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এই অঞ্চলর মধ্যে থাকা বাড়ি ও মসজিদের জানলার কাচ ভেঙে গিয়ছে। অনেক টিভি, ফ্রিজও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে খবর। ধোঁয়া এবং তাপের কারণে পার্শ্ববর্তী একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা বেশ সমস্যায় পড়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানিয়েছেন, মোট ১২০০টি কন্টেনার ছিল ডিপোয়। এর মধ্যে ২৬টি ছিল হাইড্রোজেন পারক্সাইড। এছাড়াও প্লাস্টিকের জারে এই রাসায়নিক ডিপোর টিনশেডে রাখা ছিল। ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেই জারগুলি ফেটে যায়। এভাবে হাইডোজেন পারক্সাইড কন্টেনারের সংস্পর্শে আসে আগুন। এতে কন্টেনারের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়ে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। এর ফলে ইস্পাতের কন্টেনার ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সেনাবাহিনীর আশা, আজ রবিবার রাত ১০টার মধ্যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
অন্যদিকে, বিএম কন্টেনার ডিপো বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যদের পরিবারকে ১০ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা ও পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হবে। আর আহতদের চাকরি-সহ ছ’লক্ষ বাংলাদেশি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হাইড্রোজেন পারক্সাইড বোঝাই একটি কন্টেনার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্র অভিঘাতে কর্মীরা তৎক্ষণাৎ কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। ক্রমে সব কিছু আগুনের গ্রাসে ঝলসে যেতে থাকে। রবিবার বিকেল মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৯ জনের। আহত কমবেশি পাঁচশোজন। সেনা ও ফায়ার সার্ভিস মনে করছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

Skip to content