বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


আত্মসমর্পণের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

পশ্চিমবঙ্গের তরুণ বন্ধুরা জানেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল। পাকিস্তানের পরাজয়ের পর শরণার্থীরা বাংলাদেশে চলে যায়। কিন্তু জানে না যে, পাকিস্তানিদের এই পরাজয়ের দিনটি ছিল ১৬ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দিন। এই দিন নিজেদের স্বাধীন ভূখণ্ড আদায়ে বাঙালির সংগ্রাম লড়াইয়ের সোনালি ফসল ঘরে ওঠে। লাল সবুজ পতাকার জয় হয়। এদিন বাঙালির বাঁধনহারা উল্লাসের দিন। প্রায় ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী ৯১,৬৩৪ জন সৈন্যসহ মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে নিজের পিস্তল তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পন করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজি। সেই দিনই পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে। এর মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয়। সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য এই পরম আনন্দের দিন, বড় গৌরবের দিন, অহংকারের দিন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে নিরহ নিরস্ত্র বাঙালির উপর পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে অঘেষিত যুদ্ধের সুচনা করে। এই বর্বরোচিত হামলার জবাবে বাঙালি পুলিশ, ইপিআর-সহ ছাত্র জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সে রাতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু তারও আগে ১৯৭১ এর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন যে, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। সেই থেকে বাঙালি মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে যার যা আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করেছে। সেই থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু।

পাকিস্তানী সেনার আত্মসমর্পণ।

যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম এবং সাড়ে সাতকোটি বাঙালির অশ্রুর বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়। বাংলাদেশকে তারা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করেছে, দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, সমস্ত মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। কত ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়। তাই আমাদের আনন্দ উল্লাসে ভিন্নতা রয়েছে এবং থাকবে। কারণ, পৃথিবীর খুব কম সংখ্যক দেশ এমন সম্মুখ সমরে জিতে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরাই একমাত্র দেশ, যারা দখলদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি।

জেনারেল নিয়াজি পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করছেন।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অনেকে সন্দিহান ছিলেন। দক্ষ প্রশিক্ষিত একটি নিয়মিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঙালি কি জিততে পারবে? পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী থেকে শুরু করে সেখানকার অনেক রাজনৈতিক নেতা ও জনগণ আমাদেরকে ভিতু বাঙালি বলে সব সময় উপহাস করেছে। মুক্তিযুদ্ধে চিন-মার্কিনসহ বিভিন্ন শক্তিধর দেশও ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করেছে, অসহযোগিতা করেছে, পাকিস্তানকে সমর্থন ও অর্থ অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। তাদের প্রত্যেকের উপহাস, অবজ্ঞা, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ, অসহযোগীতা এবং ষড়যন্ত্রকে পায়ে মাড়িয়ে বীর বাঙালি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার। এই বিজয় পৃথিবীর সমস্ত বাঙালির বিজয়। সমস্ত বাঙালির অহংকার ও গর্বের ধন।
আরও পড়ুন:

সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৫: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র— বইয়ের জন্য ভালোবাসা

শুরু হয়েছে কাউন্টডাউন, কয়েক দিন বাদেই বাংলাদেশে প্রথম বার ছুটবে মেট্রো রেল, দেখে নিন পরিষেবার খুঁটিনাটি

বাংলাদেশের জাগ্রত মন্দিরে মন্দিরে, পর্ব-৪০: কীর্তনখোলা নদীর তীরে সন্ধ্যার বরিশালের অন্য আকর্ষণ

ডায়েট ফটাফট: তরতাজা থাকতে নিয়মিত প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খান? বড়সড় বিপদ এড়াতে এই সব নিয়ম মেনে চলছেন তো?

জিম-ট্রিম: চেস্ট ওয়ার্ক আউট শুরু করার কথা ভাবছেন? জেনে নিন খুঁটিনাটি

সেদিন বিজয়ের আনন্দে উল্লাসিত হাজারো মানুষের সম্মুখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পন দলিলে স্বাক্ষর করেন পূর্ব পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কমান্ডার লেফটেন্যাট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তিনি যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে নিজের পিস্তল সমর্পণ করে আত্মসমর্পন করেন। এই আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধান আব্দুল করিম খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের সেই আত্মসমপর্নের দলিল এখন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে, যা বাঙালি জাতির গৌরবের দলিল। এই দলিল ভারত ও বাংলাদেশের জন্য অনেক সম্মানের এবং গর্বের দলিল। কারণ মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযান ছিল মাত্র ১২ দিনের। ২৫ মার্চ ১৯৭১ থেকে শুরু করে মুক্তিবাহিনী সারা বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছে।

পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ।

মিত্রবাহিনী ৪ ডিসেম্বর যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করেছে। জেনারেল আরোরার ‘ফল অব ঢাকা’ বা ঢাকার পতন রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে, “আমাদের ঢাকার অগ্রাভিযানে মুক্তিবাহিনী ও স্থানীয় জনগণ খুবই সহায়তা করেছে। তারা আমাদের পথ দেখায়। নৌকা, গরুর গাড়ি, সাইকেল, রিকশা ইত্যাদি চালিয়ে সাহায্য করে, তারা আমাদের শত্রু অবস্থানের মূল্যবান খবর সরবরাহ করে। ঢাকার দিকে আমাদের অগ্রযাত্রায় সহায়তা করেছে।” মূলত এই বিজয়ের প্রাণশক্তি ছিল বাংলার আপামর জনগণ। এটি ছিল একটি জনযুদ্ধ। মুষ্টিমেয় কিছু রাজাকার আলবদর আলশামস এবং দালাল ছাড়া বাংলাদেশের আপামর জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। পাকিস্তানীরা ছিল এখানে দখলদার এবং ভিনদেশি। তাই যথেষ্ট অস্ত্র ও সৈন্যবল থাকার পরও তাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন:

যোগা-প্রাণায়াম: চল্লিশেই বলিরেখা? তিনটি আসনেই হবে বাজিমাত

পর্ব-১৯: বয়স হয়েছে তাই ওজন কমে যাচ্ছে—এই ধারণা কি আদৌ ঠিক?/৪

ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে? হার্ট ভালো রাখতে রোজের রান্নায় কোন তেল কতটা ব্যবহার করবেন? দেখুন ভিডিয়ো

মনের আয়না: ঘুমোতে গেলেই মগজে ভিড় করছে রাজ্যের দুশ্চিন্তা? জন্মাচ্ছে অকারণ ভয়? রইল সমাধান

ঢাকার সেদিনটি কেমন ছিল? সেদিন ঢাকা ছিল উৎসবের নগরী। বিজয়ের মহানায়কদের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানিক’শ রেডিও মারফত জেনারেল নিয়াজিকে তার সম্পূর্ণ বাহিনীসহ ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে আহবান জানান। অন্যথায় জলে স্হলে ও আকাশে পূর্ণোদ্যমে ঢাকার বুকে আঘাত হানবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। তারও আগে ঢাকার আশপাশের বেশির ভাগ এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। মিত্রবাহিনীর হাতে তখন ঢাকার বাইরের বেশির ভাগ সেনানিবাসের পতন হয় ও পাকিস্তানি বাহিনীর সৈন্যরা বন্দি হয়। জেনারেল মানিকশ’র এই আহবান উর্দু ও ইংরেজিতে ছেপে বিমানযোগে ঢাকায় বিলি করা হয়। সকাল সাতটার দিকে ভারতীয় বিগ্রেডিয়ার হরদেব সিং ক্লার কাছে খবর আসে যে, জেনারেল নিয়াজি তার বিভিন্ন সেক্টর ও ঘাঁটিতে সকাল ছয়টার থেকে যুদ্ধ বন্ধ করার বার্তা পাঠাচ্ছে। সেই বার্তা ইন্টারসেপ্ট করা হয়। যৌথ বাহিনীর জেনারেল জেকব, জেনারেল নাগরাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা জেনারেল নিয়াজিকে আত্মসমর্পণে রাজি করান। তখন রেডিও টিভি সব বন্ধ ছিল।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে জনতার উল্লাস।

কিন্তু বিদ্যুৎ বেগে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করছে। তখন রাস্তা জনস্রোতে পরিণত হয়। জনগন সর্বশক্তি দিয়ে ব্রজ্রকন্ঠে বারবার জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করে জড়িয়ে ধরতে থাকে। পাকিস্তানি সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর নিকট অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পাকিস্তানি সাধারণ সৈনিকদের পক্ষে জেনারেল জামশেদ যৌথ বাহিনীর জেনারেল নাগরার হাতে অস্ত্র সমর্পণ করেন। জেনারেল নাগরার পাশে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান কাদের সিদ্দিকি দণ্ডায়মান ছিলেন। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে, চিৎকার করতে থাকে। জেনারেল অরোরা তার স্মৃতিচারণে লিখেছেন যে, তিনি চেয়েছিলেন অধিকাংশ জনগনের উপস্থিতিতে, জনগণের সম্মুখে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করুক। তাই তিনি সমস্ত নিয়মকানুন ভেঙে খোলা মাঠে আত্মসমর্পণেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্মরণীয় যে এই খোলামাঠেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:

ইংলিশ টিংলিশ: আজকে এসো দেখি Prefix আর Suffix কাকে বলে

শীতের আমেজে লোভনীয় কিছু খাওয়ার ইচ্ছা? রেস্তরাঁর মতো ঝটপট বানিয়ে ফেলুন সুখা মরিচ মাটন

দশভুজাঃ ‘ওগো তুমি যে আমার…’— আজও তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারেনি/২

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৩: নোবেল-প্রাপ্তির সংবর্ধনা-সভায় রবীন্দ্রনাথ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন

যুদ্ধের খতিয়ান থেকে জানা যায় প্রায় ১২ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য নিহত ও ৫ হাজার সৈন্য আহত হয়েছে। ভারতের ১৫২৫ জন সৈন্য নিহত ও ৪০১৬জন আহত হয়েছে। কিন্তু আমরা হারিয়েছি ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ। আহতের সংখ্যা গণনা করার মতো অবস্থা তখন বিদ্যমান ছিল না। সারাদেশ বিধস্ত শ্মশানে পরিণত হয়েছিল।

এই বিজয়ে আমরা যেমন উল্লাসিত তেমনি কৃতজ্ঞ ভারতের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি। তিনি আন্তরিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে লৌহমানবের মতো না দাঁড়ালে পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের পক্ষে দাঁড়াতো না। গৌরবময় এমন বিজয় আমরা এত সহজে অর্জন করতে পারতাম না। তাই বাংলাদেশ চিরদিন সশ্রদ্ধ চিত্তে মাননীয়া ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতে অবদানকে স্মরণে করে এবং করবে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের বিজয় দিবসে অবশ্যই আনন্দিত হবে। তারা বাংলা ভাষা ও বাঙালির দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিয়ে অহংকার করবে, গর্ববোধ করবে। কারণ, এই বিজয়ে তাদের বিশাল আত্মত্যাগের ইতিহাস আছে। জয় বাংলা।

ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
* সোনার বাংলার চিঠি (Letter from Sonar Bangla, Sonar Banglar Chithi, Bangladesh) : অরুণ শীল (Arun Shil) কবি ও সাহিত্যিক। তিনি প্রধানত শিশু-কিশোর সাহিত্যের লেখক। শুরুতে গণমুখী ছড়া লিখে তুখোড় ছড়াকার হিসেবে পরিচিতি পেলেও মায়াবী, কোমল এবং স্বপ্নময় কিশোর কবিতা লিখে খ্যাতিমান হয়েছেন। ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ নিয়ে এ পর্যন্ত তাঁর ২২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধ, ফিচার লিখেও তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। পেয়েছেন বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সম্মাননা ও পুরস্কার।

Skip to content