ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
‘মাস্টারমশাই কেমন আছেন? নম্র এক স্বর। ভেসে আসে আজ কানের ভিতর অনেক যুগের দিনের পর এই একটি ডাকেই স্মৃতির সমুদ্রটি তোলপাড় এই একটি ডাকেই কিছু চেনা মুখ ভেসে ওঠে বারবার’।
নাম তো কেবল রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের সংকেতবদ্ধ একটা চিহ্ন মাত্র। নাম তখনই যথার্থতার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হতে পারে যখন ব্যক্তির কীর্তি প্রতিভা ব্যক্তি নামের রাষ্ট্রীয় তাৎপর্যকে অতিক্রম করে যেতে পারে। সেজন্যেই বোধহয় সন্তোষ মুখোপাধ্যায় তার কবিতায় মাস্টারমশাইয়ের নাম উল্লেখ করেননি বরং নাম উল্লেখ করেছেন তার ছাত্রের। কারণ মাস্টারমশাইয়ের পরিচয়ের গভীরতা নিহিত থাকে তার ছাত্রের পরিচয়, ছাত্রের সামগ্রিক সাফল্যের মধ্যেই। এমনই এক পেশা শিক্ষকতা, যে পেশায় ‘শিক্ষক’ এই পরিচয়টুকুই যথেষ্ট। এর বাইরে বেরিয়ে আর কোনও পরিচয়কেন্দ্রিক তথ্যের প্রয়োজনই হয় না। আর এই শতকে দাঁড়িয়ে এই মহান পরিচয়কে যথার্থতার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করলেন বাংলাদেশের এক নিতান্তই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবক। আচমকাই বাংলাদেশের বগুড়ার জহরুল এলাকায় বিদ্যুতের বাতিস্তম্ভে আটকানো এক যুবকের ছবি ঝড়ের গতিতে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ছবির নীচে লেখা ‘শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’। ছবির নীচে সাদা কাগজে প্রিন্ট আউটে নিজের যোগাযোগ নম্বরও উল্লেখ করেছেন তিনি।
যুবকের নাম আলমগীর কবির। জয়পুরহাট পাঁচবিবির বাসিন্দা তিনি। যদিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যে কোনও বিষয়য়ের সত্য -মিথ্যা চট করে যাচাই করা সম্ভবপর হয় না ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের এই শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেম বহু মানুষ। যদি এই ঘটনা প্রকৃত অর্থেই সত্য হয়ে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন কবির কিন্তু মন্দার বাজারে চাকরি যে বড়ই দুর্মূল্য। তবে এখনো পর্যন্ত মনের মতো চাকরি না মিললেও হাল কিন্তু ছাড়েননি কবীর। কিন্তু নিজের খরচা চালিয়ে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তো দরকার নিজের চলার মত সংস্থানটুকু। হাতে রয়েছে একটিমাত্র টিউশন, যেখান থেকে আয় হয় দেড় হাজার টাকা মাত্র। তাতে নিজের খাওয়া খরচ চালিয়ে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অতএব শেষমেশ তাই দুবেলা দু মুঠো অন্নের বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতার সিদ্ধান্তই নিলেন কবির। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গণিত ছাড়া সব বিষয়ই পড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জহুরুল নগরের আশেপাশেই গৃহশিক্ষকতা খুঁজছেন কবির।
স্বভাবতই এমন এক আকুতিপূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখে আবেগতাড়িত হওয়া অনেক মানুষই তাকে ফোন করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন, কেউ তো আবার পোশাকের কারখানায় তাকে চাকরি দিতে চেয়েছেন। কিন্তু চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে ছুটি পেতে সমস্যা হবে বলে তিনি গৃহশিক্ষকতাই করতে চেয়েছেন। কে বলতে পারে হয়তো একদিন এই প্রয়োজনের তাড়নাই কবিরকে তার ছাত্রদের মধ্যে ‘মাস্টারমশাই’য়ের সর্বোচ্চ পরিচিতির পর্যায়ে উন্নীত করবে।
নাম তো কেবল রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের সংকেতবদ্ধ একটা চিহ্ন মাত্র। নাম তখনই যথার্থতার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হতে পারে যখন ব্যক্তির কীর্তি প্রতিভা ব্যক্তি নামের রাষ্ট্রীয় তাৎপর্যকে অতিক্রম করে যেতে পারে। সেজন্যেই বোধহয় সন্তোষ মুখোপাধ্যায় তার কবিতায় মাস্টারমশাইয়ের নাম উল্লেখ করেননি বরং নাম উল্লেখ করেছেন তার ছাত্রের। কারণ মাস্টারমশাইয়ের পরিচয়ের গভীরতা নিহিত থাকে তার ছাত্রের পরিচয়, ছাত্রের সামগ্রিক সাফল্যের মধ্যেই। এমনই এক পেশা শিক্ষকতা, যে পেশায় ‘শিক্ষক’ এই পরিচয়টুকুই যথেষ্ট। এর বাইরে বেরিয়ে আর কোনও পরিচয়কেন্দ্রিক তথ্যের প্রয়োজনই হয় না। আর এই শতকে দাঁড়িয়ে এই মহান পরিচয়কে যথার্থতার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করলেন বাংলাদেশের এক নিতান্তই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবক। আচমকাই বাংলাদেশের বগুড়ার জহরুল এলাকায় বিদ্যুতের বাতিস্তম্ভে আটকানো এক যুবকের ছবি ঝড়ের গতিতে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ছবির নীচে লেখা ‘শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’। ছবির নীচে সাদা কাগজে প্রিন্ট আউটে নিজের যোগাযোগ নম্বরও উল্লেখ করেছেন তিনি।
যুবকের নাম আলমগীর কবির। জয়পুরহাট পাঁচবিবির বাসিন্দা তিনি। যদিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যে কোনও বিষয়য়ের সত্য -মিথ্যা চট করে যাচাই করা সম্ভবপর হয় না ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের এই শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেম বহু মানুষ। যদি এই ঘটনা প্রকৃত অর্থেই সত্য হয়ে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন কবির কিন্তু মন্দার বাজারে চাকরি যে বড়ই দুর্মূল্য। তবে এখনো পর্যন্ত মনের মতো চাকরি না মিললেও হাল কিন্তু ছাড়েননি কবীর। কিন্তু নিজের খরচা চালিয়ে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তো দরকার নিজের চলার মত সংস্থানটুকু। হাতে রয়েছে একটিমাত্র টিউশন, যেখান থেকে আয় হয় দেড় হাজার টাকা মাত্র। তাতে নিজের খাওয়া খরচ চালিয়ে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অতএব শেষমেশ তাই দুবেলা দু মুঠো অন্নের বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতার সিদ্ধান্তই নিলেন কবির। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত গণিত ছাড়া সব বিষয়ই পড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জহুরুল নগরের আশেপাশেই গৃহশিক্ষকতা খুঁজছেন কবির।
স্বভাবতই এমন এক আকুতিপূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখে আবেগতাড়িত হওয়া অনেক মানুষই তাকে ফোন করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন, কেউ তো আবার পোশাকের কারখানায় তাকে চাকরি দিতে চেয়েছেন। কিন্তু চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে ছুটি পেতে সমস্যা হবে বলে তিনি গৃহশিক্ষকতাই করতে চেয়েছেন। কে বলতে পারে হয়তো একদিন এই প্রয়োজনের তাড়নাই কবিরকে তার ছাত্রদের মধ্যে ‘মাস্টারমশাই’য়ের সর্বোচ্চ পরিচিতির পর্যায়ে উন্নীত করবে।