ছবি: প্রতীকী।
সাধারণত ই-কোলাই বা ইসকেরেসিয়া কোলাই নামে এক জীবাণুর সংক্রমণ থেকে এই ধরনের রোগ উৎপন্ন হয়। তাই আধুনিক বিজ্ঞানে মূত্রের কালচার এবং সেনসিটিভিটি পরীক্ষা করিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অ্যাকিউট ইউটিআই-তে এই ধরনের চিকিৎসায় রোগী আরাম পেলেও ক্রনিক ইউটিআই অর্থাৎ যেখানে বারবার জীবাণু সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে সেখানে ভালো ফল পাওয়া যায় না বা ‘নন স্পেসিফিক্’ বা অনির্দিষ্ট কারণ জন্য ইউটিআই সেখানে কিছুই ফলপ্রদ হয় না।
এই ইউটিআই সারা ভারতের নিরিখে এক বৃহৎ সমস্যার বিষয়। কারণ, দেশের জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে ৩৩ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনও সময় এই সমস্যায় ভোগেন। এর মধ্যে মহিলারা প্রায় ৬৭ শতাংশ এবং পুরুষ প্রায় ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষদের অপেক্ষা মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।
রোগের কারণ বা নিদান
রোগের প্রকারভেদ
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: হার্টের অসুস্থতায় বুকের ব্যথায় ভুগছেন? আয়ুর্বেদ মতে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? রইল সমাধান
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে
রোগের লক্ষণ
কফজ মূত্রকৃচ্ছ্র এর ক্ষেত্রে তলপেটে ভারীবোধ, গুরুতা, পিচ্ছিল স্নিগ্ধ প্রস্রাব ত্যাগ, সান্নিপাতিক মূত্রকৃচ্ছ্র তে সারা দেহে জ্বালা, জ্বরবোধ, শীত-শীত ভাব, তলপেটে ব্যথা, বার বার প্রস্রাব ইত্যাদি লক্ষণ বিশেষভাবে দেখা যায়। আবার আঘাতের কারণে হওয়া অতিঘাতজ মূত্রকৃচ্ছ্র তে তলপেটে বা মুত্র থলির প্রদেশে প্রচণ্ড ব্যথা, ফোলা, জ্বর বোধ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
অশ্মরীজ মূত্রকৃচ্ছ্র সাধারণত মূত্রবাহী স্রোতে অর্থাৎ বৃক্ক থেকে মূত্রপ্রসেক দ্বার পর্যন্ত যেকোনও স্থানে যদি পাথর জমে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রস্রাব ত্যাগে ব্যথা বেদনার সঙ্গে বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথা, তলপেটে চাপও ব্যথা, হাত-পা কাঁপা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকটিত হয়। মলের বেগ ধারণ জন্য মূত্রত্যাগে বাধা থেকে উৎপন্ন শকৃতজ মূত্রকৃচ্ছ্র তে ও বুক, পেট, তলপেট ও অন্যান্য স্থানে প্রবল চাপ এবং ব্যথা, কম্পন, শিথিলতা ইত্যাদি লক্ষণের আবির্ভাব হয়।
অশ্মরীজ মূত্রকৃচ্ছ্র সাধারণতঃ শুক্রবেগ ধারনের কারণে হয়। তাই কোনও কোনও আচার্য্য একে শুক্রজ মূত্রকৃচ্ছ্র বলে অভিহিত করেছেন। এই ক্ষেত্রে তলপেটে ও লিঙ্গে ব্যথা, বেদনা, মূত্র ত্যাগে কষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬০: গ্রাম বাংলায় আমুর কার্প মাছের বীজ উৎপাদন করে ভালো রোজগার করা সম্ভব
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৫০: আমার সোনার হরিণ চাই—সীতার চাওয়া কি সত্যি হবে?
চিকিৎসা
যেহেতু আয়ুর্বেদে সংশোধন চিকিৎসা অর্থাৎ শরীরস্হিত দোষকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইরে বার করে দেওয়ার বিধান আছে। স্নেহপান (তৈল বা ঘৃত ঔষধি দ্বারা প্রস্তুত করে পান) স্বেদন (যেমন অবগাহন স্বেদ বা পরিষেক স্বেদ), বমন, বিরেচন, বস্তি প্রয়োগ ইত্যাদির বিধান আছে। এই সকল ক্রিয়া হাসপাতালে বৈদ্যের তত্ত্বাবধানে করাই বাঞ্ছনীয়। সংশমণীয় চিকিৎসা অর্থাৎ ঔষধ খাইয়ে রোগ নিরাময়ের যে ব্যবস্থা আছে সেটাই অনেক সহজ। তাই—
চূর্ণ হিসাবে
ক্বাথ বা পাচন হিসাবে
আসব বা আরিষ্ট হিসাবে
ঘৃত ঔষধী
রসৌষধী
বটি ঔষধ
লৌহ হিসাবে
পিষ্টি ঔষধ
ভস্ম ঔষধী
ক্ষার ঔষধী
পর্পটি হিসাবে
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৪: মাথায় চোট মানেই কি ইন্টারনাল হেমারেজ?
লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-২: আইজেনস্টাইন, যুদ্ধজাহাজ ও মন্তাজ
পথ্য