ছবি প্রতীকী।
সারা পৃথিবীতে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ লোক জীবনে কোনও না কোনও সময় এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।
নিদান
যেহেতু এই রোগ মূলতঃ সায়াটিকা নার্ভকে আহত করে উৎপন্ন হয়, তাই উঁচু-নিচু রাস্তায় হাঁটা বা সাইকেল আরোহণ অন্যান্য যানে ঝাঁকুনি-সহ সফর, সামনে ঝোঁকা, সামনে ঝুঁকে ভারী জিনিস তোলা, রাতজাগা, মলমূত্রের স্বাভাবিক বেগ ধারণ, শরীরের ওজন বৃদ্ধি, অত্যধিক শীতল জল ও বাতাসের সংযোগ ইত্যাদি জীবনশৈলীর ত্রুটি-বিচ্যতি গুলির সঙ্গে খাদ্য-খাবারের অনিয়ম যেমন শুকনো, বাসি, শীতল খাবার, উপবাস ইত্যাদি কারণ শরীরের বায়ু দোষকে প্রকুপিত করে এবং সেই বায়ু কটি দেশ বা কোমরের অস্থিসন্ধির স্থলে স্নায়ুকে স্বস্থান থেকে সরিয়ে দেয়,প্রদাহ তৈরী করে ও এই বিচ্যুতির ফলে প্রভূত ব্যথা ও বেদনা হয়। সেই ব্যথা সায়টিকা নার্ভ বা গৃধ্রসী নাড়ির পথ দিয়ে কোমরের পেছন থেকে নিতম্ব বেয়ে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এই বায়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কখনও কখনও কফও প্রকুপিত হয় এবং ঐ বায়ুকে অবরুদ্ধ করে। তাই আয়ুর্বেদে ‘বাতজ গৃধ্রসী’ ও ‘বাতকফজ গৃধ্রসী’ এই দুই ধরনের গৃধ্রসী দেখা যায়।
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: বাতরক্ত বা গাউটে ভুগছেন? ঘরে বসেই মুক্তির উপায় জানুন
| উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৯: সুরের আকাশে ঘটালে তুমি স্বপ্নের ‘শাপমোচন’
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৬: কবির ভালোবাসার পশুপাখি
রোগের লক্ষণ
বাতজ গৃধ্রসীতে সুচ ফোটানোর মতো ব্যথা, শরীরের বক্রভাব হয়ে যাওয়া, কোটি (কোমর), ঊরু (থাই), জানু (হাঁটু) ইত্যাদিতে বেশি বেদনা, আড়ষ্টতা ও ঝিমঝিনে অনুভূতি হয়।
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪৮: ড. হীরালাল চৌধুরীর আবিষ্কার আজও পোনামাছ চাষীদের কাছে এক পরম আশীর্বাদ
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১২: দক্ষ কর্মী নির্বাচন বনাম নারী সহকর্মী
চলো যাই ঘুরে আসি: চুপি চুপি ঘুরে আসি
রোগের চিকিৎসা
যেহেতু আয়ুর্বেদ মতে রোগের কারণ বা নিদানকে বাদ দেওয়া প্রধান চিকিৎসা, তাই রোগৎপত্তির ক্ষেত্রে যে যে কারণগুলি বলা হয়েছে তার থেকে রোগীকে বিরত রাখাটাই প্রধান কাজ।
মালিশ
ক্ষীরবলা তেল, পিণ্ড তেল, মধ্যম নারায়ণ তেল, মহা নারায়ণ তেল, মহামাষ তেল ব্যবহার করা হয়, সঙ্গে গরম সেঁক দেওয়া হয়।
চূর্ণ
বৈশ্বানর চূর্ণ, আজমোদাবি চূর্ণ ইত্যাদি দেড় থেকে তিন গ্রাম দিনে দু’ বার গরম জল-সহ দেওয়া যাবে।
পাচন
দশমূল ক্বাথ, রাস্না দশমূল ক্বাথ, অষ্টবর্গ কষায় ইত্যাদি কুড়ি মিলিলিটার করে দিলে দু’ বার গরম জল-সহ সকাল সন্ধে দেওয়া যায়।
ত্রয়োদশাঙ্গ গুগগুলু, সিংহনাথ গুগগুলু, যোগরাজ গুগগুলু, রাস্নাদি গুগগুলু ৫০০ মিলিগ্রাম দিনে দু’ বার গরম জল সহদেওয়া যাবে।
রসৌষধি
বাতগজাঙ্কুশ, বাতোগজেন্দ্র সিংহ, রামবান রস, অগ্নিতুণ্ডি বটি ইত্যাদি ২৫০ মিলিগ্রাম দিনে দু’ বার গরম জল সহ দেওয়া যাবে।
ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে, আপনি কি বডি শেমিং-এর শিকার?
ত্বকের পরিচর্যায়: ফর্সা হওয়ার দৌড়ে না গিয়ে স্বাভাবিক রং নিয়েই সুন্দর ও সুরক্ষিত থাকুন, জানুন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: সবসময়ের সাথী ‘হরিতকী’
পথ্য
অশ্বগন্ধা,দ্রাক্ষা, বেগুন, পটল, দুধ, ঘি, মাখন, কড়িভস্ম, শঙ্খভস্ম, গরম জল, গরম সেঁক এবং বিশ্রাম ও সামনে না ঝোকার হালকা ব্যায়াম।
অপথ্য
চানা, মটর, মদ্য, কাঁচা মাংস পনির, কাঁচা ফল, সুপারি, দিনে ঘুম, রাত জাগা, দই, পায়েস ইত্যাদি।