ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
২০১৫ সালের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সারা ভারতে প্রায় ২৬ কোটি মানুষ এই কৃমির দ্বারা আক্রান্ত। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে প্রায় একজন মানুষকে এই কৃমিতে সংক্রমিত হতে দেখা যায়। এই কৃমিগুলি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের আকৃতি অনুযায়ী বা এদের অবস্থান ও রোগ তৈরির ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন নামে অভিহিত হয়েছে। যেমন প্রায় ১৫ কোটি ভারতীয়কে ত্র্যাসকারিস নামে কৃমিতে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। ১১ কোটি মানুষ কে হুক ওয়ার্ম ও ৪ কোটি মানুষ কে ট্রাইচুরিস নামক কৃমির সংক্রমনে ভুগতে হয়েছে। সারা পৃথিবীর নিরিখে মোট কৃমি আক্রান্ত মানুষের ২৪ ভাগ মানুষের বাস আমাদের এই ভারতবর্ষেই। সাধারণত অন্ত্রগত কৃমিতে প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু আক্রান্ত হয় এবং তার কুপ্রভাব থেকে নানান রোগে ভুগে চলেছে।
সুতরাং এটা অনস্বীকার্য যে, কৃমির আক্রমণ একটি অতি ভয়ংকর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। দেখা যাক আয়ুর্বেদ শাস্ত্র, এই সমস্যার ব্যাখ্যা ও সমাধানের উপায় কীভাবে ব্যক্ত করেছে। কৃমির প্রকারভেদ নিয়ে আয়ুর্বেদ আচার্যদের কিঞ্চিত মতভেদ থাকলেও যেহেতু মহর্ষি চরক চিকিৎসাতে শ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক হিসেবে পরিগণিত হন, তাই তাঁর মতকে প্রাধান্য দিয়ে বলা যায়— কৃমি প্রধানত দুই প্রকার। বাহ্য কৃমি ও আভ্যন্তর ক্রিমি। বাহ্য ক্রিমি আবার দু প্রকারের— যূকা এবং লিখ্যা।
আভ্যন্তর কৃমি আবার উৎপত্তি ভেদ অনুযায়ী তিন রকম, আর সংখ্যা অনুযায়ী ১৮ প্রকার। যেমন, পুরীষজ ক্রিমি পাঁচ প্রকার (ককেরুক, মকেরুক, লেলিহ, সশূলক ও সৌসূরাদ)। কফজ কৃমি সাত প্রকার (অন্ত্রাদ, উদরাদ, হৃদয়াদ, চুরু, দর্ভপুষ্প ও সৌগন্ধিক)। রক্তজ ক্রিমি ছয় প্রকার (কেশাদ, লোমাদ, লোমদ্বীপ, সৌরস, ঔদুম্বর ও জন্তুমাতা)। এই প্রভেদ অনুযায়ী সব শুদ্ধ ২০ প্রকারের কৃমির উল্লেখ আয়ুর্বেদ আচার্যরা করে গিয়েছেন। বস্তুত আয়ুর্বেদ সমস্ত রকমের জীবণুকে কৃমি বলে মেনেছে। আধুনিক বিজ্ঞানে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, প্যারাসাইট ইত্যাদি সবই আয়ুর্বেদের কৃমি পদবাচ্য।
কৃমির নিদান
রোগের সম্প্রাপ্তি বা রোগ তৈরির ক্রম
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: মুখের রুচি চলে গিয়েছে? আয়ুর্বেদ উপায়ে অরুচি দূর করবেন কী ভাবে?
মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-১: ভিতরকুঠি টেরাকোটা শিবমন্দির এক অনন্যসাধারণ কোচ স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ
কৃমি রোগের লক্ষণ
বাহ্য কৃমি
সমস্ত ধরনের কৃমির সাধারণ লক্ষণ
পুরীষজ কৃমির বিশেষ লক্ষণ
কফজ কৃমির বিশেষ লক্ষণ
রক্তজ কৃমির বিশেষ লক্ষণ
কৃমি রোগের চিকিৎসা
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১: একটু শুরুর কথা হলে ক্ষতি কী…
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৭: প্রবাল প্রাচীর আমাদের ভবিষ্যতের ওষুধের ভাণ্ডার
সংশোধন চিকিৎসা
সংশমন চিকিৎসা
চূর্ণ ঔষধি
বটি ঔষধি
ক্বাথ বা পাচন
রসৌষধি
ঘৃত ঔষধি
অরিষ্ট বা আসব ঔষধি
পাক বা অবলেহ
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫: চন্দ্রমণির বধূবরণ
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩১: বিড়াল ঘাঁটলেই কি ডিপথেরিয়া হতে পারে?
এছাড়াও
পথ্য